হাবিবা রোজী
মহাযুদ্ধ-পরবর্তী সময়, ক্ষীয়মাণ দ্রোহ, বিপর্যস্ত মানবিকতা, রাবীন্দ্রিক রোম্যান্টিসজম, তিরিশের কবিদের সর্ববিস্তারী প্রভাব,জীবনানন্দীয় মহাঘোরে আচ্ছন্ন বাংলা কবিতা। এমন সন্ধিক্ষণে পঞ্চাশের দশকে বাংলা কবিতার প্রচল প্রবাহের দরজা ঠেলে সৌম্যকান্তির এক যুবরাজ বাংলা কাব্যের এক নতুন রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলেন দৃপ্ত পদভারে, তিনি আমাদের নাগরিক কবি শামসুর রাহমান।টি.এস. এলিয়ট যেমন পূর্বসূরিদের বিখ্যাত কবিতার লাইন নিয়ে লিখেছেন নিজের কবিতা; তেমনই কবিতা চর্চার সূচনাপর্বে “প্রথমগান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে” গ্রন্থে জীবনানন্দে নিমগ্নতা আভাসিত হলেও অর্ধশতাব্দী ধরে কবিতায় পরিভ্রমণে নিজেই গড়ে তুললেন আধুনিক এক কবিতা সা¤্রাজ্যের, হলেন রাজাধিরাজ, পেলেন নাগরিক কবির অভিধাটি, অর্জন করলেন বাঙালি জাতিসত্তার ‘কবিশ্রেষ্ঠ’ শিরোপা।
পূর্বসূরি কবিদের অস্বীকার করে নয় বরং তাঁদের আত্মস্থ করেই এগিয়ে গিয়েছেন কবি শামসুর রাহমান। ‘মৈনাক’ ছদ্মনামে লেখা শুরু করলেও শামসুর রাহমান স্বনামেই হয়ে ওঠেন বাংলা কবিতার ঈর্ষণীয় বরপুত্র। অপ্রতিরোধ্য নাম শামসুর রাহমান, তাঁর কবিতার প্রভায় প্রোজ্জ্বল হয় বাংলা কবিতার ঘর-বাড়ি আঙিনা-উঠান। কলকাতা কেন্দ্রিক কবিতাকে ঢাকামুখী করিয়েছেন কবি শামসুর রাহমান, ছন্দ আর অন্ত্যমিলে শৃঙ্খলিত বাংলা কবিতাকে মুক্তি দিয়ে আঁকলেন বাংলা কবিতার এক নতুন মানচিত্র। এ কবিতার দেশে পতপত করে উড়তে লাগলো এক নতুন কবিতার পাল। সে পালের হাওয়ায় পরশ বুলিয়ে গেল পূর্ববাংলার মুসলমান সাহিত্য পিপাসুদের। বাংলা কবিতা পেল তার স্বভূমি।
“রাত্রির পীড়নে উন্মথিত আমি নক্ষত্রের ঝড়ের মতো/ শব্দপুঞ্জ থেকে ছিঁড়ে আনি কবিতার অবিশ্বাস্য শরীর”। সৌন্দর্যের মতো রহস্যঢাকা নগ্ন আর উন্মীলিত শহরের সুরম্য অট্টালিকা আর আলো ঝলমলে ল্যাম্পপোস্টের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নিকষ অন্ধকার বাউল সাধকের মতো তন্নতন্ন করে খুঁজে এনে শামসুর রাহমান নির্মাণ করেছেন কবিতার শরীর। নাগরিক জীবনের বিপন্ন বিষাদ, আশা-নৈরাশ্য, চাওয়া-না পাওয়ার দোলাচল, হৃদয়ার্তি ছেঁকে তুলে এনেছেন কবিতার শব্দে, নির্মাণ করেন এক নিজকীয় শব্দব্রহ্ম । বাংলা কবিতা পায় আধুনিক এক প্রাতিস্বিক কবিকণ্ঠ। কবির ভাষ্য-
“এ শহর ক্ষুধাকেও নিঃসঙ্গ বাস্তব জেনে ধুলায় গড়ায় /এ শহর পল্টনে মাঠে ছুটে পোস্টারের উল্কি ছাওয়া মনে... /এ শহর প্রত্যহ লড়াই করে বহুরূপী নেকড়ের সাথে।”
অর্ধশতাব্দী কবিতায় সন্তরণের কালখ-ে ত্রিকালদর্শী সন্তের মতো প্রত্যক্ষ করেছেন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা,মাতৃভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান,মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম, নব্বইয়ের গণআন্দোলন। একজন সম্পাদকের মতো শব্দে রক্তাক্ত ঐতিহাসিক সময়কে কবিতাপত্রে তুলে রাখলেন, যা চিরকালিক সাক্ষ্য হয়ে থাকবে দূর ভবিষ্যতে।
