alt

সাময়িকী কবিতা

: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ব্যর্থ প্রাণের দীর্ঘশ্বাস
মুশাররাত

(সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্মরণে)
তুমি বলতে মানুষের সৌন্দর্যবোধ

হলো তার সৃষ্টিশীলতায়

আর তাই সে অনন্য

বীক্ষাশাস্ত্রে দীক্ষিত হয়েছে ভক্তরা সব

তুমি কেন হঠাৎ ফেলে গেলে তাদের

না দেখে ঐশ্বরিক এই কলরব

বস্তুজগতের বাইরে যে সুন্দরের বাস

তুমিই তা দেখাতে শিখিয়ে

মৃত্যুর মতো অসুন্দরের বুকে

গড়ে নিয়েছো চিরস্থায়ী আবাস

তোমার বাণী, তোমার নন্দনতত্ত্ব

যে বোধের জন্ম দিয়ে করেছে ধন্য

কৃতজ্ঞ চিত্তে ছড়িয়ে গেছে সুবাস

তুমিহীন এই অশান্ত পার্থিবে

বিষাদের মতো উপস্থিত হয়েছে আজ

জগতের কাছে চাইবার আছে আর কিছু কি

যদি না থাকে কল্পনা আর স্বপ্নদের ছুটোছুটি

অস্ত গিয়েছে রবি, তুমিও চলে গেলে

বুলবুল কাননে আজ বিষবৃক্ষের বাস

নন্দীছড়ার যোদ্ধারা কাঁদে

বিবেকে বিবেকে দংশনে ঝরে

ব্যর্থ প্রাণের দীর্ঘশ্বাস

বংশ বিস্তার শুমারী নেই
আতাতুর্ক কামাল পাশা
উৎকণ্ঠিত এ বাসর থেকে

নগণ্য দু’জন তীরন্দাজ এসে হাসে

কতো না সুলভ এই দোলযাত্রা তবু

বসে না পসরা নিয়ে মেখলা চাদরে

কী যে আহামরি এই ব্যধ ধনু হাতে

চাঁদের কলঙ্ক যায় মুছতে তুলিতে

সোনার পাথর বাটি নিয়ে চলে ব্যস্ত যানজট

দিশেহারা কোপার্নিকাস এই জতু গৃহে

তীরন্দাজের ধনুতে বধ

হচ্ছে দিনে রাতে এই নবাব আসনে

বেড়ে চলে বংশ বিস্তার শুমারী নেই কোনো

এই নিয়ে বৈভব সংস্কৃতি

পদ্মাবতী সুর ওঠে আজো দূর গাঁয়ে

তীর ছোঁড়ে তীরন্দাজদ্বয়

প্রতিদিন সূর্য ওঠা কাকডাকা ভোরে

ছায়া ও ফণা
ওমর ফারুক জীবন
বারবার এসে দংশে যায় ছায়া ও ফণা

ছায়ার ভিতর বিস্ময়,

বিস্ময়ের ভিতর

বিষ;

যাকে এত সন্দেহ

বারবার ফিরে যাই

সেই ছায়া ও সর্পের কাছে

ছায়াচ্ছন্ন বিষের কাছে,

এও এক মায়া,

ভ্রাতৃপ্রতিম যমজ

সাথেই জন্মেছি সাথেই মৃত্যু,

এই ফণা ও ছোবল থেকে

এ বিস্ময় ও বিষ থেকে আর কোনও

মুক্তি নেই

মৃত্যু ছাড়া ওঝা নেই।

শরতের শহর
জিন্নাহ চৌধুরী
পথের ধুলোয় হালকা সোনালি রোদ,

শিরিষ গাছের ডালে জমেছে নরম হাওয়া

আকাশে মেঘের খেলা আজও অনিয়মিত,

তবু কাশফুল দাঁড়িয়ে থাকে নদীর ধারে

সাদা পতাকার মতো,

যেন নিঃশব্দ উৎসব।

ব্যস্ত রাস্তায়ও শরৎ এসে

রঙ মেশায় মানুষের চোখে,

কেউ থামে, কেউ আবার

চলার ভেতরেই শুনে নেয়

পাতার মর্মর শব্দ।

অবসাদ মানে শেষ নয়,

বরং মাটির গন্ধে লুকিয়ে আছে

আবার শুরু করার ডাক।

নিজ হাতে সেলাই করা স্বাধীন আকাশ
সাজ্জাদুর রহমান
এভাবে আর কতোদিন

বিপন্ন পত্রে লিখবো জীবনের স্লোগান!

