alt

সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে বন্ধে এনআইডি ব্যবহারের প্রস্তাব

: সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১

বাল্যবিয়ে বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের জন্য এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেয়া হয়। কমিটি প্রস্তাবটি আমলে নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে।

বাল্যবিয়ে দেশের দীর্ঘদিনের এক সমস্যা। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়। মহামারীকালে আর্থিক সংকট আর দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ সমস্যা আরও বেড়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে নতুন নতুন সুপারিশ বা প্রস্তাব আসছে। কোন পরিবারে বাল্যবিয়ে থাকলে সেই পরিবারকে ভিজিডি সহায়তা না দেয়ার সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সুপারিশ করা হয়। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনআইডি যাচাইয়ের প্রস্তাব করা হলো। সমস্যা হচ্ছে, বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার পরও অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়া বা না নেয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ ধরনের মানুষের বয়স যাচাই করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাচন কমিশন আঠারো বছরের কম বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা বহুদিন ধরেই বলছে। কিন্তু এ নিয়ে বাস্তবে কোন অগ্রগতি নেই। শিশুর জন্মনিবন্ধনের কাজটি যদি যথাযথভাবে করা যেত তাহলেও বাল্যবিয়েসহ অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান মিলত। কিন্তু অনেক পরিবারই বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এখনও শিশুর জন্মনিবন্ধন করে না। আবার অনেক পরিবার অসৎ উদ্দেশে একটি শিশুর একাধিক জন্মনিবন্ধন করায়। জন্মনিবন্ধন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ মেলে। নাগরিকদের বিনামূল্যে ভোগান্তিহীন জন্মনিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেন তার জন্মনিবন্ধন করা হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।

বাল্যবিয়ে বন্ধে সংশ্লিষ্টদের এখন গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। কীভাবে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে নতুন নতুন প্রস্তাব, সুপারিশ, পরিকল্পনা হচ্ছে। অথচ ২০১৭ সালে প্রণয়ন করা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে’ বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছিল যে, এর মাধ্যমে বাল্যবিয়ের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তখন এ নিয়ে কোন আপত্তি বা সমালোচনায় সরকার কান দেয়নি। আমরা বলতে চাই, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোও জরুরি। কন্যা শিশুকে পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখার প্রবণতা থেকে সমাজকে বের করে আনতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

বাল্যবিয়ে বন্ধে এনআইডি ব্যবহারের প্রস্তাব

সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১

বাল্যবিয়ে বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নতুন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর বয়স যাচাইয়ের জন্য এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে বিয়ের ‘ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট’ নিতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেয়া হয়। কমিটি প্রস্তাবটি আমলে নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে।

বাল্যবিয়ে দেশের দীর্ঘদিনের এক সমস্যা। ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি বাল্যবিয়ে হয়। মহামারীকালে আর্থিক সংকট আর দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ সমস্যা আরও বেড়েছে। বাল্যবিয়ে বন্ধে নতুন নতুন সুপারিশ বা প্রস্তাব আসছে। কোন পরিবারে বাল্যবিয়ে থাকলে সেই পরিবারকে ভিজিডি সহায়তা না দেয়ার সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গত ২২ সেপ্টেম্বর এ সুপারিশ করা হয়। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এনআইডি যাচাইয়ের প্রস্তাব করা হলো। সমস্যা হচ্ছে, বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার পরও অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র পায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়া বা না নেয়া মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ ধরনের মানুষের বয়স যাচাই করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

নির্বাচন কমিশন আঠারো বছরের কম বয়সী নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা বহুদিন ধরেই বলছে। কিন্তু এ নিয়ে বাস্তবে কোন অগ্রগতি নেই। শিশুর জন্মনিবন্ধনের কাজটি যদি যথাযথভাবে করা যেত তাহলেও বাল্যবিয়েসহ অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান মিলত। কিন্তু অনেক পরিবারই বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী এখনও শিশুর জন্মনিবন্ধন করে না। আবার অনেক পরিবার অসৎ উদ্দেশে একটি শিশুর একাধিক জন্মনিবন্ধন করায়। জন্মনিবন্ধন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ মেলে। নাগরিকদের বিনামূল্যে ভোগান্তিহীন জন্মনিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যেন তার জন্মনিবন্ধন করা হয় সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করা জরুরি।

বাল্যবিয়ে বন্ধে সংশ্লিষ্টদের এখন গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। কীভাবে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে নতুন নতুন প্রস্তাব, সুপারিশ, পরিকল্পনা হচ্ছে। অথচ ২০১৭ সালে প্রণয়ন করা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে’ বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছিল যে, এর মাধ্যমে বাল্যবিয়ের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। তখন এ নিয়ে কোন আপত্তি বা সমালোচনায় সরকার কান দেয়নি। আমরা বলতে চাই, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোও জরুরি। কন্যা শিশুকে পরিবারের বোঝা হিসেবে দেখার প্রবণতা থেকে সমাজকে বের করে আনতে হবে।

back to top