আশরাফ আহমদ
সরকারি লোক
নখের কামড়ে বিষ, 
দাঁতেও পেত্নীর রোষ, 
আর চোখ? 
রক্তের পুকুরে সদ্য ডুব দিয়ে ওঠা-
জংলী চিত্র,  তাই না? 
না, বস্তুত ব্যতিক্রম বাদে 
কথা হচ্ছে সরকারি নকর বিষয়ে, 
যারা কিনা 
আমাদের খায়, আর
আমাদের পাতে হাগে। 
থুথু ভরছে মুখে, 
গিলে নেবো?
ইয়ে
একজন ইয়ে ছিলেন আমার। 
মনে হয়, 
যাকে আমি ধার করে 
কারো চোখ, কারো ঠোঁট, কারো বুক 
প্রত্যঙ্গ-কোলাজ, মানে জোড়াপট্টি দিয়ে 
শপিং মলের ডলবৎ খাঁড়া করে 
বিপরীতে নতজানু হই বা ছিলাম। 
ইংরেজি বলার আগে মনে মনে 
বাক্য বানাই যেমন, 
ঠিক তেমনি ধীরে-চিন্তে
বলতে চাই বা চাইতাম কিছু।
তোতলানো বেড়ে গিয়ে কাদাজল, 
ফলে, শব্দহীনতার কাছে হাঁটু ভাঙি। 
জাল ছুঁড়ে ফেলেন বা ফেলতেন তিনি, 
কিন্তু তাতে মুক্তা তো দূরের কথা 
একটি ঝিনুকও না! 
অগত্যা নোঙর তুলে গভীর সমুদ্রগামী
জাহাজের যাত্রী একা ফিরে চলে যান। 
আমার দুচোখ থেকে মাস্তুল মিলিয়ে যায়, 
হাওয়ায় হারিয়ে যায় ভেঁপুর শব্দও। 
হয়তো আসলে আমি কোনোদিন 
উনাকে দেখিনি কিংবা দেখতে পাবো না!
অগত্যা 
নিরর্থক দিন শেষে ময়লা সমুদ্র জাগে। 
তাতে, সাঁতার কাটতে কাটতে স্মৃতি-ঢেউ, 
একদিন সময় ছিল স্বপ্নের, চন্দনী ছিল, 
মা-বাবাও ছিল। 
নাবালক চোখ নিজেই দেখল
হতবাক ভেঙে পড়াগুলো, 
গরিব ও নিঃস্ব হওয়া শিখলাম বাধ্য হয়ে। 
পড়ে আছে কুশি কাঁটা, উল নেই, মাও নেই। 
বাবাকে বকবে কে? 
এক ধোয়াতেই যদি জামার রঙেরা নাই, 
সবটাই দারিদ্র্যের দোষ। 
খাদ্য নাই, রঙ নাই, ভবিষ্যতও নাই,
এ্যানিমিক গ্রহে তবু 
বাঁচার ইচ্ছেটা মরতে পারে না বলে 
হাতড়াচ্ছি অন্ধজন, অপার শূন্যতায়। 
বিশ্ব-সুন্দরী
পুজো দেবে? 
তবে মাটি নাও যত খুশি, 
সরাও পৃথিবী এ বেশ্যার পদতল থেকে, 
কেবল ভাতের টাকা-
এ-ই ছিল বিজ্ঞাপন।
কে কাকে পড়ছে আর, 
উন্মাদ ব্যবস্থা অন্ধ, বিস্তৃত এতটা-ই 
যে,  মানবতন্ত্র কেটে শাদা রক্তস্রাব, 
আর গণতন্ত্র-গণতন্ত্র জপ! 
দৈত্যের ডানার ঝাঁপটা 
তাকে প্রতিদিন, 
মানে যুক্তিকে মাটিতে ফেলে 
 চেপে ধরে 
যাকে বলে উপগত হওয়া। 
অদমনে-শীতে-শিশ্নে, ক্ষুধা ও ক্ষুধায়
নিরন্তর ক্ষত বিনিময় 
আর
বিজ্ঞাপনখ্যাত প্রিয় জগৎ-সুন্দরী
তুলো দেহে ধূলিকণা মাখে। 
মনে মনে প্রজ্ঞা ও প্রকাশ্যে আরাধনা নিয়ে 
প্রাণপণে ডেকেছিল-প্রভু, 
 নৌকা ভিড়াও। 
পান বর্ণ ঠোঁট আর
কুপির কালিমা দিয়ে এঁকেছিল মোহের কাজল,
ফলে,  ছোবলে ছোবলে বিশ্ব গাড়তর নীল, 
তারপর নিরালোকে কেউ কিছু নেই। 
না ধন, না মান
সুন্দরীর শেষাবধি ছেঁড়া কাঁথা থাকে 
শুভংকর থাকে!
