alt

সাময়িকী

ফারুক মাহমুদের কবিতা

: শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

মুখোশ

সামান্য কাগজ ছিল, তুমি তাকে বানালে মুখোশ

একজোড়া ধূর্ত চোখ- খানাখন্দ, আধবোঁজা নালা
অগ্নিবর্শা দৃশ্যমান। শুরু আছে, শেষ কিছু নেই।
মোটা ভুরু- অতিশয় বাঁকা।
নাকপাশে কাটা-কালো দাগ
কান দুটো দেখে
মনে হয় মরা ডালে ঝুলে আছে বাদুড়ের শব

ধ্বংসের স্তূপের মতো অন্ধকার দাঁড়িয়ে দাঁড়ায়ে
মুখের ম-লজুড়ে। লাগাতার পতন-প্রলাপ...

ভাঙা চিন্তা দূরে রাখো। মুখোশ, মৌলিক হবে কেন?
রঙের রহস্যগুলে বিশ্লেষণে আলোধর্ম খোঁজো

স্থায়ী চিত্র
পাত পেতে খেতে বসি মাটিবিছানায়
ছোট-বড়, শান্ত-খর- সব জলস্থান
মনে তুলে রাখি
মেঘ-বৃষ্টি আলোঐক্য আকাশের গান
মুগ্ধময় ছায়াটির মতো
তুলে রাখি চোখের পাতায়
সবুজের পাত্র খুলে রাখা
মাঠ, বন-উপবন
চিরকাল মানুষের সতি-স্বজন

বাউলের দোতারার মতো
আকাশে বাড়িয়ে হাত কায়োমনে বলি
পুণ্য হোক মানুষের অন্নআয়োজন

আপস
শঠতা জানি না বলে পদে পদে কত পরাজয়!
তবুও বিশ্বাস রাখি মানুষের ছন্দোবদ্ধ প্রেমে

আগুনের কু- হাতে আমাদের দেখা হতে পারে-
এড়িয়ে কৌশলরেখা, আবারো দুজন যদি পথে আসি নেমে

পাওয়া
একটা দীর্ঘশ্বাস ওঠে। মাঝে মাঝে বলো-
‘তোমার অনেক প্রাপ্য ছিল
অধিকাংশ থেকে গেল বাকি...’

ছোট্ট হেসে মনে মনে বলি-
“তোমার যত ‘না-দেওয়া’ আছে
কী-যে যত্নে বুকে তুলে রাখি!”

গাছ

ছোট হোক, বড় হোক- গাছে গাছে কৌলিন্যের বিভাজন নেই
কোনো গাছে ফুল ফোটে, হাওয়া হাসে নৃত্যপটু শাখায় শাখায়
ফলদ, বনজ আছে, গুল্ম-ঘাসে ঝরে থাকে বাতাসের সর
ঝোপের খোঁপায় ফোটে প্রজাপতি ভ্রমর ও ফড়িংয়ের রং

বটের গম্ভীর মুখ, ঝুরিগুলো বাউলের জটার মতোন
বাহুতে জড়িয়ে রাখে শূন্যলতা- মাতৃমায়া স্নেহের ছায়ায়
গাছেরা সাহসী প্রাণী। বুক পেতে রুখে দেয় ঝড়ের দাপট
শ্রেণি-গোত্র নির্বিশেষে অভিন্ন মাটিতে থাকে হৃদয়-শেকড়

গাছের আদর্শ শিখে মানুষ দাঁড়িয়ে যায় মানুষের পাশে

সাময়িকী কবিতা

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

কানাগলি

ছবি

পার্ল এস বাক-এর কবিতা

ছবি

হোসে এচেগারাই স্প্যানিশ আলোকবর্তিকা

ছবি

নববীণায় বাজে নতুনের জয়গান

ছবি

রবীন্দ্রনাথের ‘করুণা’ ঘিরে কিছু কথা

ছবি

গীতাঞ্জলির ইতিবৃত্ত ও বেদনাহত রবীন্দ্রনাথ

ছবি

রবীন্দ্রনাথ, শিলাইদহ ও ‘ছিন্নপত্র’

