মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার থানার মোড় থেকে নবগ্রাম ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্পের সাথে দুটি সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয় মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ৩০ শতাংশ দেখিয়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল উঠিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এরপর থেকেই দেখা দেয় বিপত্তি, বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি সেতুর জন্য আশপাশের বিল অঞ্চলের দশটি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের। প্রকল্প নেয়া হয়েছে এক দশক আগে। কিছু টাকা খরচও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির কাজ থেমে গেল কেন সেটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। মন্ত্রী বদলেছে বলে কোন প্রকল্পের কাজ বা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে- এমনটা হতে পারে না।
সাধারণত দেখা যায়, সরকার পরিবর্তন হলে গৃহীত প্রকল্পও বন্ধ হয়ে যায়। মাদারীপুরের প্রকল্পটিতে এ ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে একই রাজনৈতিক দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রকল্প নেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই। তাহলে উক্ত প্রকল্পের এমন বেহাল দশা কেন?
কোন প্রকল্প মাঝপথে পরিত্যক্ত হলে এর সুফল থেকে নাগরিকরা যেমন বঞ্চিত হয়, তেমনি খরচ হওয়া টাকাও বিফলে যায়। এটি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চাই, প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক, বাকি কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। রাস্তা ও সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট দুটি উপজেলার দশ গ্রামের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হবে।
সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার থানার মোড় থেকে নবগ্রাম ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্পের সাথে দুটি সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয় মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ৩০ শতাংশ দেখিয়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল উঠিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এরপর থেকেই দেখা দেয় বিপত্তি, বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি সেতুর জন্য আশপাশের বিল অঞ্চলের দশটি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের। প্রকল্প নেয়া হয়েছে এক দশক আগে। কিছু টাকা খরচও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির কাজ থেমে গেল কেন সেটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। মন্ত্রী বদলেছে বলে কোন প্রকল্পের কাজ বা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে- এমনটা হতে পারে না।
সাধারণত দেখা যায়, সরকার পরিবর্তন হলে গৃহীত প্রকল্পও বন্ধ হয়ে যায়। মাদারীপুরের প্রকল্পটিতে এ ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে একই রাজনৈতিক দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রকল্প নেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই। তাহলে উক্ত প্রকল্পের এমন বেহাল দশা কেন?
কোন প্রকল্প মাঝপথে পরিত্যক্ত হলে এর সুফল থেকে নাগরিকরা যেমন বঞ্চিত হয়, তেমনি খরচ হওয়া টাকাও বিফলে যায়। এটি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চাই, প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক, বাকি কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। রাস্তা ও সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট দুটি উপজেলার দশ গ্রামের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হবে।