প্রচুর শ্বাসকষ্টে ভরে আছে রাজ্যের মোকাম

ক্ষয়িষ্ণু দিন, ভাঙা বিকেল শেষ হলে

চেষ্টা করি ঘুমুতে,

রাত আসে দুর্বিষহ ক্ষত জাগাবার

প্লানচেট কাঁপিয়ে

চারিদিকে উঁইপোকার স্বদেশ

ঘরময় চেঁচিয়ে ওঠে শত্রু শত্রু খেলা

আশীর্বাদের আঙুল বেয়ে নেমে আসে

ভাঙার শব্দগুচ্ছ

আমার নিরস্ত্র শিহরন হরণ করে

নায়াগ্রার জলপ্রপাত

চুরমার হয়ে যায় আমার

নিজ হাতে সেলাই করা স্বাধীন আকাশ।

বাজার
এমরান হাসান
গানগুলো সহজ।গাইতে পারে ভুখানাঙ্গা মানুষ।

যদিও মানুষ চেনেনা মানুষের রঙ।

প্রতিধ্বনিত মানুষ গেয়ে ওঠে সাম্যবাদের ঠাঁট বিলাবল।

ভাবনাক্লিষ্ট সময়ে মৃত শামুকের মতো পড়ে থাকে যারা

তারা কোনোদিন সুর তোলেনি জীবনের হারমোনিয়ামে

যে সুরে পাপ-পুণ্য বেহেস্ত-দোযখ একসাথে খেলা করে।

যদিও মানুষ বড় তার চিন্তার সমান

অতিক্রান্ত পাহাড়ের শিল্প তারা ভোলেনা লজ্জায়

গানগুলোই সহজে গাইতে পারে শুধু।

ওদিকে যারা থাকে গোলার্ধের ওই পারে

গাঢ় অন্ধকারে তারা ঠিক চিনে গিয়েছে মগজের মানচিত্র।

সারাসময় তাদের দখলের পাঁয়তারা

নগদ হিসেবে পূর্ণজীবন,সেতো গৃহপালিতের অধম

সময়-সংসার-ভূমি জুড়ে শুধু ঈর্ষার মঞ্চায়ন।

ভুলে যাওয়া এই কথাগুলো কোনোদিন শুনবেনা জেনেও

শ্রান্ত হয় চোখ, দৃষ্টির উন্মাসিকতায় চুপ সবকিছু

কেউ কেউ সারারাত এঁকে চলে ঘোড়দৌড়ের ছবি।

ছবির ওপাশে যিশুর আধপোড়া মুখ, কান্না জড়িত...

ভূমিদস্যুর বাজারে এ থেকে নগ্ন কিছু নেই।

অনবদ্য চিত্র
মাহমুদুজ্জামান জামী
ঘরে বসে

একটানা বৃষ্টির শব্দ শুনতে ভালো লাগে।

কখনো জোরেশোরে,

কখনো টিপ টিপ- মিশ্র ব্যঞ্জনা।

ঝাপসা জানালা,

ওপাশে গাছেরা

কী এক আবহ নিয়ে

হৃদয়ে ছড়ায়!

মনের ক্যাসেটে

তখন বেজে যায়

পুরনো গান...

একসময়

অনেক স্বচ্ছতা নিয়ে

হঠাৎ রোদ-

মেঘলা আকাশে

মনে মনে কী বার্তা পাঠায়?

বৃষ্টির তুলি রুপালি ছবি,

বিমূর্ত চিত্রকলা,

এক নদী- ভেজা সবুজ-ঘেঁষা

বয়ে যায় একেলা।

হৃৎপিণ্ডে রক্তক্ষরণ
আনোয়ারুল হাকিম পল্লব
এখানে বিকেল, একাকী প্রতীক্ষার প্রহর গুনে

রেন্ট্রি গাছের নিচে, পিচ ঢালা কালো পথের বাঁকে;

অজ¯্র বিকেল সন্ধ্যার আকাশে পথ হারায়।

নদী- নদী দিনরাত সারাক্ষণ

জল নয়- হৃৎপি-ে রক্তক্ষরণ!

