alt

সাময়িকী কবিতা

: বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বৃক্ষ উড়ে যায়
নাসরীন জাহান
এক।

ছায়ায় ঘুমাব বলে

বাতাসকে ডেকেছি।

তুমুল ঝড়ের সাথে বৃক্ষ উড়ে যায়।

দুই।

ভবিষ্যতের স্বপ্ন ছুঁতে এগোই,

সামনে এলে ভবিষ্যৎ,

প্রাণ চলে যায়।

তিন।

চেহারায় বেশি সুন্দর দ্রুত একঘেয়ে লাগে।

মন সুন্দর ধীর প্রস্ফুটনে জাগে।

আজিজ স্যার
পুলিন রায়
থ্যাকারে টিলার পাশে

মুরারিচাঁদের লাগোয়া ভাস্কর ভবনে

বসে কল্পনায় দেখি রাস্তার ওপারেই

প্রিন্সিপালের চেয়ার বসা প্রজ্ঞাময় ‘হালকা পাতলা গড়নের চীনের প্রাচীর’সম আজিজ স্যার।

স্মৃতির দর্পণে ভাসে ক্যাম্পাসে সবুজ গালিচায় হেঁটে যাওয়া প্রগাঢ় সাধক একজন আব্দুল আজিজ।

ফিরে যাই ছত্রিশ বছর আগে। শান্ত-ধীর অথচ ব্যক্তিত্বের আলোয় উদ্ভাসিত আজিজ স্যারের অফিসে আদৃত হই স্নেহের বৃষ্টিধারায়।

আজো অমলিন স্মৃতি হয়ে কানে বাজে- ‘পুলিন, ডাক-এ তোমার রিপোর্টটি পড়লাম। খুব ভালো লিখেছো ঐদিনের কবিতাটি...’। ঝরে পড়ে বিমুগ্ধ ভালোবাসা আর ভালো লাগার অনুপম স্বেদ।

আজো প্রতি সকালে ক্যাম্পাসে যাই। কল্পনায় দেখি আজিজ স্যার মৃদুপায়ে আসছেন নেমে।

পথের দুধারের তরুলতা শ্রদ্ধায় অবনত হয়।

জ্ঞানের প্রদীপ্ত শিখা জ্বালিয়ে স্যার ঢুকে পড়েন অর্থনীতির গ্যালারিতে।

সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি

বৃক্ষেরা তুমুল করতালিতে মেতে উঠেছে।

সমুদ্র অথবা তুমি
অঞ্জন মেহেদী
সমুদ্র অথবা তুমি

তুমি অথবা সমুদ্র

কিংবা সমুদ্রগামী তুমি

বিশাল সমুদ্রে কোনটা তুমি

আর কোনটা যে সমুদ্র আমি গুলিয়ে ফেলি!

নাবিকের কম্পাসে জাহাজের নিশানা

দূরবর্তী বাতিঘরের মতো তোমার মুখ

দু’হাতের জল যখন শূন্যে উড়াও

তখন পিঠের সোনালি চুল দুলে ওঠে

বালুকণা জেগে থাকে অনাদিকাল

তোমার পায়ের শব্দে জলতরঙ্গের সুর বাজে

সূর্যম্লান শেষে রোদের গরম হাওয়া

মাতাল হয়ে আসে তুমুল ঢেউ তুলে

ছুঁয়ে দেয় তোমার কুড়ি-একুশ বছরের গৌরব

ও সমুদ্রের মেয়ে,

জল কি জানে তুমি ওর বক্ষ ছুঁয়েছিলে?

ছবি

এলোমেলো স্মৃতির সমরেশ মজুমদার

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

বিমল গুহের কবিতার অন্তর্জগৎ ও শিল্পৈশ্বর্য

ছবি

কবিতার সুনীল সুনীলের কবিতা

ছবি

রূপান্তরের অকথিত গল্পটা

ছবি

মানব সভ্যতার আত্মবিশ্লেষণের আয়না

ছবি

বাইরে একটা কিছু জ্বলছে

ছবি

‘কাফকার মতো হবো বলে আইন পড়েছিলাম’

ছবি

সত্যেন সেনের উপন্যাস: মিথ ও ইতিহাসলগ্ন মানুষ

ছবি

বিস্ময়ের সীমা নাই

ছবি

নগর বাউল ও ত্রিকালদর্শী সন্ত কবি শামসুর রাহমান

সাময়িকী কবিতা

ছবি

ও বন্ধু আমার

ছবি

লোরকার দেশে

ছবি

শামসুর রাহমানের কবিতায় ‘মিথ’

