আগামী ১ ডিসেম্বর রাজধানীতে ‘বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। যার অধীনে থাকবে ১২০টি বাস। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চলবে এসব বাস।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। এসটিপিতে মেট্রোরেল, উড়াল সড়কসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের আগে বাস-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আর এজন্য রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু ১৫ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
ব্যবস্থাটি এতদিন চালু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর পরিবহনগুলো চলে সংগঠিত কোম্পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সরকারি দলের নেতা ও প্রভাবশালীরা এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা। গেট পাস, চলাচল খরচ, রুট খরচ, অফিস ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নামে তারা মোটা অংকের চাঁদা নেয়। কোম্পানিভেদে চাঁদার পরিমাণ দিনে ৭০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত।
গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হয়েছিল। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র। এখন আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো। রুটের দৈর্ঘ্যও বেড়েছে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবপক্ষ আন্তরিক থাকলে এটি বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা দেখতে চাই সবাই এটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন সেবা চালু করা গেলে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা ফিরবে তেমন যাত্রী সাধারণের সেবার মানও বাড়বে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর জন্য সিট সংখ্যা ও ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন মালিকদের কারও কারও আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব সবদিক বিবেচনা করে একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। আবার পরিবহন মালিকরা যেন যৌক্তিক হারে মুনাফা করতে পারেন সেটাও দেখতে হবে।
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১
আগামী ১ ডিসেম্বর রাজধানীতে ‘বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। যার অধীনে থাকবে ১২০টি বাস। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চলবে এসব বাস।
রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। এসটিপিতে মেট্রোরেল, উড়াল সড়কসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের আগে বাস-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আর এজন্য রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু ১৫ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
ব্যবস্থাটি এতদিন চালু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর পরিবহনগুলো চলে সংগঠিত কোম্পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সরকারি দলের নেতা ও প্রভাবশালীরা এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা। গেট পাস, চলাচল খরচ, রুট খরচ, অফিস ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নামে তারা মোটা অংকের চাঁদা নেয়। কোম্পানিভেদে চাঁদার পরিমাণ দিনে ৭০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত।
গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হয়েছিল। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র। এখন আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো। রুটের দৈর্ঘ্যও বেড়েছে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবপক্ষ আন্তরিক থাকলে এটি বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা দেখতে চাই সবাই এটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন সেবা চালু করা গেলে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা ফিরবে তেমন যাত্রী সাধারণের সেবার মানও বাড়বে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর জন্য সিট সংখ্যা ও ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন মালিকদের কারও কারও আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব সবদিক বিবেচনা করে একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। আবার পরিবহন মালিকরা যেন যৌক্তিক হারে মুনাফা করতে পারেন সেটাও দেখতে হবে।