নিপা ভাইরাসে মারা যায়নি-পরিচালক রোগতত্ব ইনস্টিটিউট
রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আজ রাতে মহাখালী রোগতত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেছেন,নিপা ভাইরাসে তারা মারা যায়নি। অন্য কোন কারনে মারা গেছে।
দুই শিশুর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার কথা জানিয়ে আজ রাতে পরিচালক সংবাদকে জানিয়েছেন “ ওই দুই শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে তারা নিপা ভাইরাস আক্রান্ত ছিল কিনা পরীক্ষা করেছি। তাদের দুজনের পরীক্ষায়ই নেগেটিভ ফল এসেছে।” অন্য কোনো কারণেও তাদের মৃত্যু হতে পারে। অন্য কোনো ভাইরাস কিনা তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
শিশু দুটির নাম হলো,১.মুনতাহা মারিশা ও ২. মুফতাউল মাশিয়া।
এ দুই শিশুর মধ্যে বড় বোন মাশিয়া গত শনিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যায়। চার দিন আগে গত বুধবার হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মুনতাহা মারিশার।
ভাইরাসজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করলেও কোন ধরনের ভাইরাসে তারা আক্রান্ত হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেননি। ওই অবস্থায় দুই শিশুর বাবা-মাকে কোথাও যেতে না দিয়ে হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়।
দুই শিশুর বাবা-মা সাংবাদিকদের স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, শিশুরা কুড়িয়ে আনা বরই না ধুয়ে খেয়েছিল, তারপরই তাদের জ্বর আসে। এরপরই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পরে তাদের মৃত্যুর কারণ জানতে দুই বোনের নমুনা পাঠানো হয় মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
অজানা রোগে চার দিনের ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যুর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা শিশুদের মায়েরও জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার বিকাল থেকে মনজুর ও তার স্ত্রী পলি খাতুন হাসপাতালেই আইসোলেশনে আছেন। সেখানেই পলির জ্বর আসে বলে জানান হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
তিনি আজ সন্ধ্যায় বলেন, “দুপুরে পলি খাতুনের জ্বর দেখলাম ১০১ ডিগ্রি। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণেও জ্বর হতে পারে। আমরা ওষুধ দিয়েছিলাম। বিকালে জ্বর একটু কমেছে। আজকের রাতটা পর্যবেক্ষণে রাখব। জ্বর না বাড়লে সোমবার ছুটি দিয়ে দেব।”
শিশু দুটির বাবা মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।
নিপা ভাইরাসে মারা যায়নি-পরিচালক রোগতত্ব ইনস্টিটিউট
রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া বরই খেয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে। তারা নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আজ রাতে মহাখালী রোগতত্ব,রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষনা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেছেন,নিপা ভাইরাসে তারা মারা যায়নি। অন্য কোন কারনে মারা গেছে।
দুই শিশুর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার কথা জানিয়ে আজ রাতে পরিচালক সংবাদকে জানিয়েছেন “ ওই দুই শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে তারা নিপা ভাইরাস আক্রান্ত ছিল কিনা পরীক্ষা করেছি। তাদের দুজনের পরীক্ষায়ই নেগেটিভ ফল এসেছে।” অন্য কোনো কারণেও তাদের মৃত্যু হতে পারে। অন্য কোনো ভাইরাস কিনা তা আমরা জানার চেষ্টা করছি।
শিশু দুটির নাম হলো,১.মুনতাহা মারিশা ও ২. মুফতাউল মাশিয়া।
এ দুই শিশুর মধ্যে বড় বোন মাশিয়া গত শনিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যায়। চার দিন আগে গত বুধবার হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় মুনতাহা মারিশার।
ভাইরাসজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করলেও কোন ধরনের ভাইরাসে তারা আক্রান্ত হয়েছিল তা নিশ্চিত হতে পারেননি। ওই অবস্থায় দুই শিশুর বাবা-মাকে কোথাও যেতে না দিয়ে হাসপাতালেই আইসোলেশনে রাখা হয়।
দুই শিশুর বাবা-মা সাংবাদিকদের স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, শিশুরা কুড়িয়ে আনা বরই না ধুয়ে খেয়েছিল, তারপরই তাদের জ্বর আসে। এরপরই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
পরে তাদের মৃত্যুর কারণ জানতে দুই বোনের নমুনা পাঠানো হয় মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
অজানা রোগে চার দিনের ব্যবধানে দুই বোনের মৃত্যুর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে থাকা শিশুদের মায়েরও জ্বর এসেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার বিকাল থেকে মনজুর ও তার স্ত্রী পলি খাতুন হাসপাতালেই আইসোলেশনে আছেন। সেখানেই পলির জ্বর আসে বলে জানান হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
তিনি আজ সন্ধ্যায় বলেন, “দুপুরে পলি খাতুনের জ্বর দেখলাম ১০১ ডিগ্রি। তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সে কারণেও জ্বর হতে পারে। আমরা ওষুধ দিয়েছিলাম। বিকালে জ্বর একটু কমেছে। আজকের রাতটা পর্যবেক্ষণে রাখব। জ্বর না বাড়লে সোমবার ছুটি দিয়ে দেব।”
শিশু দুটির বাবা মনজুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন গৃহিণী। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।