“বারবার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্ট,
ময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,
ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকা- চোয়ালে।”
একজন আলোকচিত্রীর মতো আগুনঝরা সংগ্রাম, রাজনীতি, সমকালের ছবি এঁকেছেন শব্দের শক্তিমান গাঁথুনিতে তার কবিতা হয়ে ওঠে চিত্রাত্মক ইতিহাস। কখনও ঘাতকের প্রতি ঘৃণা ও সামূহিক অনুভবে বিদ্ধ আহত হয়ে বলেন- “পরশুরামের মতো কুঠারে আঘাতে আঘাতে / আমিও একুশবার নিশ্চিত মেটাবো জাত শত্রু।”
দ্বিখ-িত বঙ্গের মতো শামসুর রাহমানের বুকের পাঁজরকে একই রকম আহত করেছে হিরোশিমার ল-ভ- ল্যান্ডস্কেপ-
“সাংহাই জ্বলেছে কবে,কার চোখে ট্রয় জ্বলেপুড়েহলো ছাই/ রুশোর বিপ্লবে কারা করতালি পেয়েছে প্রচুর।”
এভাবে নাগরিক কবি হয়ে ওঠেন বৈশ্বিক কবি।
কাব্যে সমর্পিত শামসুর রাহমান শিল্পীর সাবলীল গতিময় গীতময়,অন্তর্স্পশী ধ্বনিতরঙ্গের মাধুর্যে কবিতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কাব্যচর্চার শুরুর দিকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে কবিতা লিখলেও অক্ষরবৃত্তেই ছিল অবাধ বিচরণ।গদ্যের সহজাত স্বচ্ছন্দপ্রবহমানতা শামসুর রাহমানের কবিতার প্রাণ।
সাহিত্য ভূগোলের সব শাখায় বিচরণ করলেও শামসুর রাহমানের কবিসত্তা প্রশ্নোর্ধ উচ্চতায় আসীন।
বিষয় ও শিল্পের প্রকরণে সযতœ,সময় ও ভাব অনুযায়ী পরিচর্যা পাঠকের মনকে আন্দোলিত করেছে বরাবর। হয়েছেনস্বকাল অতিক্রমী।
শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থ- প্রথম গান দ্বিতীয়মৃত্যুর আগে, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ের মুখোমুখি, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি, অন্ধকার থেকে আলো শীর্ষক কাব্যে শিরোনামের মধ্যে কবিতার গতি বদল স্পষ্টাঙ্কিত হয়ে উঠেছে।
শামসুর রাহমানের শিল্পমনস্কতার লক্ষ্যণীয় দিকগুলো হলো- গদ্যভঙ্গি, দৈনন্দিন ব্যবহার্য আটপৌরে উপাদানকে কাব্যভাষায় প্রয়োগ, চিত্রাত্মক বর্ণনাভঙ্গি, চিত্রকল্পের প্রয়োগ।
“এই যে আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।”
(একটি ফটোগ্রাফ)
কবি শামসুর রহমানের সমকালে তাঁর মতো বহুমাত্রিক, বহুস্বরিক, বহুপ্রজ প্রতিভাদীপ্ত কবি বিরল। বাংলা কবিতা যতদিন বেঁচে থাকবে আধুনিক কবিতার মুক্তির নতুন পথ ও মতদ্রষ্টা কবি শামসুর রহমানের নাম বাংলা কবিতায় অবিস্মরণীয়দের নামীয় তালিকায় প্রোজ্জ্বল থাকবে,আর শামসুর রাহমান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নন্দিত হবেন, হবেন বন্দিত।
হাবিবা রোজী
