গণপরিবহনে ‘হাফ পাসের’ দাবিতে কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। তার সঙ্গে এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে নিরাপদ সড়কের দাবি।
গাড়িচাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে আন্দোলন করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার শিক্ষার্থী নাঈম গুলিস্তানে সড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লার গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সে পড়ে যায়। এরপর গাড়িটি না থেমে তাকে চাপা দেয়।
ডিএসসিসির ভাষ্য অনুযায়ী, গাড়িটি চালাচ্ছিল একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। কিন্ত পুলিশ জানিয়েছে গাড়িটি চালাচ্ছিল পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সহকারী। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তের বিচার হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি ও পরিবহনে নানান অনিয়ম ঘটতে দেখা যায়। লাইসেন্স, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চালানো, চালকের পরিবর্তে সহকারী দিয়ে গাড়ি চালানো- এসব পুরোনো অভিযোগ। কিন্তু ডিএসসিসির মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলে কীভাবে- সেই প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষত্রে কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি আছে কিনা- সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের আন্দোলন শুরু হয়। তখন নতুন করে সড়ক আইন পাসের পাশাপাশি দুর্ঘটনা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারেরও আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার বিচার এখনও হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। যে কারণে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সড়ক নিরাপদ করা যাচ্ছে না। প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সেসব দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা হতাহত হয়। আজ সকালেও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া (বিশ্বরোড) নামক স্থানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তিনজন কলেজ শিক্ষার্থী। একই দিনে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারান আহসান কবির খান নামে একজন সংবাদ কর্মী।
সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এখন ছয়টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
গণপরিবহনে ‘হাফ পাসের’ দাবিতে কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল। তার সঙ্গে এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে নিরাপদ সড়কের দাবি।
গাড়িচাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে আন্দোলন করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার শিক্ষার্থী নাঈম গুলিস্তানে সড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লার গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে সে পড়ে যায়। এরপর গাড়িটি না থেমে তাকে চাপা দেয়।
ডিএসসিসির ভাষ্য অনুযায়ী, গাড়িটি চালাচ্ছিল একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী। কিন্ত পুলিশ জানিয়েছে গাড়িটি চালাচ্ছিল পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সহকারী। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তের বিচার হবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ি ও পরিবহনে নানান অনিয়ম ঘটতে দেখা যায়। লাইসেন্স, ফিটনেস ছাড়া গাড়ি চালানো, চালকের পরিবর্তে সহকারী দিয়ে গাড়ি চালানো- এসব পুরোনো অভিযোগ। কিন্তু ডিএসসিসির মতো একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলে কীভাবে- সেই প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষত্রে কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি আছে কিনা- সেটা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী নিরাপদ সড়কের আন্দোলন শুরু হয়। তখন নতুন করে সড়ক আইন পাসের পাশাপাশি দুর্ঘটনা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারেরও আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার বিচার এখনও হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। যে কারণে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সড়ক নিরাপদ করা যাচ্ছে না। প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সেসব দুর্ঘটনায় সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা হতাহত হয়। আজ সকালেও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া (বিশ্বরোড) নামক স্থানে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তিনজন কলেজ শিক্ষার্থী। একই দিনে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারান আহসান কবির খান নামে একজন সংবাদ কর্মী।
সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা এখন ছয়টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে। তাদের দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে।