নিত্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার ভোরে কালীমন্দিরে পূজা দিতে যান প্রিয়লাল বালা। কিন্তু গিয়ে দেখেন কালী প্রতিমাসহ ৮টি প্রতিমা ভাঙা। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামের সার্বজনীন কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর কালী প্রতিমাসহ আরও দুটি প্রতিমার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি মসজিদের মিম্বরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে মসজিদ থেকে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। বিশেষ করে যখন তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব সামনে এগিয়ে আসে তখন এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঘটনার ধরন দেখে অনুমান করা যায় যে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় না। এর পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রদায়িক দুরভিসন্ধিও কাজ করে। এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরেক সম্প্রদায়ের বিভেদ তৈরি করা এদের অন্যতম লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়ে এ চক্রটি ফায়দা লুটতে চায়।
চাঁদপুরে প্রতিমা ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে রাখা হয়েছে। এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে রাখা হয়েছে আরেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে। এতে করে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারত। যা বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত। অতীতে দেখা গেছে, শুধু গুজব ছড়িয়েই বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে। জানা গেছে, ঘটনার পর চাঁদপুরের ডিসি, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, পরিদর্শন ও প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট নয়। আমরা দেখতে চাই যে, প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিত্যদিনের মতো গত মঙ্গলবার ভোরে কালীমন্দিরে পূজা দিতে যান প্রিয়লাল বালা। কিন্তু গিয়ে দেখেন কালী প্রতিমাসহ ৮টি প্রতিমা ভাঙা। চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার নাহারা গ্রামের সার্বজনীন কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরের পর কালী প্রতিমাসহ আরও দুটি প্রতিমার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের একটি মসজিদের মিম্বরে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে মসজিদ থেকে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে। বিশেষ করে যখন তাদের কোন ধর্মীয় উৎসব সামনে এগিয়ে আসে তখন এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ঘটনার ধরন দেখে অনুমান করা যায় যে শুধু ধর্মীয় বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় না। এর পেছনে দুষ্কৃতিকারীদের সাম্প্রদায়িক দুরভিসন্ধিও কাজ করে। এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আরেক সম্প্রদায়ের বিভেদ তৈরি করা এদের অন্যতম লক্ষ্য। শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটিয়ে এ চক্রটি ফায়দা লুটতে চায়।
চাঁদপুরে প্রতিমা ভেঙে তার ধ্বংসাবশেষ প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের পার্শ্ববর্তী একটি মসজিদে রাখা হয়েছে। এক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে রাখা হয়েছে আরেক ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে। এতে করে দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারত। যা বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারত। অতীতে দেখা গেছে, শুধু গুজব ছড়িয়েই বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনালয়ে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখে। জানা গেছে, ঘটনার পর চাঁদপুরের ডিসি, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে তারা দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা বলতে চাই, পরিদর্শন ও প্রতিশ্রুতিই যথেষ্ট নয়। আমরা দেখতে চাই যে, প্রতিমা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।