alt

সম্পাদকীয়

ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর উদ্যোগ সফল হোক

: বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

আগামী ১ ডিসেম্বর রাজধানীতে ‘বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। যার অধীনে থাকবে ১২০টি বাস। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চলবে এসব বাস।

রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। এসটিপিতে মেট্রোরেল, উড়াল সড়কসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের আগে বাস-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আর এজন্য রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু ১৫ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

ব্যবস্থাটি এতদিন চালু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর পরিবহনগুলো চলে সংগঠিত কোম্পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সরকারি দলের নেতা ও প্রভাবশালীরা এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা। গেট পাস, চলাচল খরচ, রুট খরচ, অফিস ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নামে তারা মোটা অংকের চাঁদা নেয়। কোম্পানিভেদে চাঁদার পরিমাণ দিনে ৭০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত।

গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হয়েছিল। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র। এখন আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো। রুটের দৈর্ঘ্যও বেড়েছে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবপক্ষ আন্তরিক থাকলে এটি বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা দেখতে চাই সবাই এটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন সেবা চালু করা গেলে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা ফিরবে তেমন যাত্রী সাধারণের সেবার মানও বাড়বে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর জন্য সিট সংখ্যা ও ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন মালিকদের কারও কারও আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব সবদিক বিবেচনা করে একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। আবার পরিবহন মালিকরা যেন যৌক্তিক হারে মুনাফা করতে পারেন সেটাও দেখতে হবে।

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর উদ্যোগ সফল হোক

বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১

আগামী ১ ডিসেম্বর রাজধানীতে ‘বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশনের’ পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামে কোম্পানি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। যার অধীনে থাকবে ১২০টি বাস। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে চলবে এসব বাস।

রাজধানীর যানজট নিরসন ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হচ্ছে বহু বছর ধরেই। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ঢাকার জন্য ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি) নেয় সরকার। এসটিপিতে মেট্রোরেল, উড়াল সড়কসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণের আগে বাস-ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। আর এজন্য রাজধানীর সব রুটে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়; কিন্তু ১৫ বছরেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

ব্যবস্থাটি এতদিন চালু না হওয়ার পেছনে মালিক বা কোম্পানির দায়ই বেশি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীর পরিবহনগুলো চলে সংগঠিত কোম্পানি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সরকারি দলের নেতা ও প্রভাবশালীরা এসব কোম্পানির উদ্যোক্তা। গেট পাস, চলাচল খরচ, রুট খরচ, অফিস ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি নামে তারা মোটা অংকের চাঁদা নেয়। কোম্পানিভেদে চাঁদার পরিমাণ দিনে ৭০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত।

গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালু করার কথা বলা হয়েছিল। তখন মোহাম্মদপুরের ঘাটারচর-মতিঝিল-সাইনবোর্ড রুটে বাস চালুর ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র। এখন আবার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হলো। রুটের দৈর্ঘ্যও বেড়েছে। আমরা আশা করতে চাই যে, এবার ঘোষিত তারিখ থেকে বাস চলাচল শুরু হবে। কোন অশুভ চক্র যেন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। সবপক্ষ আন্তরিক থাকলে এটি বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমরা দেখতে চাই সবাই এটা নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে পরিবহন সেবা চালু করা গেলে সড়কে যেমন শৃঙ্খলা ফিরবে তেমন যাত্রী সাধারণের সেবার মানও বাড়বে।

ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালুর জন্য সিট সংখ্যা ও ভাড়া নির্ধারণ নিয়ে পরিবহন মালিকদের কারও কারও আপত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব সবদিক বিবেচনা করে একটা যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। যাত্রী স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। আবার পরিবহন মালিকরা যেন যৌক্তিক হারে মুনাফা করতে পারেন সেটাও দেখতে হবে।

back to top