সোনালি সন্ধ্যা নেই, রুপালি রাত নেই

চাঁদ নেই, তারা নেই- নেই কিছু নেই

অনন্ত মরুভূমি, অসীম শ্মশান

নির্জন ফাঁকা ছাদ, কালো কালো রাত মৃত্যুর ফাঁদ-

বাতাস নেই- বুকের গভীরে কী ভীষণ চাপ!

পিচ ঢালা কালো পথ নয়; কালসাপ!

ভাঙা আকাশ
রিপন বর্মন
দুঃখ কুড়াতে কুড়াতে

বুকের ভেতর- বয়ে চলে আগুননদী

প্রতি স্নানে- পুড়তে পুড়তে গরদ গলে

নদীতটে নোঙর গেড়ে- জোছনায় হাসে চাঁদ

পলির খিদে বাড়ে- নৌকাতে বিচ্ছিন্ন অভিযোগ

বানের জলে শাপমোচন

ভাঙা আকাশ নেমে আসে-

শূন্য উঠোনে- গৃহস্থের শূন্য থালায়

ছবি

মনোজগতের অন্বেষায়

ছবি

এক ঘর রোদ

ছবি

দ্রোহের রম্য পঙ্ক্তিমালা

ছবি

সংবেদী রঙে ও রেখায় প্রাণের উন্মোচন

ছবি

অলস দিনের হাওয়া

ছবি

লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের মর্মস্পর্শী ও দূরদর্শী সাহিত্যকর্ম

ছবি

‘ভাষার আরোপিত কারুকাজে খেই হারিয়ে ফেলি’

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জিন্দা লাশ কি প্রকৃত লাশ

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শিক্ষা দর্শন ও অলস দিনের হাওয়া

ছবি

ধ্রুপদী বোধ ও ব্যাধির কবিতা

ছবি

সুকান্তর কবিতায় বিপ্লবী চেতনা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

মগ্নচৈতন্যে সৌন্দর্যধ্যান

ছবি

অধুনাবাদী নিরীক্ষার অগ্রসাধক

ছবি

‘বায়ান্নর আধুনিকতা ও প্রগতিশীল ধারাকে বহন করতে চেয়েছি’

ছবি

জাতীয় চেতনার অমলিন ধারক

ছবি

নক্ষত্রের অনন্ত যাত্রা

ছবি

আহমদ রফিক ও ভাষামুক্তি সাধনা

ছবি

কবি আসাদ চৌধুরী : ঘরে ফেরা হলো না তাঁর

ছবি

জীবনবোধের অনবদ্য চিত্ররূপ ‘স্বপ্নছোঁয়ার পদযাত্রা’

ছবি

অনালোকিত ইতিহাসের সন্ধানে

ছবি

কবিরের দোঁহা

ছবি

আকবর হোসেন ও ‘যৌবনটাই জীবন নয়’

ছবি

স্বোপার্জিত

ছবি

সংগ্রামের অগ্নিশিখা থেকে হেলাল হাফিজ

ছবি

কোনো এক শরৎসন্ধ্যা : কোথায় পাব তারে

শারদ পদাবলি

ছবি

লক্ষীপুর-হ

ছবি

যে জীবন ফড়িংয়ের

সাময়িকী কবিতা

ছবি

বিশাল ডানাওলা এক থুত্থুরে বুড়ো মানুষ

ছবি

খুদে গল্পের যাদুকর ওসামা অ্যালোমার

ছবি

নিমগ্ন লালন সাধক ফরিদা পারভীন

ছবি

কেন তিনি লালনকন্যা

ছবি

টি এস এলিয়টের সংস্কৃতি চিন্তার অভিমুখ

ছবি

আধুনিক বাংলা কবিতার একশ’ বছর

tab

সাময়িকী কবিতা

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

ব্যর্থ প্রাণের দীর্ঘশ্বাস
মুশাররাত

(সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্মরণে)
তুমি বলতে মানুষের সৌন্দর্যবোধ

হলো তার সৃষ্টিশীলতায়

আর তাই সে অনন্য

বীক্ষাশাস্ত্রে দীক্ষিত হয়েছে ভক্তরা সব

তুমি কেন হঠাৎ ফেলে গেলে তাদের

না দেখে ঐশ্বরিক এই কলরব

বস্তুজগতের বাইরে যে সুন্দরের বাস

তুমিই তা দেখাতে শিখিয়ে

মৃত্যুর মতো অসুন্দরের বুকে

গড়ে নিয়েছো চিরস্থায়ী আবাস

তোমার বাণী, তোমার নন্দনতত্ত্ব

যে বোধের জন্ম দিয়ে করেছে ধন্য

কৃতজ্ঞ চিত্তে ছড়িয়ে গেছে সুবাস

তুমিহীন এই অশান্ত পার্থিবে

বিষাদের মতো উপস্থিত হয়েছে আজ

জগতের কাছে চাইবার আছে আর কিছু কি

যদি না থাকে কল্পনা আর স্বপ্নদের ছুটোছুটি

অস্ত গিয়েছে রবি, তুমিও চলে গেলে

বুলবুল কাননে আজ বিষবৃক্ষের বাস

নন্দীছড়ার যোদ্ধারা কাঁদে

বিবেকে বিবেকে দংশনে ঝরে

ব্যর্থ প্রাণের দীর্ঘশ্বাস

বংশ বিস্তার শুমারী নেই
আতাতুর্ক কামাল পাশা
উৎকণ্ঠিত এ বাসর থেকে

নগণ্য দু’জন তীরন্দাজ এসে হাসে

কতো না সুলভ এই দোলযাত্রা তবু

বসে না পসরা নিয়ে মেখলা চাদরে

কী যে আহামরি এই ব্যধ ধনু হাতে

চাঁদের কলঙ্ক যায় মুছতে তুলিতে

সোনার পাথর বাটি নিয়ে চলে ব্যস্ত যানজট

দিশেহারা কোপার্নিকাস এই জতু গৃহে

তীরন্দাজের ধনুতে বধ

হচ্ছে দিনে রাতে এই নবাব আসনে

বেড়ে চলে বংশ বিস্তার শুমারী নেই কোনো

এই নিয়ে বৈভব সংস্কৃতি

পদ্মাবতী সুর ওঠে আজো দূর গাঁয়ে

তীর ছোঁড়ে তীরন্দাজদ্বয়

প্রতিদিন সূর্য ওঠা কাকডাকা ভোরে

ছায়া ও ফণা
ওমর ফারুক জীবন
বারবার এসে দংশে যায় ছায়া ও ফণা

ছায়ার ভিতর বিস্ময়,

বিস্ময়ের ভিতর

বিষ;

যাকে এত সন্দেহ

বারবার ফিরে যাই

সেই ছায়া ও সর্পের কাছে

ছায়াচ্ছন্ন বিষের কাছে,

এও এক মায়া,

ভ্রাতৃপ্রতিম যমজ

সাথেই জন্মেছি সাথেই মৃত্যু,

এই ফণা ও ছোবল থেকে

এ বিস্ময় ও বিষ থেকে আর কোনও

মুক্তি নেই

মৃত্যু ছাড়া ওঝা নেই।

শরতের শহর
জিন্নাহ চৌধুরী
পথের ধুলোয় হালকা সোনালি রোদ,

শিরিষ গাছের ডালে জমেছে নরম হাওয়া

আকাশে মেঘের খেলা আজও অনিয়মিত,

তবু কাশফুল দাঁড়িয়ে থাকে নদীর ধারে

সাদা পতাকার মতো,

যেন নিঃশব্দ উৎসব।

ব্যস্ত রাস্তায়ও শরৎ এসে

রঙ মেশায় মানুষের চোখে,

কেউ থামে, কেউ আবার

চলার ভেতরেই শুনে নেয়

পাতার মর্মর শব্দ।

অবসাদ মানে শেষ নয়,

বরং মাটির গন্ধে লুকিয়ে আছে

আবার শুরু করার ডাক।

নিজ হাতে সেলাই করা স্বাধীন আকাশ
সাজ্জাদুর রহমান
এভাবে আর কতোদিন

বিপন্ন পত্রে লিখবো জীবনের স্লোগান!

