alt

সম্পাদকীয়

করোনার সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

: সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

করোনার সংক্রমণ ও এতে মানুষের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কমবেশি বিতর্ক আছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এখন করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে। যে কারণে অনেকে জানতেই পারছেন না যে তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। রোগাক্রান্ত সবাই যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাও নয়। করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যুর সঠিক চিত্র মিলছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও বলা যায় যে, দেশে করোনা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২০ নভেম্বর কোভিড-১৯ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি। ৫৯৭ দিন পর দেশে এমন একটি দিনের দেখা মিলল যেদিন দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি। সর্বশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কোভিড-১৯ রোগে দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছর ১৮ মার্চ।

উনিশ মাসেরও বেশি সময় পর দেশে করোনায় একজনও মারা না যাওয়ার খবর মিলল। দেশের মানুষ এমনই একটি দিনের অপেক্ষায় ছিল। তবে এর পরের দিনই করোনায় সাতজন মারা গেছেন। দেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের। বিশ্ববাসী এই মহামারী থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে। দেশে করোনার টিকাদান শুরু হওয়ার পর সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমরা আশা করি, এই ধারা আগামীতেও বজায় থাকবে।

করোনার টিকায় আশা তৈরি হলেও শঙ্কাও রয়েছে। শুধু টিকা নিয়ে করোনা প্রতিরোধ করা যাবে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের যে ধরন তাতে টিকা নিলেও এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেক দেশই টিকা দেয়ার পরও আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।

অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছেন। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা এখন আর নেই বললেই চলে। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা বেশিরভাগ মানুষ ভুলেই গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা থাকলে সংক্রমণ কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়ে যেতে পারে।

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। মাস্ক সবাইকেই পরতে হবে। এমনকি টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদেরও মাস্ক পরতে হবে।

মহামারী করোনায় বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। ‘লকডাউন’, ‘শাটডাউনে’ আর্থসামাজিক ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না অবহেলা-উদাসীনতায় দেশ আবার কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হোক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

tab

সম্পাদকীয়

করোনার সংক্রমণ কমলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে

সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

করোনার সংক্রমণ ও এতে মানুষের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে কমবেশি বিতর্ক আছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এখন করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে। যে কারণে অনেকে জানতেই পারছেন না যে তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। রোগাক্রান্ত সবাই যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাও নয়। করোনার সংক্রমণ ও এতে মৃত্যুর সঠিক চিত্র মিলছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। তা সত্ত্বেও বলা যায় যে, দেশে করোনা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২০ নভেম্বর কোভিড-১৯ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি। ৫৯৭ দিন পর দেশে এমন একটি দিনের দেখা মিলল যেদিন দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি। সর্বশেষ গত বছরের ৩ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত কারও মৃত্যু হয়নি। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। কোভিড-১৯ রোগে দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সে বছর ১৮ মার্চ।

উনিশ মাসেরও বেশি সময় পর দেশে করোনায় একজনও মারা না যাওয়ার খবর মিলল। দেশের মানুষ এমনই একটি দিনের অপেক্ষায় ছিল। তবে এর পরের দিনই করোনায় সাতজন মারা গেছেন। দেশে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৭ হাজার ৯৪৬ জন। করোনা শনাক্ত হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের। বিশ্ববাসী এই মহামারী থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে। দেশে করোনার টিকাদান শুরু হওয়ার পর সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমরা আশা করি, এই ধারা আগামীতেও বজায় থাকবে।

করোনার টিকায় আশা তৈরি হলেও শঙ্কাও রয়েছে। শুধু টিকা নিয়ে করোনা প্রতিরোধ করা যাবে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের যে ধরন তাতে টিকা নিলেও এতে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। অনেক দেশই টিকা দেয়ার পরও আবারও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।

অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করছেন। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করার চেষ্টা এখন আর নেই বললেই চলে। অনেকের মুখেই নেই মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজের কথা বেশিরভাগ মানুষ ভুলেই গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে উদাসীনতা থাকলে সংক্রমণ কমার পরিবর্তে উল্টো বেড়ে যেতে পারে।

স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এক্ষেত্রে শৈথিল্যের কোন সুযোগ নেই। মাস্ক সবাইকেই পরতে হবে। এমনকি টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদেরও মাস্ক পরতে হবে।

মহামারী করোনায় বহু প্রাণ ক্ষয় হয়েছে। ‘লকডাউন’, ‘শাটডাউনে’ আর্থসামাজিক ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা চাই না অবহেলা-উদাসীনতায় দেশ আবার কোন বিপর্যয়ের সম্মুখীন হোক।

back to top