alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষা করুন

: শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১

চট্টগ্রামের হালদা, কর্ণফুলী ও সাঙ্গু নদীতে নিয়মিতই দেখা যেত গাঙ্গেয় ডলফিন। এখন কালেভদ্রে দেখা মেলে দু’একটির। নানান কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের এই বিপন্ন প্রজাতির ‘গেঞ্জেস ডলফিন’ বা গাঙ্গেয় ডলফিন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) হিসাব মতে, সারাবিশ্বের বিভিন্ন নদীতে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ গাঙ্গেয় ডলফিন আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হালদা নদীতে ডলফিন ছিল ১৬৭টি। এরপর ২০২০ সালে ডলফিন পাওয়া যায় ১২৭টি। আর বর্তমানে আছে মাত্র ৯৭টি। অথচ গবেষকরা সর্বাধিক ডলফিন থাকা চট্টগ্রামের হালদা নদীকেই এর নিরাপদ আবাসস্থল বলে ধারণা করে আসছিলেন। আশঙ্কার কথা হলো, গত চার বছরে শুধু হালদা নদীতেই মারা গেছে ৩১টি ডলফিন। সর্বশেষ মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে দুটি।

গাঙ্গেয় ডলফিনকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে দেশে এখনো যে কয়টি ডলফিন অবশিষ্ট আছে সেই কয়টিরও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। হয়ত প্রজাতিটি একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

গবেষকদের মতে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন নদীতে একের পর এক ডলফিন প্রাণ হারাচ্ছে আঘাতজনিত কারণে। এর লম্বা ঠোঁটে করাতের মতো দাঁত নদীতে থাকা জালে আটকে যায়। জালে আধাঘণ্টার বেশি আটকে থাকলে শ্বাসরোধে এর মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে মৃত ডলফিনের ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডলফিন মারা গেছ আঘাতজনিত কারণে। কারণ ডলফিন ওজনে অনেক ভারি হলেও এর শরীরে মাংসপেশি নেই। তাই এর প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, একটু আঘাত পেলে দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে পচন ধরে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিন ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচলেও এদের জন্মহার কম। নদীকে ঘিরে নেওয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প এদের আবাসস্থল ধ্বংস করছে। নদীর নিম্নাংশে বালুতট, বিভিন্ন উপনদী, খাল এবং অন্য নদীর সঙ্গে সংযোগস্থলে ডলফিন বেশি বিচরণ করে। নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌযান, মাছ ধরার জাল ও ড্রেজার থাকার ফলে বিপন্ন হচ্ছে ডলফিনের প্রাণ।

ডলফিন রক্ষার জন্য এদের বিচরণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নত এলাকা ডলফিনের অভয়াশ্রম ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জেলেদের সচেতন করতে হবে। অভয়াশ্রমে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচলে সতর্ক করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গাঙ্গেয় ডলফিন রক্ষা করুন

শুক্রবার, ০৮ অক্টোবর ২০২১

চট্টগ্রামের হালদা, কর্ণফুলী ও সাঙ্গু নদীতে নিয়মিতই দেখা যেত গাঙ্গেয় ডলফিন। এখন কালেভদ্রে দেখা মেলে দু’একটির। নানান কারণে হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের এই বিপন্ন প্রজাতির ‘গেঞ্জেস ডলফিন’ বা গাঙ্গেয় ডলফিন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) হিসাব মতে, সারাবিশ্বের বিভিন্ন নদীতে এক হাজার ১০০ থেকে এক হাজার ২০০ গাঙ্গেয় ডলফিন আছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হালদা নদীতে ডলফিন ছিল ১৬৭টি। এরপর ২০২০ সালে ডলফিন পাওয়া যায় ১২৭টি। আর বর্তমানে আছে মাত্র ৯৭টি। অথচ গবেষকরা সর্বাধিক ডলফিন থাকা চট্টগ্রামের হালদা নদীকেই এর নিরাপদ আবাসস্থল বলে ধারণা করে আসছিলেন। আশঙ্কার কথা হলো, গত চার বছরে শুধু হালদা নদীতেই মারা গেছে ৩১টি ডলফিন। সর্বশেষ মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রাণ হারিয়েছে দুটি।

গাঙ্গেয় ডলফিনকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে দেশে এখনো যে কয়টি ডলফিন অবশিষ্ট আছে সেই কয়টিরও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। হয়ত প্রজাতিটি একসময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

গবেষকদের মতে, চট্টগ্রামের বিভিন্ন নদীতে একের পর এক ডলফিন প্রাণ হারাচ্ছে আঘাতজনিত কারণে। এর লম্বা ঠোঁটে করাতের মতো দাঁত নদীতে থাকা জালে আটকে যায়। জালে আধাঘণ্টার বেশি আটকে থাকলে শ্বাসরোধে এর মৃত্যু হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে মৃত ডলফিনের ময়নাতদন্ত করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ডলফিন মারা গেছ আঘাতজনিত কারণে। কারণ ডলফিন ওজনে অনেক ভারি হলেও এর শরীরে মাংসপেশি নেই। তাই এর প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, একটু আঘাত পেলে দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে পচন ধরে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিন ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচলেও এদের জন্মহার কম। নদীকে ঘিরে নেওয়া নানা উন্নয়ন প্রকল্প এদের আবাসস্থল ধ্বংস করছে। নদীর নিম্নাংশে বালুতট, বিভিন্ন উপনদী, খাল এবং অন্য নদীর সঙ্গে সংযোগস্থলে ডলফিন বেশি বিচরণ করে। নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌযান, মাছ ধরার জাল ও ড্রেজার থাকার ফলে বিপন্ন হচ্ছে ডলফিনের প্রাণ।

ডলফিন রক্ষার জন্য এদের বিচরণ ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। চিহ্নত এলাকা ডলফিনের অভয়াশ্রম ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় জেলেদের সচেতন করতে হবে। অভয়াশ্রমে ইঞ্জিনচালিত নৌযান চলাচলে সতর্ক করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।

back to top