লতিফা নিলুফার পাপড়ি
করোনা আবার জেঁকে বসেছে। সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণেই করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল; কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা আর পরলাম না! সরকারের দিকনির্দেশনাগুলো ভুলে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধিবিধান ভুলে বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা শুরু করে দিলাম।
আমাদেরে সুরক্ষিত রাখতে সরকার স্কুল কলেজ ভার্সিটি বন্ধ রাখলেন। আর আমরা লাখে লাখে চলে গেলাম সমুদ্র দর্শনে কক্সবাজার। পাহাড় দেখতে গেলাম বান্দরবান, হাওর দেখতে হাকালুকি, জঙ্গল দেখতে লাউয়াছড়া। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লাম। এর ফল পেলাম কী? করোনাকে দিলাম সারাদেশে ছড়িয়ে। তারই পরিণতি আমাদের দেশে করোনার আবার এই ঊর্ধ্বগতি।
আমরা জনগণ এখনো আছি লাগামহীন। রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে লাগাম টানার আবার নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। পরিকল্পনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে পরিকল্পনাগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভর্তি করার জন্য শয্যা খালি পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার অবস্থা খুবই নাজুক। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে-‘ঢাকার হাসপাতালে ঠাঁই নাই’, আইসিইউ ঘাটতি দূরের আশ্বাস’। এসব শিরোনাম আমাদের বলে দেয় করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আর চিকিৎসা পাবে না। আইসিইউ প্রয়োজন হলে সেটাও পাবে না। পরিস্থিতি কত ভয়াবহ! ভাবতে গেলেই শরীরের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই লকডাউনের কথা বলছেন। ৫ এপ্রিল থেকে এক সাপ্তাহের লকডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অতীত অভিজ্ঞতা বলে-লকডাউনে কিছু সুযোগসন্ধানী ও স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতা বহুগুণে বেড়ে যায়। মানবসেবার মনমানসিকতা তো তাদের দেখা যায়ই না; বরং কীভাবে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করা যায়, ত্রাণ চুরি করা যায়, সেই ফন্দিফিকির করে। আমাদের দেশে দুর্নীতি প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের লোকেরা যেভাবে নিজের আত্মীয়স্বজনদের নাম লিখিয়ে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা তুলে নেয়; ঠিক তেমনি ত্রাণসামগ্রীর বিরাট অংশ তারা গত লকডাউনে লুটে নিয়েছে। আমি এমনও দেখেছি পরিচিত মুখগুলোকে বারবার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অথচ তাদের পাশের ঘরে রহস্যময় কারণে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো হয়নি।
দলের লোক দেখে ত্রাণ দেওয়া, এটা আমাদের দেশে নতুন কোন সংস্কৃতি নয়। ত্রাণ বিতরণ হয় দলের লোকের মধ্যেই। সাধারণ মধ্যবিত্ত যারা এ দলেও না ও দলেও না- তারা না পারে বলতে, না পারে সহ্য করতে। এবারও লকডাউন দিলে সেই গত বছরের মতোই হবে। যারা পেয়েছে, তারা কেবল পাবে। আর আমার মতো মাঝখানে থাকাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে কষ্টের মধ্যে পড়বে।
এরপর যারা কেড়ে খেতে পারে তাদের কোন সমস্যা নেই। স্বল্প আয়ের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লকডাউনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল। তারা এখনো উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের জন্য বড় কষ্ট হয়।
আর কিছু কিছু মানুষের চরিত্র দেখে অবাক হয়েছি; যারা লকডাউনে সাময়িকভাবে একটু বেকায়দায় পড়েছিল তারা সুযোগে নির্ভেজাল, নির্লোভ ব্যক্তিদের জিম্মি করে মিথ্যা কথা বলে সুদে-আসলে টাকা-পয়সা আদায় করে নিয়েছে।
দেশে করোনা এসেছে না লুটেরাদের সুসময় এসেছে! ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারে মানুষকে ঠকাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির এমন ভয়াবহ অবস্থা আমরাই সৃষ্টি করেছি। জনসমাগম এড়িয়ে চলা মানে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকাকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করছি। বিয়ে, জিয়াফত, সভা সমাবেশ, সেমিনার, কনসার্ট, ওয়াজ মাহফিল, পূজাপার্বণ, কীর্তনে বহু লোকের সমাগমকে পাত্তাই দেই না।
হয়তো আজকের এ পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী। সরকার তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করেছে। কিন্তু আমরা সচেতন হইনি। মাস্ক পরিধান করাকে হেসে উড়িয়ে দেন অনেকেই। করোনাকালে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ চলাচল করে রাস্তাঘাটে। মৃত্যু ভয় নিজের না থাকুক ভালো কথা; কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত কেন করব? এই বোধটুকুও আমাদের মধ্যে নেই।
বর্তমানে আমাদের জেলায় করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। যারা পরীক্ষা করাচ্ছেন তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন শতকরা ২২ ভাগেরও বেশি। আমরা যারা গুরুত্ব দিচ্ছি; তারা আছি আতঙ্কে। আর যারা করোনাকে পাত্তা দিচ্ছে না তাদের এসব খবরে কিছু যায় আসে না। তারা রাস্তায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই মুখে মাস্ক ছাড়া সেই রাজার হালেই চলাফেরা করছেন।
পহেলা এপ্রিল বিকালে মৌলভীবাজারে দেখলাম জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক মাইকিং করা হচ্ছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, মাস্ক পরিধান করুন- ইত্যাদি বাণী প্রচার করছে মাইকিং থেকে। কে শোনে কার কথা। মাইকিংয়ের গাড়ির সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে মানুষ। নির্বিকার, নির্লিপ্ত। বড়জোর পুলিশের গাড়ি দেখলে গলায় কিংবা থুঁতনিতে বাধা মাস্ক তুলবে নাকের উপরে। তারপর সেই আগের মতো করে হাঁটবে। কী মজা! দোষ কেবল সাধারণ মানুকে দেব কেন? টেলিভিশনে আমাদের নেতা-নেত্রীদেরও তো দেখি, তারা মাস্ক থুঁতনিতে নামিয়ে কথা বলছেন। সাধারণ মানুষ তো এসব নেতা-নেত্রীদের দেখেও শিখে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সব অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ করা হবে। তুমি সীমিতভাবে দাওয়াত দিলে লোকে তোমাকে নিয়ে হাসবে। এই হলো আমাদের চরিত্র। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলছেন করোনা প্রতিরোধে মাস্ক একটি বড় অস্ত্র। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরলে করোনা ছড়ানোর গতি অনেকটা কমানো সম্ভব। চিকিৎসকরা তো এটাও বলেছেন- করোনা প্রতিরোধে ‘মাস্কই ভ্যাকসিন’। কিন্তু আমাদের মাস্ক পরার ব্যাপারে খুবই অনীহা। এখনই মাস্ক ব্যবহারে জোরালোভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। শুধু অফিস আদালতগুলোতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এ নির্দেশনা কার্যকর করলেই হবে না। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এই স্লোগান পাল্টে সারাদেশের রাস্তাঘাট, হাটবাজার সর্বত্র স্লোগান হোক ‘নো মাস্ক নো মুভমেন্ট’। এই স্লোগান কার্যকর করলে আমরা করোনা অনেকটাই প্রতিরোধ করতে পারব-এ আমার বিশ্বাস।
[লেখক : শিক্ষক ]
লতিফা নিলুফার পাপড়ি
সোমবার, ০৫ এপ্রিল ২০২১
করোনা আবার জেঁকে বসেছে। সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণেই করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল; কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরা আর পরলাম না! সরকারের দিকনির্দেশনাগুলো ভুলে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধিবিধান ভুলে বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা শুরু করে দিলাম।
আমাদেরে সুরক্ষিত রাখতে সরকার স্কুল কলেজ ভার্সিটি বন্ধ রাখলেন। আর আমরা লাখে লাখে চলে গেলাম সমুদ্র দর্শনে কক্সবাজার। পাহাড় দেখতে গেলাম বান্দরবান, হাওর দেখতে হাকালুকি, জঙ্গল দেখতে লাউয়াছড়া। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়লাম। এর ফল পেলাম কী? করোনাকে দিলাম সারাদেশে ছড়িয়ে। তারই পরিণতি আমাদের দেশে করোনার আবার এই ঊর্ধ্বগতি।
আমরা জনগণ এখনো আছি লাগামহীন। রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায় থেকে লাগাম টানার আবার নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। পরিকল্পনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দেশের জনগণকে রক্ষা করতে পরিকল্পনাগুলো অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভর্তি করার জন্য শয্যা খালি পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার অবস্থা খুবই নাজুক। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে-‘ঢাকার হাসপাতালে ঠাঁই নাই’, আইসিইউ ঘাটতি দূরের আশ্বাস’। এসব শিরোনাম আমাদের বলে দেয় করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালে আর চিকিৎসা পাবে না। আইসিইউ প্রয়োজন হলে সেটাও পাবে না। পরিস্থিতি কত ভয়াবহ! ভাবতে গেলেই শরীরের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনেকেই লকডাউনের কথা বলছেন। ৫ এপ্রিল থেকে এক সাপ্তাহের লকডাউনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অতীত অভিজ্ঞতা বলে-লকডাউনে কিছু সুযোগসন্ধানী ও স্বার্থান্বেষী মহলের তৎপরতা বহুগুণে বেড়ে যায়। মানবসেবার মনমানসিকতা তো তাদের দেখা যায়ই না; বরং কীভাবে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করা যায়, ত্রাণ চুরি করা যায়, সেই ফন্দিফিকির করে। আমাদের দেশে দুর্নীতি প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের লোকেরা যেভাবে নিজের আত্মীয়স্বজনদের নাম লিখিয়ে বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা তুলে নেয়; ঠিক তেমনি ত্রাণসামগ্রীর বিরাট অংশ তারা গত লকডাউনে লুটে নিয়েছে। আমি এমনও দেখেছি পরিচিত মুখগুলোকে বারবার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অথচ তাদের পাশের ঘরে রহস্যময় কারণে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো হয়নি।
