(বিমল গুহ, জন্ম ২৭শে অক্টোবর, ১৯৫২ সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম ॥ ৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা)
আঁধারের রূপ
সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে সম্মুখে আমার
-জীবনই সুন্দর;
অন্ধকার বার-বার হাতছানি দেয়
কেঁপে ওঠে লহমায় সন্ত্রস্ত ঘর!
মৃত্যু পুঁতিগন্ধময় বীভৎস হাওয়া
দীর্ঘতম শ্বাস;
জীবনের কাছে যাই, ছুটে-ছুটে যাই-
বিছানার দুইপাশে বাড়ে মুথাঘাস!
জীবন সুন্দর আহা! জীবনই সুন্দর
আঁধার কুৎসিত কদাকার;
জীবনের অন্যপিঠে লিখবো কী নাম-
ড্রাগনের অগ্নিরূপ, ভীতি, অন্ধকার!
লাইফ সাপোর্ট
শুধু বালিয়াড়ি, শুধু রাশি রাশি জল
সমুদ্র সমুদ্র- চারিদিকে জলের উল্লাস;
এ রকম ঘোরের ভিতর হেঁটে যাচ্ছে আমার সময়।
শুধু বালিয়াড়ি শুধু জল
ভেতরে শৈশবনৃত্য- শুধু কোলাহল!
কোথায় কী হলো আজ- আগুনের মতো
সৈকতে তীর্যক রোদ এসে পড়েছে এক্ষণে,
পাশে নৃত্যরত ঢেউ জলের উল্লাস-
ভেতরে ভেতরে সব ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে মনে হয়;
আগুনের মতো লেলিহান
ছিটকে পড়েছে সবখানে- পুড়ে যাচ্ছে মোহ
সমুদ্রের জলও কি টের পায় কিছু?
চারদিকে বালিয়াড়ি শুধু কোলাহল: এ রকম লাগে-
মৃত্যুপূর্বে লাইফসাপোর্ট নিয়ে যারা বাঁচে।
অধিবাস্তবতা
সত্যি বলছি, এ ক’দিন গৃহবন্দি থেকে
অভ্যন্তরে জমা হলো ক্রোধের বারুদ:
সকাল-সন্ধ্যা প্রতিদিন- সময়কে মুঠে পুরি
আমি আর ফারুক মাহমুদ!
ঘুণাক্ষরে বুঝি নাই
ফুসফুস প্রণালী হবে ক্ষীণ;
হতাশার ছন্দগাথা যখন দুজন পাঠ করি
পৃথিবীকে মনে হলো- সুখদ মসৃণ?
সারাক্ষণ চোখে ভাসে ধাবমান আগুনের গোলা
অক্ষিকোটর জুড়ে অসংলগ্ন চাপ!
তবে কি নিঃশেষ হতে চলেছে অন্তরা;
কানে বাজে অশুভ সংলাপ?
শেষপাতা ঝরে গেলে কল্পরূপ বৃক্ষের মতন
শীর্ণকা- দাঁড়ানোই প্রকৃতি সম্মত;
অভ্যন্তরে জমা হলে ক্রোধ-
শীর্ণবুকে আঁকা হয় অগ্নি-লাল ক্ষত!
জন্মঋণ
সময়ক্ষেপণ কোনো চারুকর্ম নয়;
গ্রন্থসুধা নিয়ে যারা থাকে
জলেস্থলে নভোনীলে
তাদের মুখের অবয়বে আঁকা হয় পৃথিবীর ছায়া।
দেখো দেখো পরিত্যক্ত মাঠের কিনারে
আকাশ নেমেছে কত নিচে; মেঘমালা ছুঁয়ে আছে
দিগন্তরেখা। বোধিসত্ত্বমূলে আজো
প্রকৃতিবিদ্যার পাঠ হয়-
আমরা এতকাল যাকে পাঠশালা বলতে শিখেছি।
সময়ক্ষেপণ আদৌ ঠিক কাজ নয়-
জন্মঋণ শোধ দিতে দিতে
দিগন্তের সীমানা অবধি চলে যাবো, একা একা।
(বিমল গুহ, জন্ম ২৭শে অক্টোবর, ১৯৫২ সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম ॥ ৭০তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা)
শনিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২১
আঁধারের রূপ
সুন্দর দাঁড়িয়ে আছে সম্মুখে আমার
-জীবনই সুন্দর;
অন্ধকার বার-বার হাতছানি দেয়
কেঁপে ওঠে লহমায় সন্ত্রস্ত ঘর!