ছবি

নিউ নেদারল্যান্ডস: জার্র্সি এবং লেনাপি জনগোষ্ঠী

সাময়িকী কবিতা

ছবি

বকুলীর সেইরাত

ছবি

আকাশের প্রান্ত

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

মুখ

ছবি

বাংলাদেশের প্রথম নির্বাসিত কবি

ছবি

অগ্রজ দাউদ হায়দারের মহাপ্রয়াণ

ছবি

নারী যখন পাঠক নারী যখন লেখক

সাময়িকী কবিতা

মিত্র

ছবি

মৃত্যুর মৃদু উত্তাপ : পথের শেষ কোথায়

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বেলাল চৌধুরীর কবিতা

ছবি

পাঠের আগ্রহ থাকলে বইয়ের অভাব হয় না

ছবি

রবীন্দ্রগানে শঙ্খ ঘোষের মন

ছবি

ফার্স্ট টিউসডে’স : আমার প্রথম মঙ্গলবার সন্ধ্যার গন্তব্য

ছবি

আজ লাবণ্যর বিয়ে

ছবি

সংস্কৃতির পরম্পরা, অভিঘাত-অভিজ্ঞান ইতিহাস বিচার-বিশ্লেষণ

ছবি

তুষার গায়েন-এর কবিতা

ছবি

লোরকার দেশে

ফিলিস্তিনের তিনটি কবিতা

ছবি

এক বিস্ময় প্রতিভা

ছবি

দিওয়ান-ই-মাখফি : জেব-উন-নিশা

ছবি

বৈচিত্র্যে ভরা ‘যদিও উত্তরমেঘ’

ছবি

রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের কথা

ছবি

মোহ কাঠের নৌকা : জীবন-সংগ্রামের এক বাস্তব প্রতিচ্ছবি

tab

সাময়িকী

ফারুক মাহমুদের কবিতা

শনিবার, ১৯ আগস্ট ২০২৩

মুখোশ

সামান্য কাগজ ছিল, তুমি তাকে বানালে মুখোশ

একজোড়া ধূর্ত চোখ- খানাখন্দ, আধবোঁজা নালা
অগ্নিবর্শা দৃশ্যমান। শুরু আছে, শেষ কিছু নেই।
মোটা ভুরু- অতিশয় বাঁকা।
নাকপাশে কাটা-কালো দাগ
কান দুটো দেখে
মনে হয় মরা ডালে ঝুলে আছে বাদুড়ের শব

ধ্বংসের স্তূপের মতো অন্ধকার দাঁড়িয়ে দাঁড়ায়ে
মুখের ম-লজুড়ে। লাগাতার পতন-প্রলাপ...

ভাঙা চিন্তা দূরে রাখো। মুখোশ, মৌলিক হবে কেন?
রঙের রহস্যগুলে বিশ্লেষণে আলোধর্ম খোঁজো

স্থায়ী চিত্র
পাত পেতে খেতে বসি মাটিবিছানায়
ছোট-বড়, শান্ত-খর- সব জলস্থান
মনে তুলে রাখি
মেঘ-বৃষ্টি আলোঐক্য আকাশের গান
মুগ্ধময় ছায়াটির মতো
তুলে রাখি চোখের পাতায়
সবুজের পাত্র খুলে রাখা
মাঠ, বন-উপবন
চিরকাল মানুষের সতি-স্বজন

বাউলের দোতারার মতো
আকাশে বাড়িয়ে হাত কায়োমনে বলি
পুণ্য হোক মানুষের অন্নআয়োজন

আপস
শঠতা জানি না বলে পদে পদে কত পরাজয়!
তবুও বিশ্বাস রাখি মানুষের ছন্দোবদ্ধ প্রেমে

আগুনের কু- হাতে আমাদের দেখা হতে পারে-
এড়িয়ে কৌশলরেখা, আবারো দুজন যদি পথে আসি নেমে

পাওয়া
একটা দীর্ঘশ্বাস ওঠে। মাঝে মাঝে বলো-
‘তোমার অনেক প্রাপ্য ছিল
অধিকাংশ থেকে গেল বাকি...’

ছোট্ট হেসে মনে মনে বলি-
“তোমার যত ‘না-দেওয়া’ আছে
কী-যে যত্নে বুকে তুলে রাখি!”

গাছ

ছোট হোক, বড় হোক- গাছে গাছে কৌলিন্যের বিভাজন নেই
কোনো গাছে ফুল ফোটে, হাওয়া হাসে নৃত্যপটু শাখায় শাখায়
ফলদ, বনজ আছে, গুল্ম-ঘাসে ঝরে থাকে বাতাসের সর
ঝোপের খোঁপায় ফোটে প্রজাপতি ভ্রমর ও ফড়িংয়ের রং

বটের গম্ভীর মুখ, ঝুরিগুলো বাউলের জটার মতোন
বাহুতে জড়িয়ে রাখে শূন্যলতা- মাতৃমায়া স্নেহের ছায়ায়
গাছেরা সাহসী প্রাণী। বুক পেতে রুখে দেয় ঝড়ের দাপট
শ্রেণি-গোত্র নির্বিশেষে অভিন্ন মাটিতে থাকে হৃদয়-শেকড়

গাছের আদর্শ শিখে মানুষ দাঁড়িয়ে যায় মানুষের পাশে

back to top