প্রবাসী শ্রমিকদের করোনার টিকা পেতে এখনও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিবন্ধন করেও অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করছেন। টিকা পাওয়ার তারিখ জানিয়ে তাদের কাছে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে না। আবার নিন্ধনের নাম করে কোথাও কোথাও টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সংবাদ-এ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
করোনা টিকার নিবন্ধন করতে গিয়েই প্রথম ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রবাসীদের। প্রথমে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিআইএমটি) অধীনে নির্ধারিত অফিসে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর সরকারের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের পর মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে টিকার কেন্দ্র ও তারিখ জানানো হয়।
নিবন্ধন করার পর চার-পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও টিকা গ্রহণের মেসেজ পাচ্ছেন না অনেকেই। টিকাকেন্দ্রে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ। আবার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ আসছে না অনেকেরই।
টিকা গ্রহণে এমন ভোগান্তিতে প্রবাসী শ্রমিকদের বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা অনেকেই সময়মতো কর্মস্থলেও যোগ দিতে পারছেন না। অনেকের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। সময়মতো কাজে যোগদান করতে না পারলে কাজ হারানোর আশঙ্কা তো রয়েছেই। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবসহ কিছু দেশ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দেশের টিকা ছাড়া অন্য দেশের টিকা নেয়া শ্রমিকদের গ্রহণ করে না। কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য এসব টিকা শুধুমাত্র রাজধানীতেই দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই অবস্থায় রাজধানীর বাইরে থেকে এসে অনেক প্রবাসী যদি টিকা না পেয়ে ফিরে যায়, তাহলে তাদের শ্রম ও অর্থ সবই বিফলে যায়। আবার তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে একটি চক্র নানান কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ে না।
প্রবাসীদের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি বা জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। তাদের টিকার নিবন্ধন পদ্ধতি আরও সহজ হওয়া দরকার। নিবন্ধনের নামে যেন কোন চক্র তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিবন্ধনের পর যথাসময়ে মেসেজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ভোগান্তি লাঘবে টিকাদান ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশেষ করে ফাইজারের মতো কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এমন টিকা জেলাশহরগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
দাম বেশি হলেও প্রবাসীদের জন্য এক ডোজের টিকা আনার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১
প্রবাসী শ্রমিকদের করোনার টিকা পেতে এখনও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। নিবন্ধন করেও অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করছেন। টিকা পাওয়ার তারিখ জানিয়ে তাদের কাছে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে না। আবার নিন্ধনের নাম করে কোথাও কোথাও টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সংবাদ-এ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
করোনা টিকার নিবন্ধন করতে গিয়েই প্রথম ভোগান্তিতে পড়তে হয় প্রবাসীদের। প্রথমে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিআইএমটি) অধীনে নির্ধারিত অফিসে নিবন্ধন করতে হয়। এরপর সরকারের সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধনের পর মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে টিকার কেন্দ্র ও তারিখ জানানো হয়।
নিবন্ধন করার পর চার-পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও টিকা গ্রহণের মেসেজ পাচ্ছেন না অনেকেই। টিকাকেন্দ্রে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কেউ কেউ। আবার প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের মেসেজ আসছে না অনেকেরই।
টিকা গ্রহণে এমন ভোগান্তিতে প্রবাসী শ্রমিকদের বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তারা অনেকেই সময়মতো কর্মস্থলেও যোগ দিতে পারছেন না। অনেকের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। সময়মতো কাজে যোগদান করতে না পারলে কাজ হারানোর আশঙ্কা তো রয়েছেই। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবসহ কিছু দেশ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দেশের টিকা ছাড়া অন্য দেশের টিকা নেয়া শ্রমিকদের গ্রহণ করে না। কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণযোগ্য এসব টিকা শুধুমাত্র রাজধানীতেই দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এই অবস্থায় রাজধানীর বাইরে থেকে এসে অনেক প্রবাসী যদি টিকা না পেয়ে ফিরে যায়, তাহলে তাদের শ্রম ও অর্থ সবই বিফলে যায়। আবার তাদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে একটি চক্র নানান কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকদের এসব সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগই চোখে পড়ে না।
প্রবাসীদের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তি বা জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। তাদের টিকার নিবন্ধন পদ্ধতি আরও সহজ হওয়া দরকার। নিবন্ধনের নামে যেন কোন চক্র তাদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিবন্ধনের পর যথাসময়ে মেসেজ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ভোগান্তি লাঘবে টিকাদান ব্যবস্থার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশেষ করে ফাইজারের মতো কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয় এমন টিকা জেলাশহরগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
দাম বেশি হলেও প্রবাসীদের জন্য এক ডোজের টিকা আনার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে।