alt

সাময়িকী কবিতা

: বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

মনে নেই আর তোমার মুখ
খালেদ হোসাইন

তোমাকে আমি ভুলে গেছি

তোমার সঙ্গে কথা কই

তুমি যখন কথা বলো

টগবগিয়ে ফোটে খৈ।

ভুলে গেছি কণ্ঠধ্বনি

ভুলে গেছি কথার ধাঁচ

তবু তুমি হাসো যখন

ভাঙতে থাকে সকল কাচ।

কফিশপে যখন তোমার

আঙুল আমার আঙুল ছোঁয়

তখন আমরা কোথায় থাকি?

বৃন্দবনের মালঞ্চয়।

তোমাকে আমি ভুলে গেছি

মনে নেই আর তোমার মুখ

বদলে গেল রাজনীতি দেশ

বাড়ছে তো কূপম-ূক।

বিস্মরণের বিরুদ্ধে আজ

নাই তো তোমার বিস্ফোরণ

বর্ণে গন্ধে দ্বন্দ্ব খুবই

অলম অতি বিস্তরণ।

আড়াল
রুদ্র রায়হান

যদি আর কথা না হয়,

তবে আর দেখা না হোক!

কাশফুল আমি নই

তীব্র সাইক্লোনে কোমর আর পাঁজর ভেঙ্গে

বারবার উঠে দাঁড়াব!

যদি আর দেখা না হয়

তবে আর কথা না হোক!

শব্দের চোটে নিঃশব্দ রক্তপাতÑ

আর কত আপন হাতে সেলাই দিবোÑ

সার্জারি করা বুক!

যদি আর দেখা না হয়, কথা না হয়,

বালুতে মিশে যাবে দাগ-দু’জোড়া পায়ের;

বৃষ্টিতে মুছে যাবে রক্ত-খুনের;

কিংবা রোদ্দুর এসে শুকিয়ে দিয়ে যাবে

সব অশ্রু; ভেজা রুমাল!

তারপরÑ

কথা নেইÑ

দেখা নেইÑ

আর কোনো ব্যথা নেই!

ওয়ান-ওয়ে নদী
মনিজা রহমান

শেষ ট্রেন চলে গেল শেষ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

এই প্রথম সে এলো না।

এই নিঝুম বৃক্ষপুরে আমি গাছ হয়ে গেলাম।

বুঝতে পারলাম, যা আসে একবারই আসেÑ

জ্যোৎস্না, জন্মদিন বা কান্নার মতো নয়

সব কিছু বুঝেও বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি

একবারও তাকাইনি তার পানকৌড়ি চোখে।

সে কেবল স্বরবর্ণ হতে চেয়েছিল। বুঝতে চাইনি।

আজ যখন বেদানা-রঙ টিপ পরে প্রতীক্ষায় থাকলাম

প্রিয়দর্শিনী নদীর তীরে

সে এলো না।

বরং ভেসে এল ভাটিয়ালির ধূসর স্বরলিপিÑ

সে নদী হয়ে গেছে।

জানতাম না ভালোবাসাও নদীর মতো ওয়ান-ওয়ে ট্রাফিক।

***

জেনে নিও
শাকিব লোহানী

বাজপাখির সাথে লড়াই করতে চাও?

বাজপাখির তীক্ষè নখের গভীর থাবার যন্ত্রণাকে

আগে থেকে জেনে নিও, জেনে নিও শরীরের গভীর ক্ষত

থেকে অবিরাম রক্তপাতে বেঁচে থাকার পথ

ওরা একজোট পরাজিত পক্ষ, বাজপাখি

থেকেও ভয়ানক, বসে আছে

সময়ের অপেক্ষায়, ব্রহ্মচারী সাধুদের হাত তোলা প্রার্থনায়

অচিরেই সামনে এসে দাঁড়াবে অন্যকোন রূপে

পরীরূপী ললনা বা তাথেকেও

আকর্ষণীয় উর্বশী, ছড়াতে বিভ্রান্তি

দুঃসাহসী বিপ্লবের যে সত্যকে সামনে আনতে

দিয়েছো কিশোরপ্রাণ, তার সাদাকালো চেহারা

এদের অপ্রিয়, এদের বিচরণ প্রতিষ্ঠিত রঙিনমিথ্যায়

সাহসী মোকাবেলায় জেনেনিও, ওদের সঠিকপরিচয়।

ছবি

দিনু বিল্লাহ: জীবনমরণের সীমানা ছাড়ায়ে

জেলার সিরিজ কবিতা

ছবি

লাল লুঙ্গি

সাময়িকী কবিতা

ছবি

নির্মলেন্দু গুণের রাজনৈতিক বলয় অতিক্রমের ক্ষমতা

ছবি

কেরাসিন বাত্তি ও লালচুলা মেয়েটি

ছবি

তাঁর সমকালীনদের চোখে

ছবি

নিজের মতো করেই সঠিক পথটি বেছে নিতে হবে

ছবি

সুকান্ত ভট্টাচার্য: বহুচর্চিত, বহুপঠিত এক অনন্য কবি

ছবি

চিত্রাঙ্গদা: দ্বৈত সত্তার শিল্পস্মারক

ছবি

খালেদ হামিদীর দৌত্যে ওরহান পামুক

সাময়িকী কবিতা

ছবি

মেঘলা আকাশ বৃষ্টি

ছবি

স্মৃতি ভদ্র

ছবি

হৃদয়রেখা

ছবি

সুরমা বুজি অথবা কাচপোকা

ছবি

শ্রাবণের জোছনায় হেসেছিল নার্গিস

ছবি

যোগাযোগ

ছবি

বাংলাদেশের স্বাপ্নিক কবি নজরুল

ছবি

ইলিয়াসের আশ্চর্য নিরীক্ষা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

মাটি ও মানুষের কথক

ছবি

অনাবিল প্রাচুর্যে ঋদ্ধ নজরুল প্রতিভা

ছবি

নজরুল: চির-বিস্ময়

ছবি

জীবনের সাথে সংযোগ ঘটল কই

পোয়েমস দ্যাট কেম টু মি

ছবি

লালন ও রবীন্দ্রনাথ অন্তর্জগতের আলাপন

ছবি

বংশধারা

ছবি

অনন্ত নক্ষত্র বিথিতে এক নির্বাসিত কবির যাত্রা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