প্রচুর শ্বাসকষ্টে ভরে আছে রাজ্যের মোকাম

ক্ষয়িষ্ণু দিন, ভাঙা বিকেল শেষ হলে

চেষ্টা করি ঘুমুতে,

রাত আসে দুর্বিষহ ক্ষত জাগাবার

প্লানচেট কাঁপিয়ে

চারিদিকে উঁইপোকার স্বদেশ

ঘরময় চেঁচিয়ে ওঠে শত্রু শত্রু খেলা

আশীর্বাদের আঙুল বেয়ে নেমে আসে

ভাঙার শব্দগুচ্ছ

আমার নিরস্ত্র শিহরন হরণ করে

নায়াগ্রার জলপ্রপাত

চুরমার হয়ে যায় আমার

নিজ হাতে সেলাই করা স্বাধীন আকাশ।

বাজার
এমরান হাসান
গানগুলো সহজ।গাইতে পারে ভুখানাঙ্গা মানুষ।

যদিও মানুষ চেনেনা মানুষের রঙ।

প্রতিধ্বনিত মানুষ গেয়ে ওঠে সাম্যবাদের ঠাঁট বিলাবল।

ভাবনাক্লিষ্ট সময়ে মৃত শামুকের মতো পড়ে থাকে যারা

তারা কোনোদিন সুর তোলেনি জীবনের হারমোনিয়ামে

যে সুরে পাপ-পুণ্য বেহেস্ত-দোযখ একসাথে খেলা করে।

যদিও মানুষ বড় তার চিন্তার সমান

অতিক্রান্ত পাহাড়ের শিল্প তারা ভোলেনা লজ্জায়

গানগুলোই সহজে গাইতে পারে শুধু।

ওদিকে যারা থাকে গোলার্ধের ওই পারে

গাঢ় অন্ধকারে তারা ঠিক চিনে গিয়েছে মগজের মানচিত্র।

সারাসময় তাদের দখলের পাঁয়তারা

নগদ হিসেবে পূর্ণজীবন,সেতো গৃহপালিতের অধম

সময়-সংসার-ভূমি জুড়ে শুধু ঈর্ষার মঞ্চায়ন।

ভুলে যাওয়া এই কথাগুলো কোনোদিন শুনবেনা জেনেও

শ্রান্ত হয় চোখ, দৃষ্টির উন্মাসিকতায় চুপ সবকিছু

কেউ কেউ সারারাত এঁকে চলে ঘোড়দৌড়ের ছবি।

ছবির ওপাশে যিশুর আধপোড়া মুখ, কান্না জড়িত...

ভূমিদস্যুর বাজারে এ থেকে নগ্ন কিছু নেই।

অনবদ্য চিত্র
মাহমুদুজ্জামান জামী
ঘরে বসে

একটানা বৃষ্টির শব্দ শুনতে ভালো লাগে।

কখনো জোরেশোরে,

কখনো টিপ টিপ- মিশ্র ব্যঞ্জনা।

ঝাপসা জানালা,

ওপাশে গাছেরা

কী এক আবহ নিয়ে

হৃদয়ে ছড়ায়!

মনের ক্যাসেটে

তখন বেজে যায়

পুরনো গান...

একসময়

অনেক স্বচ্ছতা নিয়ে

হঠাৎ রোদ-

মেঘলা আকাশে

মনে মনে কী বার্তা পাঠায়?

বৃষ্টির তুলি রুপালি ছবি,

বিমূর্ত চিত্রকলা,

এক নদী- ভেজা সবুজ-ঘেঁষা

বয়ে যায় একেলা।

হৃৎপিণ্ডে রক্তক্ষরণ
আনোয়ারুল হাকিম পল্লব
এখানে বিকেল, একাকী প্রতীক্ষার প্রহর গুনে

রেন্ট্রি গাছের নিচে, পিচ ঢালা কালো পথের বাঁকে;

অজ¯্র বিকেল সন্ধ্যার আকাশে পথ হারায়।

নদী- নদী দিনরাত সারাক্ষণ

জল নয়- হৃৎপি-ে রক্তক্ষরণ!

সোনালি সন্ধ্যা নেই, রুপালি রাত নেই

চাঁদ নেই, তারা নেই- নেই কিছু নেই

অনন্ত মরুভূমি, অসীম শ্মশান

নির্জন ফাঁকা ছাদ, কালো কালো রাত মৃত্যুর ফাঁদ-

বাতাস নেই- বুকের গভীরে কী ভীষণ চাপ!

পিচ ঢালা কালো পথ নয়; কালসাপ!

ভাঙা আকাশ
রিপন বর্মন
দুঃখ কুড়াতে কুড়াতে

বুকের ভেতর- বয়ে চলে আগুননদী

প্রতি স্নানে- পুড়তে পুড়তে গরদ গলে

নদীতটে নোঙর গেড়ে- জোছনায় হাসে চাঁদ

পলির খিদে বাড়ে- নৌকাতে বিচ্ছিন্ন অভিযোগ

বানের জলে শাপমোচন

ভাঙা আকাশ নেমে আসে-

শূন্য উঠোনে- গৃহস্থের শূন্য থালায়

back to top