alt

সম্পাদকীয়

সড়ক ও সেতু দুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করুন

: সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার থানার মোড় থেকে নবগ্রাম ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্পের সাথে দুটি সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয় মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ৩০ শতাংশ দেখিয়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল উঠিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এরপর থেকেই দেখা দেয় বিপত্তি, বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি সেতুর জন্য আশপাশের বিল অঞ্চলের দশটি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের। প্রকল্প নেয়া হয়েছে এক দশক আগে। কিছু টাকা খরচও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির কাজ থেমে গেল কেন সেটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। মন্ত্রী বদলেছে বলে কোন প্রকল্পের কাজ বা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে- এমনটা হতে পারে না।

সাধারণত দেখা যায়, সরকার পরিবর্তন হলে গৃহীত প্রকল্পও বন্ধ হয়ে যায়। মাদারীপুরের প্রকল্পটিতে এ ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে একই রাজনৈতিক দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রকল্প নেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই। তাহলে উক্ত প্রকল্পের এমন বেহাল দশা কেন?

কোন প্রকল্প মাঝপথে পরিত্যক্ত হলে এর সুফল থেকে নাগরিকরা যেমন বঞ্চিত হয়, তেমনি খরচ হওয়া টাকাও বিফলে যায়। এটি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চাই, প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক, বাকি কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। রাস্তা ও সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট দুটি উপজেলার দশ গ্রামের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক ও সেতু দুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করুন

সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার থানার মোড় থেকে নবগ্রাম ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের বাজার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের একটি সড়ক নির্মাণের প্রকল্প নেয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নেয়া প্রকল্পের সাথে দুটি সেতু নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয় মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ ৩০ শতাংশ দেখিয়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার বিল উঠিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এরপর থেকেই দেখা দেয় বিপত্তি, বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। এ নিয়ে সংবাদ-এ গত শনিবার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মাত্র পাঁচ কিলোমিটার সড়ক ও দুটি সেতুর জন্য আশপাশের বিল অঞ্চলের দশটি গ্রামের হাজার হাজার বাসিন্দা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী এবং অসুস্থ রোগীদের। প্রকল্প নেয়া হয়েছে এক দশক আগে। কিছু টাকা খরচও হয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পটির কাজ থেমে গেল কেন সেটা একটা প্রশ্ন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবুল হোসেন তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার পরই প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। মন্ত্রী বদলেছে বলে কোন প্রকল্পের কাজ বা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে- এমনটা হতে পারে না।

সাধারণত দেখা যায়, সরকার পরিবর্তন হলে গৃহীত প্রকল্পও বন্ধ হয়ে যায়। মাদারীপুরের প্রকল্পটিতে এ ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে একই রাজনৈতিক দল এখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর প্রকল্প নেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই। তাহলে উক্ত প্রকল্পের এমন বেহাল দশা কেন?

কোন প্রকল্প মাঝপথে পরিত্যক্ত হলে এর সুফল থেকে নাগরিকরা যেমন বঞ্চিত হয়, তেমনি খরচ হওয়া টাকাও বিফলে যায়। এটি রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা চাই, প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া হোক, বাকি কাজ দ্রুত শুরু করা হোক। রাস্তা ও সেতু দুটি নির্মাণ করা হলে সংশ্লিষ্ট দুটি উপজেলার দশ গ্রামের হাজারো বাসিন্দাদের যাতায়াত-যোগাযোগ মসৃণ হবে।

back to top