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
মহাযুদ্ধ-পরবর্তী সময়, ক্ষীয়মাণ দ্রোহ, বিপর্যস্ত মানবিকতা, রাবীন্দ্রিক রোম্যান্টিসজম, তিরিশের কবিদের সর্ববিস্তারী প্রভাব,জীবনানন্দীয় মহাঘোরে আচ্ছন্ন বাংলা কবিতা। এমন সন্ধিক্ষণে পঞ্চাশের দশকে বাংলা কবিতার প্রচল প্রবাহের দরজা ঠেলে সৌম্যকান্তির এক যুবরাজ বাংলা কাব্যের এক নতুন রাস্তায় হাঁটতে শুরু করলেন দৃপ্ত পদভারে, তিনি আমাদের নাগরিক কবি শামসুর রাহমান।টি.এস. এলিয়ট যেমন পূর্বসূরিদের বিখ্যাত কবিতার লাইন নিয়ে লিখেছেন নিজের কবিতা; তেমনই কবিতা চর্চার সূচনাপর্বে “প্রথমগান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে” গ্রন্থে জীবনানন্দে নিমগ্নতা আভাসিত হলেও অর্ধশতাব্দী ধরে কবিতায় পরিভ্রমণে নিজেই গড়ে তুললেন আধুনিক এক কবিতা সা¤্রাজ্যের, হলেন রাজাধিরাজ, পেলেন নাগরিক কবির অভিধাটি, অর্জন করলেন বাঙালি জাতিসত্তার ‘কবিশ্রেষ্ঠ’ শিরোপা।
পূর্বসূরি কবিদের অস্বীকার করে নয় বরং তাঁদের আত্মস্থ করেই এগিয়ে গিয়েছেন কবি শামসুর রাহমান। ‘মৈনাক’ ছদ্মনামে লেখা শুরু করলেও শামসুর রাহমান স্বনামেই হয়ে ওঠেন বাংলা কবিতার ঈর্ষণীয় বরপুত্র। অপ্রতিরোধ্য নাম শামসুর রাহমান, তাঁর কবিতার প্রভায় প্রোজ্জ্বল হয় বাংলা কবিতার ঘর-বাড়ি আঙিনা-উঠান। কলকাতা কেন্দ্রিক কবিতাকে ঢাকামুখী করিয়েছেন কবি শামসুর রাহমান, ছন্দ আর অন্ত্যমিলে শৃঙ্খলিত বাংলা কবিতাকে মুক্তি দিয়ে আঁকলেন বাংলা কবিতার এক নতুন মানচিত্র। এ কবিতার দেশে পতপত করে উড়তে লাগলো এক নতুন কবিতার পাল। সে পালের হাওয়ায় পরশ বুলিয়ে গেল পূর্ববাংলার মুসলমান সাহিত্য পিপাসুদের। বাংলা কবিতা পেল তার স্বভূমি।
“রাত্রির পীড়নে উন্মথিত আমি নক্ষত্রের ঝড়ের মতো/ শব্দপুঞ্জ থেকে ছিঁড়ে আনি কবিতার অবিশ্বাস্য শরীর”। সৌন্দর্যের মতো রহস্যঢাকা নগ্ন আর উন্মীলিত শহরের সুরম্য অট্টালিকা আর আলো ঝলমলে ল্যাম্পপোস্টের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নিকষ অন্ধকার বাউল সাধকের মতো তন্নতন্ন করে খুঁজে এনে শামসুর রাহমান নির্মাণ করেছেন কবিতার শরীর। নাগরিক জীবনের বিপন্ন বিষাদ, আশা-নৈরাশ্য, চাওয়া-না পাওয়ার দোলাচল, হৃদয়ার্তি ছেঁকে তুলে এনেছেন কবিতার শব্দে, নির্মাণ করেন এক নিজকীয় শব্দব্রহ্ম । বাংলা কবিতা পায় আধুনিক এক প্রাতিস্বিক কবিকণ্ঠ। কবির ভাষ্য-
“এ শহর ক্ষুধাকেও নিঃসঙ্গ বাস্তব জেনে ধুলায় গড়ায় /এ শহর পল্টনে মাঠে ছুটে পোস্টারের উল্কি ছাওয়া মনে... /এ শহর প্রত্যহ লড়াই করে বহুরূপী নেকড়ের সাথে।”
অর্ধশতাব্দী কবিতায় সন্তরণের কালখ-ে ত্রিকালদর্শী সন্তের মতো প্রত্যক্ষ করেছেন ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা,মাতৃভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান,মহান মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রাম, নব্বইয়ের গণআন্দোলন। একজন সম্পাদকের মতো শব্দে রক্তাক্ত ঐতিহাসিক সময়কে কবিতাপত্রে তুলে রাখলেন, যা চিরকালিক সাক্ষ্য হয়ে থাকবে দূর ভবিষ্যতে।