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            আশরাফ আহমদ
বুধবার, ২৩ আগস্ট ২০২৩
সরকারি লোক
নখের কামড়ে বিষ, 
দাঁতেও পেত্নীর রোষ, 
আর চোখ? 
রক্তের পুকুরে সদ্য ডুব দিয়ে ওঠা-
জংলী চিত্র,  তাই না? 
না, বস্তুত ব্যতিক্রম বাদে 
কথা হচ্ছে সরকারি নকর বিষয়ে, 
যারা কিনা 
আমাদের খায়, আর
আমাদের পাতে হাগে। 
থুথু ভরছে মুখে, 
গিলে নেবো?
ইয়ে
একজন ইয়ে ছিলেন আমার। 
মনে হয়, 
যাকে আমি ধার করে 
কারো চোখ, কারো ঠোঁট, কারো বুক 
প্রত্যঙ্গ-কোলাজ, মানে জোড়াপট্টি দিয়ে 
শপিং মলের ডলবৎ খাঁড়া করে 
বিপরীতে নতজানু হই বা ছিলাম। 
ইংরেজি বলার আগে মনে মনে 
বাক্য বানাই যেমন, 
ঠিক তেমনি ধীরে-চিন্তে
বলতে চাই বা চাইতাম কিছু।
তোতলানো বেড়ে গিয়ে কাদাজল, 
ফলে, শব্দহীনতার কাছে হাঁটু ভাঙি। 
জাল ছুঁড়ে ফেলেন বা ফেলতেন তিনি, 
কিন্তু তাতে মুক্তা তো দূরের কথা 
একটি ঝিনুকও না! 
অগত্যা নোঙর তুলে গভীর সমুদ্রগামী
জাহাজের যাত্রী একা ফিরে চলে যান। 
আমার দুচোখ থেকে মাস্তুল মিলিয়ে যায়, 
হাওয়ায় হারিয়ে যায় ভেঁপুর শব্দও। 
হয়তো আসলে আমি কোনোদিন 
উনাকে দেখিনি কিংবা দেখতে পাবো না!
অগত্যা 
নিরর্থক দিন শেষে ময়লা সমুদ্র জাগে। 
তাতে, সাঁতার কাটতে কাটতে স্মৃতি-ঢেউ, 
একদিন সময় ছিল স্বপ্নের, চন্দনী ছিল, 
মা-বাবাও ছিল। 
নাবালক চোখ নিজেই দেখল
হতবাক ভেঙে পড়াগুলো, 
গরিব ও নিঃস্ব হওয়া শিখলাম বাধ্য হয়ে। 
পড়ে আছে কুশি কাঁটা, উল নেই, মাও নেই। 
বাবাকে বকবে কে? 
এক ধোয়াতেই যদি জামার রঙেরা নাই, 
সবটাই দারিদ্র্যের দোষ। 
খাদ্য নাই, রঙ নাই, ভবিষ্যতও নাই,
এ্যানিমিক গ্রহে তবু 
বাঁচার ইচ্ছেটা মরতে পারে না বলে 
হাতড়াচ্ছি অন্ধজন, অপার শূন্যতায়। 
বিশ্ব-সুন্দরী
পুজো দেবে? 
তবে মাটি নাও যত খুশি, 
সরাও পৃথিবী এ বেশ্যার পদতল থেকে, 
কেবল ভাতের টাকা-
এ-ই ছিল বিজ্ঞাপন।
কে কাকে পড়ছে আর, 
উন্মাদ ব্যবস্থা অন্ধ, বিস্তৃত এতটা-ই 
যে,  মানবতন্ত্র কেটে শাদা রক্তস্রাব, 
আর গণতন্ত্র-গণতন্ত্র জপ! 
দৈত্যের ডানার ঝাঁপটা 
তাকে প্রতিদিন, 
মানে যুক্তিকে মাটিতে ফেলে 
 চেপে ধরে 
যাকে বলে উপগত হওয়া। 
অদমনে-শীতে-শিশ্নে, ক্ষুধা ও ক্ষুধায়
নিরন্তর ক্ষত বিনিময় 
আর
বিজ্ঞাপনখ্যাত প্রিয় জগৎ-সুন্দরী
তুলো দেহে ধূলিকণা মাখে। 
মনে মনে প্রজ্ঞা ও প্রকাশ্যে আরাধনা নিয়ে 
প্রাণপণে ডেকেছিল-প্রভু, 
 নৌকা ভিড়াও। 
পান বর্ণ ঠোঁট আর
কুপির কালিমা দিয়ে এঁকেছিল মোহের কাজল,
ফলে,  ছোবলে ছোবলে বিশ্ব গাড়তর নীল, 
তারপর নিরালোকে কেউ কিছু নেই। 
না ধন, না মান
সুন্দরীর শেষাবধি ছেঁড়া কাঁথা থাকে 
শুভংকর থাকে!
