alt

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রসঙ্গে

: রোববার, ০৩ অক্টোবর ২০২১

রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির মতো জরুরি নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন না। বরং নতুন নতুন প্রকল্পের নামে আরও ঋণ নেয়া হয়। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নেয় কী কারণে আর এর জোগানইবা দেয় কে। জনগণকে উন্নত সেবা দেয়ার কথা বলে ঋণ নেয়া হয়। আর জনগণের করের টাকা থেকেই ঋণ দেয়া হয়। ঋণের টাকা পরিশোধ না করা আর জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করা সমার্থক। লাখ কোটি টাকার ঋণের বিনিময়ে জনগণের সেবার কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। ওয়াসার সরবরাহ করা পানি বিশুদ্ধ না করে পান করা যায় না। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস মিলছে না। বিদ্যুতে এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে লোকসান কমানোর নামে এসবের দাম নিয়মিতই বাড়ানো হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঋণ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই লোকসানি। লোকসান হওয়ার কারণ কী সেই প্রশ্ন উঠলে এর কর্তাব্যক্তিরা মুখস্থ বুলি আওড়ান- জনগণের সেবা দিতে গিয়ে ভর্তুকির কারণে লোকসান হয়। প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অযোগ্যতার কথা স্বীকার করা হয় না। আমরা বলতে চাই, ঋণের মতো ভর্তুকিও দেয়া হয় জনগণের টাকায়। কেউ তার পকেটের টাকা দিয়ে ভর্তুকি দেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকি নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের বড় কারণ হচ্ছে দুর্নীতি।

দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা। রাষ্ট্রায়ত্ত সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই কমবেশি দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে দুর্নীতি দূর করা। দুর্নীতি দূর করা গেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমবে। তখন তাদের ঋণ করে চলতে হবে না বা ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এর ফলে জনগণকে দেয়া সেবার মানও বাড়বে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। সৎ, যোগ্য এবং দক্ষদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। নিজের লাভ দিয়ে তাদের চলতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে লাভের টাকাও জমা দিতে হবে, যথাসময়ে ঋণ ফেরত দিতে হবে সুদসহ। জনগণের টাকা অপচয়ের অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

tab

সম্পাদকীয়

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণ প্রসঙ্গে

রোববার, ০৩ অক্টোবর ২০২১

রাষ্ট্রায়ত্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির মতো জরুরি নাগরিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন না। বরং নতুন নতুন প্রকল্পের নামে আরও ঋণ নেয়া হয়। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ নেয় কী কারণে আর এর জোগানইবা দেয় কে। জনগণকে উন্নত সেবা দেয়ার কথা বলে ঋণ নেয়া হয়। আর জনগণের করের টাকা থেকেই ঋণ দেয়া হয়। ঋণের টাকা পরিশোধ না করা আর জনগণের টাকার শ্রাদ্ধ করা সমার্থক। লাখ কোটি টাকার ঋণের বিনিময়ে জনগণের সেবার কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসের সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। ওয়াসার সরবরাহ করা পানি বিশুদ্ধ না করে পান করা যায় না। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস মিলছে না। বিদ্যুতে এখনও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে লোকসান কমানোর নামে এসবের দাম নিয়মিতই বাড়ানো হচ্ছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা একটা প্রশ্ন। লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, ঋণ নেয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই লোকসানি। লোকসান হওয়ার কারণ কী সেই প্রশ্ন উঠলে এর কর্তাব্যক্তিরা মুখস্থ বুলি আওড়ান- জনগণের সেবা দিতে গিয়ে ভর্তুকির কারণে লোকসান হয়। প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অযোগ্যতার কথা স্বীকার করা হয় না। আমরা বলতে চাই, ঋণের মতো ভর্তুকিও দেয়া হয় জনগণের টাকায়। কেউ তার পকেটের টাকা দিয়ে ভর্তুকি দেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকি নয়, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসানের বড় কারণ হচ্ছে দুর্নীতি।

দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা। রাষ্ট্রায়ত্ত সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই কমবেশি দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে দুর্নীতি দূর করা। দুর্নীতি দূর করা গেলে প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকসান কমবে। তখন তাদের ঋণ করে চলতে হবে না বা ভর্তুকি দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এর ফলে জনগণকে দেয়া সেবার মানও বাড়বে।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু হওয়া জরুরি। সৎ, যোগ্য এবং দক্ষদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। এগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। নিজের লাভ দিয়ে তাদের চলতে হবে। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে লাভের টাকাও জমা দিতে হবে, যথাসময়ে ঋণ ফেরত দিতে হবে সুদসহ। জনগণের টাকা অপচয়ের অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।

back to top