বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে বিশ্বের যেসব শহরের মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে সেগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের যৌথ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। দেশটির বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ গত সোমবার উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে ঢাকার দাবদাহ নিয়ে সম্প্রতি ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একটি যৌথ গবেষণা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের গবেষণায় গরমের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাবে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষকরা এসব এলাকাকে বলছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।
কোন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানা শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানা অসুখেও ভোগেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আর্থ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাসকেড টুহলস্কির মতে, চরম উষ্ণতার প্রভাবে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলনা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। গরমের প্রভাবে ঢাকার মানুষের কর্মক্ষমতা কমার কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা জানা জরুরি।
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায় ৩৭ শতাংশ। বাকি দায় অভ্যন্তরীণ। বৃক্ষনিধন, নদ-নদী দখল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইটভাটা, কলকারখানা ও পরিবহনের দূষিত বায়ু প্রভৃতি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বিভিন্ন সময় সরকার যেসব অঙ্গীকার করেছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, রাজধানীর জনসংখ্যাও তেমন বাড়ছে। ১৯৮৩ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে প্রায় দুই কোটি। ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা বাড়ছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই লাখো মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসে। রাজধানীতে মানুষের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।
বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১
বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবে বিশ্বের যেসব শহরের মানুষের কর্মক্ষমতা কমছে সেগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের যৌথ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। দেশটির বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এ গত সোমবার উক্ত গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের গণমাধ্যমগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এদিকে ঢাকার দাবদাহ নিয়ে সম্প্রতি ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অন হিট ওয়েভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক একটি যৌথ গবেষণা করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, জার্মান রেডক্রস এবং বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের গবেষণায় গরমের সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রভাবে ঢাকায় তাপপ্রবাহের ফলে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২৫টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। গবেষকরা এসব এলাকাকে বলছেন ‘হিট আইল্যান্ড’।
কোন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লে তার নেতিবাচক প্রভাব সেখানকার বাসিন্দাদের ওপর পড়ে। বিশেষ করে কায়িক শ্রম দেন যেসব মানুষ নানা শারীরিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। গরমের মৌসুমে অনেকে হিটস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। গরমজনিত নানা অসুখেও ভোগেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আর্থ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্যাসকেড টুহলস্কির মতে, চরম উষ্ণতার প্রভাবে অসুস্থতা ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। মানুষের কর্মক্ষমতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তীব্র গরমের মতো প্রতিকূল আবহাওয়ায় স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলনা করা দুরূহ হয়ে পড়ে। গরমের প্রভাবে ঢাকার মানুষের কর্মক্ষমতা কমার কারণে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে সেটা জানা জরুরি।
রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়ার পেছনে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের দায় ৩৭ শতাংশ। বাকি দায় অভ্যন্তরীণ। বৃক্ষনিধন, নদ-নদী দখল, অপরিকল্পিত নগরায়ন, ইটভাটা, কলকারখানা ও পরিবহনের দূষিত বায়ু প্রভৃতি কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় বিভিন্ন সময় সরকার যেসব অঙ্গীকার করেছে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন জরুরি।
তাপমাত্রা যেমন বাড়ছে, রাজধানীর জনসংখ্যাও তেমন বাড়ছে। ১৯৮৩ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল ৪০ লাখ। ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে প্রায় দুই কোটি। ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা বাড়ছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ হারে। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বের মধ্যে ঢাকার জনসংখ্যা সবচেয়ে দ্রুত বাড়ছে। নানা প্রয়োজনে প্রতিদিনই লাখো মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসে। রাজধানীতে মানুষের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এজন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।