“বারবার ফিরে আসে রক্তাপ্লুত শার্ট,
ময়দানে ফিরে আসে, ব্যাপক নিসর্গে ফিরে আসে,
ফিরে আসে থমথমে শহরের প্রকা- চোয়ালে।”
একজন আলোকচিত্রীর মতো আগুনঝরা সংগ্রাম, রাজনীতি, সমকালের ছবি এঁকেছেন শব্দের শক্তিমান গাঁথুনিতে তার কবিতা হয়ে ওঠে চিত্রাত্মক ইতিহাস। কখনও ঘাতকের প্রতি ঘৃণা ও সামূহিক অনুভবে বিদ্ধ আহত হয়ে বলেন- “পরশুরামের মতো কুঠারে আঘাতে আঘাতে / আমিও একুশবার নিশ্চিত মেটাবো জাত শত্রু।”
দ্বিখ-িত বঙ্গের মতো শামসুর রাহমানের বুকের পাঁজরকে একই রকম আহত করেছে হিরোশিমার ল-ভ- ল্যান্ডস্কেপ-
“সাংহাই জ্বলেছে কবে,কার চোখে ট্রয় জ্বলেপুড়েহলো ছাই/ রুশোর বিপ্লবে কারা করতালি পেয়েছে প্রচুর।”
এভাবে নাগরিক কবি হয়ে ওঠেন বৈশ্বিক কবি।
কাব্যে সমর্পিত শামসুর রাহমান শিল্পীর সাবলীল গতিময় গীতময়,অন্তর্স্পশী ধ্বনিতরঙ্গের মাধুর্যে কবিতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। কাব্যচর্চার শুরুর দিকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দে কবিতা লিখলেও অক্ষরবৃত্তেই ছিল অবাধ বিচরণ।গদ্যের সহজাত স্বচ্ছন্দপ্রবহমানতা শামসুর রাহমানের কবিতার প্রাণ।
সাহিত্য ভূগোলের সব শাখায় বিচরণ করলেও শামসুর রাহমানের কবিসত্তা প্রশ্নোর্ধ উচ্চতায় আসীন।
বিষয় ও শিল্পের প্রকরণে সযতœ,সময় ও ভাব অনুযায়ী পরিচর্যা পাঠকের মনকে আন্দোলিত করেছে বরাবর। হয়েছেনস্বকাল অতিক্রমী।
শামসুর রাহমানের কাব্যগ্রন্থ- প্রথম গান দ্বিতীয়মৃত্যুর আগে, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, দুঃসময়ের মুখোমুখি, উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ, দেশদ্রোহী হতে ইচ্ছে করে, ভগ্নস্তূপে গোলাপের হাসি, অন্ধকার থেকে আলো শীর্ষক কাব্যে শিরোনামের মধ্যে কবিতার গতি বদল স্পষ্টাঙ্কিত হয়ে উঠেছে।
শামসুর রাহমানের শিল্পমনস্কতার লক্ষ্যণীয় দিকগুলো হলো- গদ্যভঙ্গি, দৈনন্দিন ব্যবহার্য আটপৌরে উপাদানকে কাব্যভাষায় প্রয়োগ, চিত্রাত্মক বর্ণনাভঙ্গি, চিত্রকল্পের প্রয়োগ।
“এই যে আমার ছোট ছেলে, যে নেই এখন,
পাথরের টুকরোর মতন
ডুবে গেছে আমাদের গ্রামের পুকুরে
বছর-তিনেক আগে কাক-ডাকা গ্রীষ্মের দুপুরে।”
(একটি ফটোগ্রাফ)
কবি শামসুর রহমানের সমকালে তাঁর মতো বহুমাত্রিক, বহুস্বরিক, বহুপ্রজ প্রতিভাদীপ্ত কবি বিরল। বাংলা কবিতা যতদিন বেঁচে থাকবে আধুনিক কবিতার মুক্তির নতুন পথ ও মতদ্রষ্টা কবি শামসুর রহমানের নাম বাংলা কবিতায় অবিস্মরণীয়দের নামীয় তালিকায় প্রোজ্জ্বল থাকবে,আর শামসুর রাহমান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে নন্দিত হবেন, হবেন বন্দিত।