image

মুনীর চৌধুরী ও নাটক ‘কবর’ বিষয়ক

আসাদ চৌধুরীর কবিতা

তাঁর কণ্ঠস্বর থেকে

তাঁর কণ্ঠস্বর থেকে

অলৌকিক বিশেষণ অনর্গল ঝরে যেতে দেখে

শেক্সপিয়ার বিমূঢ় বিস্ময়ে ক্ষণিক তাকিয়ে

বেশ নাটকীয়ভাবে ঢুকে

বসতেন আমাদেরই পাশে।

মুজাদ্দেদ ইলিয়াস সরে বসে

চিত্ত, মান্নান, মুনিরা সরে বসে

গণিতে প্রবল প্রেম ইকবালের

সেও সরে বসে।

এলিয়ট, পাউন্ড, র‌্যাবোঁকে দেখে

বিব্রত সে কবি-নাট্যকার

উঠি-উঠি করতেন শুধু

মীর মশাররফের সাথে দৃষ্টি বিনিময় শেষে

প্রবল আগ্রহ নিয়ে

শুনতেন ডাইনীর ব্যাখ্যা,

দেখতেন ম্যাকবেথের করুণ পরিণতি।

মহিষীর ক্রমাগত হস্তপ্রক্ষালন গভীর নিশীথে,

ধাবমান পাহাড়, বনানী...

শেক্সপিয়ার ভালোই জানতেন

এই লোক কবর নাটকখানি লিখেছেন,

সেখানে নিহত ছাত্র, করুণ কেরানি,

কিছুতেই কবরে যায় না, বলে

‘গোসল নেই, দাফন নেই, জানাজা নেই

এ মুর্দা কবরে যাবে না।’

তবু যায়, যেতে হয়।

ওকে ঠিক কবর বলে না, বড়ো জোর গর্ত, নালা

বলা যেতে পারে।

বধ্যভূমি ডাক দিলে নিজের সংসারে

কে আর অমন থাকতে পারে, থাকে!

তখন পাহাড় কতোটুকু কাছে এসোছিলো?

সবুজ বনানীয় প্রতিটি নিঃশ্বাসে দ্রুত

হৃৎপি-ে সঙ্গী হয়েছিলো?

কোনো শব্দ ছিলো মুখে, মৃদু তিরষ্কার,

ব্যাঙ্কোর নিমর্ম দৃষ্টি

আমি তো জানি না কিছু।

বিধবা ও এতিমের দেশে

রক্তমূল্যে কেনা এই দেশে

অশ্রু আর উল্লাসের আন্দোলনে

নূতন পতাকা এক কেঁপে ওঠে ঘন কুয়াশায়...

আলোচনা সভা

মুনীর চৌধুরীর কবর নাটক

শক্তির পুনরুত্থানের কথা

দৃষ্টি চূড়ান্ত মুক্তির দিকে।

সম্প্রতি