রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঐক্য। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় দেয়া স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক দেশ গড়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তখন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিল এবং বিজয় অর্জন করেছিল। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তির বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। এখনো অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। ফুরিয়ে যায়নি ঐক্য গড়ার প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমাদের এমনটাই মনে হয়েছে।
দেশে এখনও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়নি। গণতন্ত্রকে দেয়া যায়নি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য অনেককেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন হামলার শিকার হচ্ছে তখন তাদের পাশে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায় না। এমনকি প্রশাসনও যথাসময়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া স্বাধীন দেশে কেন মতপ্রকাশের জন্য নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হবে, কেন সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হবে সেটা একটা প্রশ্ন। মতভিন্নতা থাকাই গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভিন্নমত প্রকাশের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মতপ্রকাশের পথ অবরুদ্ধ হলে গণতন্ত্রেরই ক্ষতি হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। একদিকে সরকারকে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে বিরোধীদের মত প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। ভিন্নমত দলন বা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের নামে অস্থিতিশীলতা-অরাজকতা সৃষ্টি করা গণতান্ত্রিক রীতি নয়।
যদি আমরা গণতন্ত্র চাই তাহলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আর এই কাজে দলমত নির্বিশেষে সবার শামিল হতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। আমরা এখনো যদি সজাগ না হই, ঐক্য গড়ে না তুলি তাহলে স্বাধীনতার সুফল মানুষের কাছে টেকসইভাবে পৌঁছানো দুরূহ হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে প্রয়োজন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সবার মধ্যে ঐক্য। ঐক্য গড়ে তুলতে হবে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে।’ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় দেয়া স্মারক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক দেশ গড়া ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা। অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তখন ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়েছিল এবং বিজয় অর্জন করেছিল। বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তির বাকি আছে আর মাত্র কয়েকদিন। এখনো অগণতান্ত্রিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। ফুরিয়ে যায়নি ঐক্য গড়ার প্রয়োজন। রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমাদের এমনটাই মনে হয়েছে।
দেশে এখনও গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা যায়নি। গণতন্ত্রকে দেয়া যায়নি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য অনেককেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হতে হয় বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রদায়িক হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন হামলার শিকার হচ্ছে তখন তাদের পাশে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায় না। এমনকি প্রশাসনও যথাসময়ে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
দীর্ঘ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে জন্ম নেয়া স্বাধীন দেশে কেন মতপ্রকাশের জন্য নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হবে, কেন সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হতে হবে সেটা একটা প্রশ্ন। মতভিন্নতা থাকাই গণতন্ত্র। একটি গণতান্ত্রিক দেশ ভিন্নমত প্রকাশের সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মতপ্রকাশের পথ অবরুদ্ধ হলে গণতন্ত্রেরই ক্ষতি হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। একদিকে সরকারকে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, অন্যদিকে বিরোধীদের মত প্রকাশ করতে হবে গণতান্ত্রিক পন্থায়। ভিন্নমত দলন বা স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের নামে অস্থিতিশীলতা-অরাজকতা সৃষ্টি করা গণতান্ত্রিক রীতি নয়।
যদি আমরা গণতন্ত্র চাই তাহলে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে সাড়া দিতে হবে। গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার কাজ এগিয়ে নিতে হবে। আর এই কাজে দলমত নির্বিশেষে সবার শামিল হতে হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে। আমরা এখনো যদি সজাগ না হই, ঐক্য গড়ে না তুলি তাহলে স্বাধীনতার সুফল মানুষের কাছে টেকসইভাবে পৌঁছানো দুরূহ হবে।