ছবি

বহুমাত্রিক শামসুর রাহমান

ছবি

দূর-সময়ের সার্বভৌম কবি

ছবি

মাহফুজ আল-হোসেন-এর দশটি কবিতা

ছবি

মনোজগতের অন্বেষায়

সাময়িকী কবিতা

ছবি

এক ঘর রোদ

ছবি

দ্রোহের রম্য পঙ্ক্তিমালা

ছবি

সংবেদী রঙে ও রেখায় প্রাণের উন্মোচন

ছবি

অলস দিনের হাওয়া

ছবি

লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের মর্মস্পর্শী ও দূরদর্শী সাহিত্যকর্ম

ছবি

‘ভাষার আরোপিত কারুকাজে খেই হারিয়ে ফেলি’

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জিন্দা লাশ কি প্রকৃত লাশ

ছবি

সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের শিক্ষা দর্শন ও অলস দিনের হাওয়া

ছবি

ধ্রুপদী বোধ ও ব্যাধির কবিতা

ছবি

সুকান্তর কবিতায় বিপ্লবী চেতনা

সাময়িকী কবিতা

ছবি

মগ্নচৈতন্যে সৌন্দর্যধ্যান

ছবি

অধুনাবাদী নিরীক্ষার অগ্রসাধক

ছবি

‘বায়ান্নর আধুনিকতা ও প্রগতিশীল ধারাকে বহন করতে চেয়েছি’

ছবি

জাতীয় চেতনার অমলিন ধারক

ছবি

নক্ষত্রের অনন্ত যাত্রা

tab

সাময়িকী কবিতা

বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বৃক্ষ উড়ে যায়
নাসরীন জাহান
এক।

ছায়ায় ঘুমাব বলে

বাতাসকে ডেকেছি।

তুমুল ঝড়ের সাথে বৃক্ষ উড়ে যায়।

দুই।

ভবিষ্যতের স্বপ্ন ছুঁতে এগোই,

সামনে এলে ভবিষ্যৎ,

প্রাণ চলে যায়।

তিন।

চেহারায় বেশি সুন্দর দ্রুত একঘেয়ে লাগে।

মন সুন্দর ধীর প্রস্ফুটনে জাগে।

আজিজ স্যার
পুলিন রায়
থ্যাকারে টিলার পাশে

মুরারিচাঁদের লাগোয়া ভাস্কর ভবনে

বসে কল্পনায় দেখি রাস্তার ওপারেই

প্রিন্সিপালের চেয়ার বসা প্রজ্ঞাময় ‘হালকা পাতলা গড়নের চীনের প্রাচীর’সম আজিজ স্যার।

স্মৃতির দর্পণে ভাসে ক্যাম্পাসে সবুজ গালিচায় হেঁটে যাওয়া প্রগাঢ় সাধক একজন আব্দুল আজিজ।

ফিরে যাই ছত্রিশ বছর আগে। শান্ত-ধীর অথচ ব্যক্তিত্বের আলোয় উদ্ভাসিত আজিজ স্যারের অফিসে আদৃত হই স্নেহের বৃষ্টিধারায়।

আজো অমলিন স্মৃতি হয়ে কানে বাজে- ‘পুলিন, ডাক-এ তোমার রিপোর্টটি পড়লাম। খুব ভালো লিখেছো ঐদিনের কবিতাটি...’। ঝরে পড়ে বিমুগ্ধ ভালোবাসা আর ভালো লাগার অনুপম স্বেদ।

আজো প্রতি সকালে ক্যাম্পাসে যাই। কল্পনায় দেখি আজিজ স্যার মৃদুপায়ে আসছেন নেমে।

পথের দুধারের তরুলতা শ্রদ্ধায় অবনত হয়।

জ্ঞানের প্রদীপ্ত শিখা জ্বালিয়ে স্যার ঢুকে পড়েন অর্থনীতির গ্যালারিতে।

সম্বিত ফিরে পেয়ে দেখি

বৃক্ষেরা তুমুল করতালিতে মেতে উঠেছে।

সমুদ্র অথবা তুমি
অঞ্জন মেহেদী
সমুদ্র অথবা তুমি

তুমি অথবা সমুদ্র

কিংবা সমুদ্রগামী তুমি

বিশাল সমুদ্রে কোনটা তুমি

আর কোনটা যে সমুদ্র আমি গুলিয়ে ফেলি!

নাবিকের কম্পাসে জাহাজের নিশানা

দূরবর্তী বাতিঘরের মতো তোমার মুখ

দু’হাতের জল যখন শূন্যে উড়াও

তখন পিঠের সোনালি চুল দুলে ওঠে

বালুকণা জেগে থাকে অনাদিকাল

তোমার পায়ের শব্দে জলতরঙ্গের সুর বাজে

সূর্যম্লান শেষে রোদের গরম হাওয়া

মাতাল হয়ে আসে তুমুল ঢেউ তুলে

ছুঁয়ে দেয় তোমার কুড়ি-একুশ বছরের গৌরব

ও সমুদ্রের মেয়ে,

জল কি জানে তুমি ওর বক্ষ ছুঁয়েছিলে?

back to top