বহিবিশ্বে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখানো লোকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মনে জায়গা করে নেয় আল আমিনের। সোনালী রংয়ের পোশাকের জনপ্রিয়তা তার নাম দিয়েছে গোল্ডেন বয়। মানুষের ট্রলকে উপেক্ষা করে আর্থিক সচ্ছলতা নিয়ে এগিয়ে যেতে সকলকে পাশে চান গোল্ডেন বয় আল আমিন।
পৈত্রিক নিবাস বাগেরহাটে হলেও নানীর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জে। সেই সুবাধে শৈশব থেকে এখানে বেড়ে উঠেন আল আমিন।
১৯৯৭ সালে শাহজাহান শেখ ও মনোয়ারা বেগমের সংসারে তার জন্ম হয়। তবে পারিবারিক অসচ্ছলতায় আল আমিন আর্থিক দৈন্যতায় পড়ালেখা খুব বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। তবে নিজে না পাড়লেও ছোট বোনের পড়ালেখার খরছ যোগাতে তিনি ঘরে বসে থাকেননি। শুরু করেন টাইলস মেস্তুরির কাজ। পরে এলার্জিজনিত সমস্যায় সে পেশা বাদ দিয়ে তিনি বর্তমানে আয়ের রাস্তা বেছে নেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে। যেখানে তিনি গোল্ডেন বয় নামে ফেসবুক ও ইউটিউব পেইজ খুলে আয়ের পথ খুঁজছেন।
সোনালি রংয়ের জোতা, টুপি, জামা, প্যান্ট পরে নিজের মুখে সোনালি রং ও সানগ্লাস পড়ে গোল্ডেন বয় সাজেন আল আমিন। বর্তমানে তিনি ক্লাব রোডে ঝুপড়ি ঘরে ভাড়া থেকে এই সাজে রোজ বের হন। পরে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অদ্ভুত ভঙ্গিতে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে কাজটি ভালো লাগায় অনেকের পরামর্শে দিনের আলোতে আল আমিনের হাতে থাকে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড। যা নিয়ে কখনো রাস্তায় হেঁটে হেঁটে, কখনো আবার দাড়িয়ে কিংবা আবর্জনার স্তুপের পাশে থেকে হ্যান্ড মাইকে চালান সচেতনতামূলক প্রচারণা।
জীবিকা নির্বাহে সকাল দুপুর যেখানেই থাকেন না কেনো বিকালে নিয়ম করেই অবস্থান নেন বড় ষ্টেশন মোলহেডে। এখানে আসা পর্যটকরা তার সাথে বিনোদন ভঙ্গিতে নানা স্টাইলে ছবি তুলে পাশে রাখা বিপকেসে দেন কিছু টাকা হাদিয়াও। আর এতেই চলে আলামিনের সংসার।
মানুষ নানাভাবে ট্রল করলেও কিছু মনে করেন না আল আমিন। সারাদিনের কার্যক্রম নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে ছেড়ে আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা নানান সংস্থা যদি এই গোল্ডেন পোশাকের সাজকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক সচ্ছতলার সুযোগ দেয় তাহলে আপত্তি নেই আল আমিনের। এতে সে কন্টেন্ট ক্রিয়টরের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ভালো ক্যামেরার অভাব পূরণ করতে পারবেন।
যেকোন ভালো উদ্যোগই সম্মানর্জন ও পরিচিতির অনন্য মাধ্যম হবার জলন্ত উদাহরণ গোল্ডেন বয় আল আমিন। তাই বিকল্প চিন্তার আল আমিনকে টিকিয়ে রাখতে সবাই সাধ্যনুযায়ী ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সুধীমহলের।
সোমবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৪
বহিবিশ্বে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখানো লোকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মনে জায়গা করে নেয় আল আমিনের। সোনালী রংয়ের পোশাকের জনপ্রিয়তা তার নাম দিয়েছে গোল্ডেন বয়। মানুষের ট্রলকে উপেক্ষা করে আর্থিক সচ্ছলতা নিয়ে এগিয়ে যেতে সকলকে পাশে চান গোল্ডেন বয় আল আমিন।
পৈত্রিক নিবাস বাগেরহাটে হলেও নানীর বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের সাহেবগঞ্জে। সেই সুবাধে শৈশব থেকে এখানে বেড়ে উঠেন আল আমিন।
১৯৯৭ সালে শাহজাহান শেখ ও মনোয়ারা বেগমের সংসারে তার জন্ম হয়। তবে পারিবারিক অসচ্ছলতায় আল আমিন আর্থিক দৈন্যতায় পড়ালেখা খুব বেশিদূর এগিয়ে নিতে পারেননি। তবে নিজে না পাড়লেও ছোট বোনের পড়ালেখার খরছ যোগাতে তিনি ঘরে বসে থাকেননি। শুরু করেন টাইলস মেস্তুরির কাজ। পরে এলার্জিজনিত সমস্যায় সে পেশা বাদ দিয়ে তিনি বর্তমানে আয়ের রাস্তা বেছে নেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে। যেখানে তিনি গোল্ডেন বয় নামে ফেসবুক ও ইউটিউব পেইজ খুলে আয়ের পথ খুঁজছেন।
সোনালি রংয়ের জোতা, টুপি, জামা, প্যান্ট পরে নিজের মুখে সোনালি রং ও সানগ্লাস পড়ে গোল্ডেন বয় সাজেন আল আমিন। বর্তমানে তিনি ক্লাব রোডে ঝুপড়ি ঘরে ভাড়া থেকে এই সাজে রোজ বের হন। পরে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অদ্ভুত ভঙ্গিতে স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে কাজটি ভালো লাগায় অনেকের পরামর্শে দিনের আলোতে আল আমিনের হাতে থাকে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড। যা নিয়ে কখনো রাস্তায় হেঁটে হেঁটে, কখনো আবার দাড়িয়ে কিংবা আবর্জনার স্তুপের পাশে থেকে হ্যান্ড মাইকে চালান সচেতনতামূলক প্রচারণা।
জীবিকা নির্বাহে সকাল দুপুর যেখানেই থাকেন না কেনো বিকালে নিয়ম করেই অবস্থান নেন বড় ষ্টেশন মোলহেডে। এখানে আসা পর্যটকরা তার সাথে বিনোদন ভঙ্গিতে নানা স্টাইলে ছবি তুলে পাশে রাখা বিপকেসে দেন কিছু টাকা হাদিয়াও। আর এতেই চলে আলামিনের সংসার।
মানুষ নানাভাবে ট্রল করলেও কিছু মনে করেন না আল আমিন। সারাদিনের কার্যক্রম নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মে ছেড়ে আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা নানান সংস্থা যদি এই গোল্ডেন পোশাকের সাজকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক সচ্ছতলার সুযোগ দেয় তাহলে আপত্তি নেই আল আমিনের। এতে সে কন্টেন্ট ক্রিয়টরের কাজে ব্যবহারের জন্য একটি ভালো ক্যামেরার অভাব পূরণ করতে পারবেন।
যেকোন ভালো উদ্যোগই সম্মানর্জন ও পরিচিতির অনন্য মাধ্যম হবার জলন্ত উদাহরণ গোল্ডেন বয় আল আমিন। তাই বিকল্প চিন্তার আল আমিনকে টিকিয়ে রাখতে সবাই সাধ্যনুযায়ী ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সুধীমহলের।