alt

সম্পাদকীয়

প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করুন, ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিত্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার ভোরে কালীমন্দিরে পূজা দিতে যান প্রিয়লাল বালা। কিন্তু গিয়ে দেখেন কালী প্রতিমাসহ ৮টি প্রতিমা ভাঙা। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামের সার্বজনীন কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর কালী প্রতিমাসহ আরও দুটি প্রতিমার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি মসজিদের মিম্বরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে মসজিদ থেকে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। বিশেষ করে যখন তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব সামনে এগিয়ে আসে তখন এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঘটনার ধরন দেখে অনুমান করা যায় যে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় না। এর পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রদায়িক দুরভিসন্ধিও কাজ করে। এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরেক সম্প্রদায়ের বিভেদ তৈরি করা এদের অন্যতম লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়ে এ চক্রটি ফায়দা লুটতে চায়।

চাঁদপুরে প্রতিমা ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে রাখা হয়েছে। এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে রাখা হয়েছে আরেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে। এতে করে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারত। যা বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত। অতীতে দেখা গেছে, শুধু গুজব ছড়িয়েই বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে। জানা গেছে, ঘটনার পর চাঁদপুরের ডিসি, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, পরিদর্শন ও প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট নয়। আমরা দেখতে চাই যে, প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করুন, ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিত্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার ভোরে কালীমন্দিরে পূজা দিতে যান প্রিয়লাল বালা। কিন্তু গিয়ে দেখেন কালী প্রতিমাসহ ৮টি প্রতিমা ভাঙা। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামের সার্বজনীন কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর কালী প্রতিমাসহ আরও দুটি প্রতিমার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি মসজিদের মিম্বরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে মসজিদ থেকে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। বিশেষ করে যখন তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব সামনে এগিয়ে আসে তখন এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঘটনার ধরন দেখে অনুমান করা যায় যে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় না। এর পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রদায়িক দুরভিসন্ধিও কাজ করে। এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরেক সম্প্রদায়ের বিভেদ তৈরি করা এদের অন্যতম লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়ে এ চক্রটি ফায়দা লুটতে চায়।

চাঁদপুরে প্রতিমা ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে রাখা হয়েছে। এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে রাখা হয়েছে আরেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে। এতে করে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারত। যা বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত। অতীতে দেখা গেছে, শুধু গুজব ছড়িয়েই বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে। জানা গেছে, ঘটনার পর চাঁদপুরের ডিসি, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, পরিদর্শন ও প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট নয়। আমরা দেখতে চাই যে, প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

back to top