ঢাকা মহানগরী গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে চাচ্ছে সরকার। রাজধানীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থাতেই আবার নতুন ড্যাপের খসড়া করা হয়েছে।
খসড়া ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গত শনিবার রাজধানীতে সেমিনারের আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খসড়ায় নতুন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে ও বাস্তবতার নিরিখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ড্যাপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ভূমি ব্যবহারসহ সামাজিক চাহিদার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নিজস্ব বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
রাজউকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) এর আওতায় সমগ্র রাজউক এলাকার জন্য ২০০৪ সালে ড্যাপ (২০১০-২০১৫) প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এই ড্যাপ অনুযায়ী রাজউক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম করেছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও সমন্বয়হীতার অভাবে নগরবাসী এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
নতুন ড্যাপ প্রণয়ন করার কথা ছিল আরো পাঁচ বছর আগে। অথচ এখনও এর খসড়াই চূড়ান্ত করা যায়নি। তাহলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে কবে আর এর সুফলই মিলবে কবে থেকে। পরিকল্পনা হতে হয় সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। দেশে পরিকল্পনা করা হয় বহু। কিন্তু তার বাস্তবায়নের হার নগন্য।
খসড়ায় বলা হয়েছে-পূর্বের ড্যাপের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ড্যাপ প্রণয়ন করা হবে। নিশ্চয়ই খসড়াও এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ নানান অংশীজনরা। অভিযোগ উঠেছে যে, খসড়ায় প্লাবন ভূমির অযাচিত শ্রেণী বিন্যাস রাখা হয়েছে।
খসড়ায় মিশ্র এলাকা ও নদীর চারপাশে ভারি ও মাঝারি ধরনের শিল্প কল-কারখানা করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে অনেক দখলদারদের বৈধতা দেওয়ার যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে মতপ্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা বলতে চাই, দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো না গেলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে এসব বিষয় আমলে নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। সংশ্লিষ্টদের ডেকে শুধু মতামত নিলেই হবে না। যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি। ড্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অতীতের মতো কারও কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।
সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
ঢাকা মহানগরী গড়ে উঠেছে অপরিকল্পিতভাবে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে চাচ্ছে সরকার। রাজধানীকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও বাসযোগ্য নগরী গড়ে তোলা। ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ অবস্থাতেই আবার নতুন ড্যাপের খসড়া করা হয়েছে।
খসড়া ড্যাপ (২০১৬-২০৩৫) চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে গত শনিবার রাজধানীতে সেমিনারের আয়োজন করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খসড়ায় নতুন করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ সংযোজন করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপদ আবাসস্থলের জন্য নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে ও বাস্তবতার নিরিখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, ড্যাপের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট ভূমি ব্যবহারসহ সামাজিক চাহিদার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানসমূহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকার নিজস্ব বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
রাজউকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (১৯৯৫-২০১৫) এর আওতায় সমগ্র রাজউক এলাকার জন্য ২০০৪ সালে ড্যাপ (২০১০-২০১৫) প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। এই ড্যাপ অনুযায়ী রাজউক বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম করেছিল। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও সমন্বয়হীতার অভাবে নগরবাসী এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
নতুন ড্যাপ প্রণয়ন করার কথা ছিল আরো পাঁচ বছর আগে। অথচ এখনও এর খসড়াই চূড়ান্ত করা যায়নি। তাহলে এর বাস্তবায়ন শুরু হবে কবে আর এর সুফলই মিলবে কবে থেকে। পরিকল্পনা হতে হয় সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত। তাহলে সেটা বাস্তবায়ন করা সহজ হয়। দেশে পরিকল্পনা করা হয় বহু। কিন্তু তার বাস্তবায়নের হার নগন্য।
খসড়ায় বলা হয়েছে-পূর্বের ড্যাপের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে একটি জনবান্ধব, বাস্তবসম্মত ড্যাপ প্রণয়ন করা হবে। নিশ্চয়ই খসড়াও এ লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু খসড়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজনীতিবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদীসহ নানান অংশীজনরা। অভিযোগ উঠেছে যে, খসড়ায় প্লাবন ভূমির অযাচিত শ্রেণী বিন্যাস রাখা হয়েছে।
খসড়ায় মিশ্র এলাকা ও নদীর চারপাশে ভারি ও মাঝারি ধরনের শিল্প কল-কারখানা করতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর মাধ্যমে অনেক দখলদারদের বৈধতা দেওয়ার যাত্রা শুরু হচ্ছে বলে মতপ্রকাশ করেছেন অনেকে। আমরা বলতে চাই, দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো না গেলে রাজধানীর পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না। ড্যাপ চূড়ান্ত করার আগে এসব বিষয় আমলে নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। সংশ্লিষ্টদের ডেকে শুধু মতামত নিলেই হবে না। যৌক্তিক মত গ্রহণ করা জরুরি। ড্যাপ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অতীতের মতো কারও কাছে নতি স্বীকার করা যাবে না।