মৃত্যু পুঁতিগন্ধময় বীভৎস হাওয়া
দীর্ঘতম শ্বাস;
জীবনের কাছে যাই, ছুটে-ছুটে যাই-
বিছানার দুইপাশে বাড়ে মুথাঘাস!
জীবন সুন্দর আহা! জীবনই সুন্দর
আঁধার কুৎসিত কদাকার;
জীবনের অন্যপিঠে লিখবো কী নাম-
ড্রাগনের অগ্নিরূপ, ভীতি, অন্ধকার!
লাইফ সাপোর্ট
শুধু বালিয়াড়ি, শুধু রাশি রাশি জল
সমুদ্র সমুদ্র- চারিদিকে জলের উল্লাস;
এ রকম ঘোরের ভিতর হেঁটে যাচ্ছে আমার সময়।
শুধু বালিয়াড়ি শুধু জল
ভেতরে শৈশবনৃত্য- শুধু কোলাহল!
কোথায় কী হলো আজ- আগুনের মতো
সৈকতে তীর্যক রোদ এসে পড়েছে এক্ষণে,
পাশে নৃত্যরত ঢেউ জলের উল্লাস-
ভেতরে ভেতরে সব ক্ষয়ে ক্ষয়ে যাচ্ছে মনে হয়;
আগুনের মতো লেলিহান
ছিটকে পড়েছে সবখানে- পুড়ে যাচ্ছে মোহ
সমুদ্রের জলও কি টের পায় কিছু?
চারদিকে বালিয়াড়ি শুধু কোলাহল: এ রকম লাগে-
মৃত্যুপূর্বে লাইফসাপোর্ট নিয়ে যারা বাঁচে।
অধিবাস্তবতা
সত্যি বলছি, এ ক’দিন গৃহবন্দি থেকে
অভ্যন্তরে জমা হলো ক্রোধের বারুদ:
সকাল-সন্ধ্যা প্রতিদিন- সময়কে মুঠে পুরি
আমি আর ফারুক মাহমুদ!
ঘুণাক্ষরে বুঝি নাই
ফুসফুস প্রণালী হবে ক্ষীণ;
হতাশার ছন্দগাথা যখন দুজন পাঠ করি
পৃথিবীকে মনে হলো- সুখদ মসৃণ?
সারাক্ষণ চোখে ভাসে ধাবমান আগুনের গোলা
অক্ষিকোটর জুড়ে অসংলগ্ন চাপ!
তবে কি নিঃশেষ হতে চলেছে অন্তরা;
কানে বাজে অশুভ সংলাপ?
শেষপাতা ঝরে গেলে কল্পরূপ বৃক্ষের মতন
শীর্ণকা- দাঁড়ানোই প্রকৃতি সম্মত;
অভ্যন্তরে জমা হলে ক্রোধ-
শীর্ণবুকে আঁকা হয় অগ্নি-লাল ক্ষত!
জন্মঋণ
সময়ক্ষেপণ কোনো চারুকর্ম নয়;
গ্রন্থসুধা নিয়ে যারা থাকে
জলেস্থলে নভোনীলে
তাদের মুখের অবয়বে আঁকা হয় পৃথিবীর ছায়া।
দেখো দেখো পরিত্যক্ত মাঠের কিনারে
আকাশ নেমেছে কত নিচে; মেঘমালা ছুঁয়ে আছে
দিগন্তরেখা। বোধিসত্ত্বমূলে আজো
প্রকৃতিবিদ্যার পাঠ হয়-
আমরা এতকাল যাকে পাঠশালা বলতে শিখেছি।
সময়ক্ষেপণ আদৌ ঠিক কাজ নয়-
জন্মঋণ শোধ দিতে দিতে
দিগন্তের সীমানা অবধি চলে যাবো, একা একা।