তিন প্রহরের শকুন

ছবি

ইলিয়াসের আশ্চর্য নিরীক্ষা

ছবি

যতীন সরকার : সাম্যবাদের চেতনায় একজীবন

ছবি

‘প্রান্তিক মানুষের হারানোর কিছু নেই’

ছবি

ভাঙা ছাদ

ছবি

চন্দ্রাবতী : মধ্যযুগের প্রথম মহিলা কবি

tab

সাময়িকী কবিতা

বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪

মনে নেই আর তোমার মুখ
খালেদ হোসাইন

তোমাকে আমি ভুলে গেছি

তোমার সঙ্গে কথা কই

তুমি যখন কথা বলো

টগবগিয়ে ফোটে খৈ।

ভুলে গেছি কণ্ঠধ্বনি

ভুলে গেছি কথার ধাঁচ

তবু তুমি হাসো যখন

ভাঙতে থাকে সকল কাচ।

কফিশপে যখন তোমার

আঙুল আমার আঙুল ছোঁয়

তখন আমরা কোথায় থাকি?

বৃন্দবনের মালঞ্চয়।

তোমাকে আমি ভুলে গেছি

মনে নেই আর তোমার মুখ

বদলে গেল রাজনীতি দেশ

বাড়ছে তো কূপম-ূক।

বিস্মরণের বিরুদ্ধে আজ

নাই তো তোমার বিস্ফোরণ

বর্ণে গন্ধে দ্বন্দ্ব খুবই

অলম অতি বিস্তরণ।

আড়াল
রুদ্র রায়হান

যদি আর কথা না হয়,

তবে আর দেখা না হোক!

কাশফুল আমি নই

তীব্র সাইক্লোনে কোমর আর পাঁজর ভেঙ্গে

বারবার উঠে দাঁড়াব!

যদি আর দেখা না হয়

তবে আর কথা না হোক!

শব্দের চোটে নিঃশব্দ রক্তপাতÑ

আর কত আপন হাতে সেলাই দিবোÑ

সার্জারি করা বুক!

যদি আর দেখা না হয়, কথা না হয়,

বালুতে মিশে যাবে দাগ-দু’জোড়া পায়ের;

বৃষ্টিতে মুছে যাবে রক্ত-খুনের;

কিংবা রোদ্দুর এসে শুকিয়ে দিয়ে যাবে

সব অশ্রু; ভেজা রুমাল!

তারপরÑ

কথা নেইÑ

দেখা নেইÑ

আর কোনো ব্যথা নেই!

ওয়ান-ওয়ে নদী
মনিজা রহমান

শেষ ট্রেন চলে গেল শেষ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

এই প্রথম সে এলো না।

এই নিঝুম বৃক্ষপুরে আমি গাছ হয়ে গেলাম।

বুঝতে পারলাম, যা আসে একবারই আসেÑ

জ্যোৎস্না, জন্মদিন বা কান্নার মতো নয়

সব কিছু বুঝেও বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি

একবারও তাকাইনি তার পানকৌড়ি চোখে।

সে কেবল স্বরবর্ণ হতে চেয়েছিল। বুঝতে চাইনি।

আজ যখন বেদানা-রঙ টিপ পরে প্রতীক্ষায় থাকলাম

প্রিয়দর্শিনী নদীর তীরে

সে এলো না।

বরং ভেসে এল ভাটিয়ালির ধূসর স্বরলিপিÑ

সে নদী হয়ে গেছে।

জানতাম না ভালোবাসাও নদীর মতো ওয়ান-ওয়ে ট্রাফিক।

***

জেনে নিও
শাকিব লোহানী

বাজপাখির সাথে লড়াই করতে চাও?

বাজপাখির তীক্ষè নখের গভীর থাবার যন্ত্রণাকে

আগে থেকে জেনে নিও, জেনে নিও শরীরের গভীর ক্ষত

থেকে অবিরাম রক্তপাতে বেঁচে থাকার পথ

ওরা একজোট পরাজিত পক্ষ, বাজপাখি

থেকেও ভয়ানক, বসে আছে

সময়ের অপেক্ষায়, ব্রহ্মচারী সাধুদের হাত তোলা প্রার্থনায়

অচিরেই সামনে এসে দাঁড়াবে অন্যকোন রূপে

পরীরূপী ললনা বা তাথেকেও

আকর্ষণীয় উর্বশী, ছড়াতে বিভ্রান্তি

দুঃসাহসী বিপ্লবের যে সত্যকে সামনে আনতে

দিয়েছো কিশোরপ্রাণ, তার সাদাকালো চেহারা

এদের অপ্রিয়, এদের বিচরণ প্রতিষ্ঠিত রঙিনমিথ্যায়

সাহসী মোকাবেলায় জেনেনিও, ওদের সঠিকপরিচয়।

back to top