দশমিনা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ছয় লাখ বাসিন্দা। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা বেশি লাগে বলে জানা যায়। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাউফলের ভাঙা ব্রিজ থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কিমি সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রসূতি নারীসহ বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, এলজিইডি প্রতিবছরই সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু যেনতেনভাবে সংস্কার করায় তা টেকসই হয় না।
দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণ করার পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। সংস্কারের পর সংস্কার হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। অভিযোগ আছে, নির্মাণ বা সংস্কারের সময় মানসম্মত উপকরণ দেয়া হয় না। উপকরণের পরিমাণ নিয়েও নয়ছয় করা হয়।
দেশের সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নির্মাণ উপকরণে রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পটুয়াখালী-দশমিনা সড়ক বারবার সংস্কার করার পরও টেকসই না হওয়ার কারণ কী? সেখানে সড়ক সংস্কারে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।
এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দশমিনা অংশের সাড়ে চার কিমি টেন্ডার হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে লাখো মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যাবে না। কারণ সড়কটির ২১ কিলোমিটারই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। এই অবস্থায় সড়কের আংশিক সংস্কার করা হলে বরং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে বলে আমরা মনে করি। সড়কের ক্ষুদ্র একটি অংশ সংস্কার করে বড় একটি অংশকে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় রেখে দিলে, সেটা টেকসই হওয়ার কোন কারণ নাই। তাই সড়কটি সংস্কার করতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। আর সেটা যেন টেকসই হয়। যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারের নামে লুটপাটের নতুন কোন প্রকল্প খোলা হোক সেটা আমরা চাই না।
শনিবার, ০২ অক্টোবর ২০২১
দশমিনা-পটুয়াখালী আন্তঃজেলা সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশে বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময় সড়কটি সংস্কার করা হলেও বর্ষায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনসহ ভোগান্তিতে পড়েন দশমিনা ও বাউফল উপজেলার প্রায় ছয় লাখ বাসিন্দা। যাত্রী সাধারণকে গন্তব্যে পৌঁছতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় এক-দেড় ঘণ্টা বেশি লাগে বলে জানা যায়। এ নিয়ে আজ শনিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বাউফলের ভাঙা ব্রিজ থেকে দশমিনা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৮-৯ কিমি সড়কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রসূতি নারীসহ বিভিন্ন রোগী ও তাদের স্বজনদের। ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচলে যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেছেন, এলজিইডি প্রতিবছরই সড়কটি সংস্কার করে। কিন্তু যেনতেনভাবে সংস্কার করায় তা টেকসই হয় না।
দেশের বাস্তবতা হচ্ছে, সড়ক নির্মাণ করার পর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা নষ্ট হয়ে যায়। সংস্কারের পর সংস্কার হয়, কিন্তু টেকসই হয় না। অভিযোগ আছে, নির্মাণ বা সংস্কারের সময় মানসম্মত উপকরণ দেয়া হয় না। উপকরণের পরিমাণ নিয়েও নয়ছয় করা হয়।
দেশের সড়ক নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নির্মাণ উপকরণে রডের পরিবর্তে বাঁশ দেয়ার ঘটনাও ঘটে। পটুয়াখালী-দশমিনা সড়ক বারবার সংস্কার করার পরও টেকসই না হওয়ার কারণ কী? সেখানে সড়ক সংস্কারে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি।
এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য দশমিনা অংশের সাড়ে চার কিমি টেন্ডার হয়েছে। আমরা বলতে চাই, শুধু সাড়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করে লাখো মানুষের দুর্ভোগের অবসান ঘটানো যাবে না। কারণ সড়কটির ২১ কিলোমিটারই রয়েছে বেহাল অবস্থায়। এই অবস্থায় সড়কের আংশিক সংস্কার করা হলে বরং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হবে বলে আমরা মনে করি। সড়কের ক্ষুদ্র একটি অংশ সংস্কার করে বড় একটি অংশকে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় রেখে দিলে, সেটা টেকসই হওয়ার কোন কারণ নাই। তাই সড়কটি সংস্কার করতে হবে পূর্ণাঙ্গ আকারে। আর সেটা যেন টেকসই হয়। যেনতেনভাবে সড়ক সংস্কারের নামে লুটপাটের নতুন কোন প্রকল্প খোলা হোক সেটা আমরা চাই না।