জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমির আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।
মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের মনের কথাটি তিনি উচ্চারণ করেছেন। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছেন যেসব মানুষ তারা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে নতুন করে আশাবাদী হতে পারেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কত তীব্র ও বেদানাদায়ক সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। কারণ, তিনিও একজন ভুক্তভোগী। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। মামলা করা বা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও ছিল না।
যথাসময়ে বিচার না হওয়ায় শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই দীর্ঘকাল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ’৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তারা করেছে। এটা এখনও চলমান।
ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছে সোহাগী জাহান তনুর স্বজনরা। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছে ত্বকী, সাগর-রুনি, কক্সবাজারের একরামের পরিবার। রাষ্ট্রের কাছে স্বজন হত্যার বিচার বা নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা রাজপথে প্রকাশ্যেও কাঁদছে বহু পরিবার। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা এটাও জানেন না যে, তাদের প্রিয়জন আদৌ বেঁচে আছে কিনা। বিচার চেয়েও সেটা কেন মিলছে না তার কোন উত্তর নেই। স্বজন হত্যার বিচার পাওয়ার পথে দেশে নেই কোন কালো আইন। অথচ তারা এখনও বিচার পাননি।
আমরা মনে করি, জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচার দেয়ার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবেন সেটা আমাদের আশা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিলে বিচারপ্রার্থী মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটবে, বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। সরকারপ্রধানের বক্তব্যের পর বিচার নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিতদের আর কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়।
আমরা আশা করব, সর্বক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটবে। ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সবসময় জনগণের পাশে থাকবে। তাহলেই মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১
জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিসিএস প্রশাসন একাডেমির আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে প্রশাসনের নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আপনারা নিবেদিত থাকবেন, জনগণের পাশে থাকবেন। মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।
মানুষের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী প্রতিটি মানুষের মনের কথাটি তিনি উচ্চারণ করেছেন। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছেন যেসব মানুষ তারা প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে নতুন করে আশাবাদী হতে পারেন। ন্যায়বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কত তীব্র ও বেদানাদায়ক সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। কারণ, তিনিও একজন ভুক্তভোগী। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে তার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। মামলা করা বা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাওয়ার অধিকারটুকুও ছিল না।
যথাসময়ে বিচার না হওয়ায় শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই দীর্ঘকাল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষকেও অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ’৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়নি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও তারা করেছে। এটা এখনও চলমান।
ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় আছে সোহাগী জাহান তনুর স্বজনরা। বিচার চেয়ে তা না পেয়ে নিভৃতে কাঁদছে ত্বকী, সাগর-রুনি, কক্সবাজারের একরামের পরিবার। রাষ্ট্রের কাছে স্বজন হত্যার বিচার বা নিখোঁজ স্বজনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলনে বা রাজপথে প্রকাশ্যেও কাঁদছে বহু পরিবার। নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনরা এটাও জানেন না যে, তাদের প্রিয়জন আদৌ বেঁচে আছে কিনা। বিচার চেয়েও সেটা কেন মিলছে না তার কোন উত্তর নেই। স্বজন হত্যার বিচার পাওয়ার পথে দেশে নেই কোন কালো আইন। অথচ তারা এখনও বিচার পাননি।
আমরা মনে করি, জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সেটা সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের জন্যই প্রযোজ্য। রাষ্ট্র কাঠামোর বিভিন্ন স্তরে বিচারপ্রার্থীকে ন্যায়বিচার দেয়ার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছেন তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মর্মার্থ অনুধাবন করবেন সেটা আমাদের আশা। তারা প্রধানমন্ত্রীর উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিলে বিচারপ্রার্থী মানুষের অপেক্ষার অবসান ঘটবে, বিচারের বাণী নিভৃতে আর কাঁদবে না। সরকারপ্রধানের বক্তব্যের পর বিচার নিশ্চিত করার কাজে নিয়োজিতদের আর কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়।
আমরা আশা করব, সর্বক্ষেত্রে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটবে। ন্যায়বিচার দেয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সবসময় জনগণের পাশে থাকবে। তাহলেই মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।