আমি- শেষ

আশরাফ আহমদ

পাখিদের দেখাদেখি বোর্ডিং-পাস হাতে

আমার উড়াল-স্বপ্ন গলাটা বাড়াতেই,

বিমানবালার হাতে খপ করে

ধরে ফেললে, নিরাপত্তার নামে;

সেখানেই শেষ।

বাতাস তোমার বাড়ি, আমাকে থামালে।

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হলো,

আকাশ থেকে নেমে আসতে থাকলো

মেঘের হাতিরা।

লাজুক লতার দেহে নেতিয়ে পড়লাম,

ভেঙে পড়লো সুরমার পার,

আমার ইস্কুল, ইস্কুলের বেঞ্চ,

ডুবে মরলো তোমার ক্রোধের স্রোতে।

বিদ্যা-বুদ্ধি গেলো,

নদীর অপর পার গড়ার স্বপ্নও শেষ!

দক্ষ কোনো তীরন্দাজ যেনো

মারণাস্ত্রে বিদ্ধ করলো ব্রহ্মতালু,

ফিনকি দিয়ে আগুন বেরুলো,

কিন্তু সেই আলোকের বিচ্ছুরণ

মানুষের চোখেই পড়লো না।

সব ধারদেনা পড়ে রইলো,

কাউকে বলাও হলো না- বিদায়,

তার আগেই শেষ!

আপাতদৃষ্টিতে, এই যে ঘুরছি ফিরছি

পদ্যটদ্যের ঘোরে,

রাজহাঁস খুঁজে মরছি শান্ত জলে,

এ কিন্তু আমি নই, অন্য কেউ,

আমি তো কোমায়।

শুয়ে শুয়ে ফেইসবুকে

তোমার পোস্টানো ছবি দেখে যাচ্ছে

মীনচক্ষু, চিনতে পারছেনা।

আমার ভালত্ব যতো, মুছে দিয়ে

ভালোই করেছো, ওসব অন্যের ছিলো।

আর, এ জীবন ভালোই লাগছিলো না,

ভালোই করেছো, শূন্যের খোলস করে।

আকাশের দাবি-দাওয়া ছেড়ে

খোলসের শূন্য মেপে মেপে, অতঃপর

আসল আমিতে যাই।

সম্প্রতি