নূরুল হক / জন্ম : ২৫ নভেম্বর ১৯৪৪; মৃত্যু ২২ জুলাইল ২০২১
পথলিপি
এইভাবে ন¤্র হও,
দেখ,
কী করে যে মরমী দুনিয়া
হঠাৎ করেই ওই
অভাবিত
চলে আসে,
দরজায়,
টোকা দেয়
বলে,
‘এসো, এসো, চলে
এসো
রমনার মাঠে।’
কিন্তু গেলে শুধু
খোলা হাওয়া
আর কিছু নয়
খোলা হাওয়া জীবনের জল নিয়ে শত দিকে
চলে যায়।
সুন্দরের প্রথম ঘণ্টা বাজে
হৃদাকাশে,
যেতে হবে জানি
বহু পল্লবের সাথে
বহু পাখি সঙ্গে নিয়ে
মঞ্জুরিত হয়ে
হায়, বাসা বাঁধবে তাই
নিয়ে যাচ্ছে এক টুকরো খড়
জীবনের জল নিয়ে
শত দিকে চলে যায়
সুন্দরের প্রথম ঘণ্টা বাজে
হৃদাকাশে
সোনার পৃথিবী কোনো
তৈরি হতে হবে
তাই যেতে হবে
জীবিত পুরুষ থেকে
আগামী পুরুষে
পিঁপড়ে সারির মতো
আরো সন্ধ্যা ঢেলে দিতে
হবে
হৃদয় পাবনে।
সুন্দরের সুতো
কে ফেলে রেখে গেছে?
এইখানে?
তাই দিয়ে বাঁধতে হবে
কারে?
বাঁশি
ভরতে হবে এই পাত্র
হৃদয়ের নিচ থেকে
এসে,
সকল বিলাপ জানি
কাঁটার মতোই একদিন ফুল
হয়ে যাবে,
তিয়াসে তিয়াসে সব
জমে উঠবে
পথের খিল খিল হাসি
ধানক্ষেতে
ঢেউয়ের মাচায়,
পরিত্রাতা যেন।
মেয়েটি
স্বপ্ন ঝরে পড়ছে
তার বাহু থেকে
গাল থেকে
তার গ্রীবা থেকে
যেন স্বপ্নেরই তৈরি একটি
মূর্তি হয়ে আছে
সে।
আহা।
নীলাচলের রূপরেখা
আবার ডাকছে
ওই
শৈলমালা,
আড়ালের দিকে।
হৃদয়ে পাষাণ ভেঙে
জল¯্রােত
নেমে আসে নিচে।
ওইখানে
ওই
সুন্দর আলোয়
স্নান করার যোগ্য হবে কে?
হীরক বাতাসে
তোমার রাত্রির সাথে আমার সন্ধ্যার কোনো সখ্য নেই
আমি দুঃখঘেরা সলিলে নেয়েছি
জন্মের আধেক দেখা ফুল নিয়ে
শুকনো বাতাসের দিকে জেগেছি, কাজল,
তুমি বিদায়-রহস্য ভরা হাত আর
এদিকে সেঁধোনা
কণ্ঠরজনীর কাছে যে রৌদ্র বিলাস আসে
এবার
কেউ কেউ ঘননিদ্রা ছিঁড়ে যায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নূরুল হক / জন্ম : ২৫ নভেম্বর ১৯৪৪; মৃত্যু ২২ জুলাইল ২০২১
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
পথলিপি
এইভাবে ন¤্র হও,
দেখ,
কী করে যে মরমী দুনিয়া
হঠাৎ করেই ওই
অভাবিত
চলে আসে,
দরজায়,
টোকা দেয়
বলে,
‘এসো, এসো, চলে
এসো
রমনার মাঠে।’
কিন্তু গেলে শুধু
খোলা হাওয়া
আর কিছু নয়
খোলা হাওয়া জীবনের জল নিয়ে শত দিকে
চলে যায়।
সুন্দরের প্রথম ঘণ্টা বাজে
হৃদাকাশে,
যেতে হবে জানি
বহু পল্লবের সাথে
বহু পাখি সঙ্গে নিয়ে
মঞ্জুরিত হয়ে
হায়, বাসা বাঁধবে তাই
নিয়ে যাচ্ছে এক টুকরো খড়
জীবনের জল নিয়ে
শত দিকে চলে যায়
সুন্দরের প্রথম ঘণ্টা বাজে
হৃদাকাশে
সোনার পৃথিবী কোনো
তৈরি হতে হবে
তাই যেতে হবে
জীবিত পুরুষ থেকে
আগামী পুরুষে
পিঁপড়ে সারির মতো
আরো সন্ধ্যা ঢেলে দিতে
হবে
হৃদয় পাবনে।
সুন্দরের সুতো
কে ফেলে রেখে গেছে?
এইখানে?
তাই দিয়ে বাঁধতে হবে
কারে?
বাঁশি
ভরতে হবে এই পাত্র
হৃদয়ের নিচ থেকে
এসে,
সকল বিলাপ জানি
কাঁটার মতোই একদিন ফুল
হয়ে যাবে,
তিয়াসে তিয়াসে সব
জমে উঠবে
পথের খিল খিল হাসি
ধানক্ষেতে
ঢেউয়ের মাচায়,
পরিত্রাতা যেন।
মেয়েটি
স্বপ্ন ঝরে পড়ছে
তার বাহু থেকে
গাল থেকে
তার গ্রীবা থেকে
যেন স্বপ্নেরই তৈরি একটি
মূর্তি হয়ে আছে
সে।
আহা।
নীলাচলের রূপরেখা
আবার ডাকছে
ওই
শৈলমালা,
আড়ালের দিকে।
হৃদয়ে পাষাণ ভেঙে
জল¯্রােত
নেমে আসে নিচে।
ওইখানে
ওই
সুন্দর আলোয়
স্নান করার যোগ্য হবে কে?
হীরক বাতাসে
তোমার রাত্রির সাথে আমার সন্ধ্যার কোনো সখ্য নেই
আমি দুঃখঘেরা সলিলে নেয়েছি
জন্মের আধেক দেখা ফুল নিয়ে
শুকনো বাতাসের দিকে জেগেছি, কাজল,
তুমি বিদায়-রহস্য ভরা হাত আর
এদিকে সেঁধোনা
কণ্ঠরজনীর কাছে যে রৌদ্র বিলাস আসে
এবার
কেউ কেউ ঘননিদ্রা ছিঁড়ে যায়।