কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। বিশেষ কর্মসূচির পাশাপাশি নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
গণটিকাদানের বিশেষ কর্মসূচিকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে উপলক্ষ করে একদিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার উদ্যোগটি ইতিবাচক। মানুষ এখন করোনার টিকা নিতে আগ্রহী হলেও কাক্সিক্ষত হারে টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া গেলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের পথে লক্ষ্যযোগ্য অগ্রগতি হবে।
লক্ষ্য অনুযায়ী উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা দেয়া জরুরি। গত মাসের শুরুর দিকে দেশে গণটিকা দেয়া হয়। তখন এ নিয়ে নানান অব্যবস্থাপনার চিত্র প্রকাশ পায়। টিকাদান কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কোন কোন কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, মারামারি-হাতাহাতির ঘটনাও তখন ঘটেছে। এসব কারণে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হতে দেখা গেছে। কোন কোন কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। একই ব্যক্তিকে একাধিক ডোজ টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবর্তে জনপ্রতিনিধিকে টিকা দিতে দেখা গেছে। এ ধরনের অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি এবার যেন না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে যেন কোন স্বজনপ্রীতি না হয় সেটা আমাদের চাওয়া। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ কর্মসূচিতে যেসব মানুষকে টিকা দেয়া হবে, তাদেরকে নির্ধারিত সময় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে মাথায় রাখতে হবে। এর আগে বহু মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো পায়নি। সময়মতো টিকা দেয়া না গেল এর কার্যককারিতা কমে যায়। প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজও নিশ্চিত করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার কর্মসূচি একটি ‘উপহার’ হিসেবে গণ্য হবে, নইলে এটা স্রেফ চমক হয়েই রইবে।
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আজ ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ এই কর্মসূচি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। চার হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভা, সিটি করপোরেশনের ৪৪৩টি ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। বিশেষ কর্মসূচির পাশাপাশি নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিও চলবে।
গণটিকাদানের বিশেষ কর্মসূচিকে আমরা স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনকে উপলক্ষ করে একদিনে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে টিকা দেয়ার উদ্যোগটি ইতিবাচক। মানুষ এখন করোনার টিকা নিতে আগ্রহী হলেও কাক্সিক্ষত হারে টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। একদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া গেলে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের পথে লক্ষ্যযোগ্য অগ্রগতি হবে।
লক্ষ্য অনুযায়ী উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা দেয়া জরুরি। গত মাসের শুরুর দিকে দেশে গণটিকা দেয়া হয়। তখন এ নিয়ে নানান অব্যবস্থাপনার চিত্র প্রকাশ পায়। টিকাদান কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কোন কোন কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, মারামারি-হাতাহাতির ঘটনাও তখন ঘটেছে। এসব কারণে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হতে দেখা গেছে। কোন কোন কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেক মানুষ হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। একই ব্যক্তিকে একাধিক ডোজ টিকা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবর্তে জনপ্রতিনিধিকে টিকা দিতে দেখা গেছে। এ ধরনের অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার পুনরাবৃত্তি এবার যেন না ঘটে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।
টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে যেন কোন স্বজনপ্রীতি না হয় সেটা আমাদের চাওয়া। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী শারীরিক প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, দুর্গম এলাকার বাসিন্দাদের টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ কর্মসূচিতে যেসব মানুষকে টিকা দেয়া হবে, তাদেরকে নির্ধারিত সময় দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে মাথায় রাখতে হবে। এর আগে বহু মানুষ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো পায়নি। সময়মতো টিকা দেয়া না গেল এর কার্যককারিতা কমে যায়। প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজও নিশ্চিত করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার কর্মসূচি একটি ‘উপহার’ হিসেবে গণ্য হবে, নইলে এটা স্রেফ চমক হয়েই রইবে।