দলের লোক দেখে ত্রাণ দেওয়া, এটা আমাদের দেশে নতুন কোন সংস্কৃতি নয়। ত্রাণ বিতরণ হয় দলের লোকের মধ্যেই। সাধারণ মধ্যবিত্ত যারা এ দলেও না ও দলেও না- তারা না পারে বলতে, না পারে সহ্য করতে। এবারও লকডাউন দিলে সেই গত বছরের মতোই হবে। যারা পেয়েছে, তারা কেবল পাবে। আর আমার মতো মাঝখানে থাকাদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে কষ্টের মধ্যে পড়বে।
এরপর যারা কেড়ে খেতে পারে তাদের কোন সমস্যা নেই। স্বল্প আয়ের অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লকডাউনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছিল। তারা এখনো উঠে দাঁড়াতে পারেনি। তাদের জন্য বড় কষ্ট হয়।
আর কিছু কিছু মানুষের চরিত্র দেখে অবাক হয়েছি; যারা লকডাউনে সাময়িকভাবে একটু বেকায়দায় পড়েছিল তারা সুযোগে নির্ভেজাল, নির্লোভ ব্যক্তিদের জিম্মি করে মিথ্যা কথা বলে সুদে-আসলে টাকা-পয়সা আদায় করে নিয়েছে।
দেশে করোনা এসেছে না লুটেরাদের সুসময় এসেছে! ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারে মানুষকে ঠকাচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির এমন ভয়াবহ অবস্থা আমরাই সৃষ্টি করেছি। জনসমাগম এড়িয়ে চলা মানে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকাকেই একমাত্র উপায় বলে মনে করছি। বিয়ে, জিয়াফত, সভা সমাবেশ, সেমিনার, কনসার্ট, ওয়াজ মাহফিল, পূজাপার্বণ, কীর্তনে বহু লোকের সমাগমকে পাত্তাই দেই না।
হয়তো আজকের এ পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী। সরকার তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করেছে। কিন্তু আমরা সচেতন হইনি। মাস্ক পরিধান করাকে হেসে উড়িয়ে দেন অনেকেই। করোনাকালে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি মানুষ চলাচল করে রাস্তাঘাটে। মৃত্যু ভয় নিজের না থাকুক ভালো কথা; কিন্তু অন্যকে সংক্রমিত কেন করব? এই বোধটুকুও আমাদের মধ্যে নেই।
বর্তমানে আমাদের জেলায় করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। যারা পরীক্ষা করাচ্ছেন তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হচ্ছেন শতকরা ২২ ভাগেরও বেশি। আমরা যারা গুরুত্ব দিচ্ছি; তারা আছি আতঙ্কে। আর যারা করোনাকে পাত্তা দিচ্ছে না তাদের এসব খবরে কিছু যায় আসে না। তারা রাস্তায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই মুখে মাস্ক ছাড়া সেই রাজার হালেই চলাফেরা করছেন।
পহেলা এপ্রিল বিকালে মৌলভীবাজারে দেখলাম জেলা তথ্য অফিস কর্তৃক মাইকিং করা হচ্ছে। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, মাস্ক পরিধান করুন- ইত্যাদি বাণী প্রচার করছে মাইকিং থেকে। কে শোনে কার কথা। মাইকিংয়ের গাড়ির সামনে দিয়ে বুক ফুলিয়ে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছে মানুষ। নির্বিকার, নির্লিপ্ত। বড়জোর পুলিশের গাড়ি দেখলে গলায় কিংবা থুঁতনিতে বাধা মাস্ক তুলবে নাকের উপরে। তারপর সেই আগের মতো করে হাঁটবে। কী মজা! দোষ কেবল সাধারণ মানুকে দেব কেন? টেলিভিশনে আমাদের নেতা-নেত্রীদেরও তো দেখি, তারা মাস্ক থুঁতনিতে নামিয়ে কথা বলছেন। সাধারণ মানুষ তো এসব নেতা-নেত্রীদের দেখেও শিখে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সব অনুষ্ঠান, সভা-সমাবেশ করা হবে। তুমি সীমিতভাবে দাওয়াত দিলে লোকে তোমাকে নিয়ে হাসবে। এই হলো আমাদের চরিত্র। বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকেই বলছেন করোনা প্রতিরোধে মাস্ক একটি বড় অস্ত্র। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরলে করোনা ছড়ানোর গতি অনেকটা কমানো সম্ভব। চিকিৎসকরা তো এটাও বলেছেন- করোনা প্রতিরোধে ‘মাস্কই ভ্যাকসিন’। কিন্তু আমাদের মাস্ক পরার ব্যাপারে খুবই অনীহা। এখনই মাস্ক ব্যবহারে জোরালোভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে। শুধু অফিস আদালতগুলোতে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এ নির্দেশনা কার্যকর করলেই হবে না। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এই স্লোগান পাল্টে সারাদেশের রাস্তাঘাট, হাটবাজার সর্বত্র স্লোগান হোক ‘নো মাস্ক নো মুভমেন্ট’। এই স্লোগান কার্যকর করলে আমরা করোনা অনেকটাই প্রতিরোধ করতে পারব-এ আমার বিশ্বাস।
[লেখক : শিক্ষক ]