রাজশাহীর তানোর উপজেলায় প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের বাড়ির অদূরে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত জিয়াউর রহমান (৪২) ওই গ্রামের মোহর মণ্ডলের ছেলে। তিনি তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তানোর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। তার সঙ্গে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান অংশ নেন।
এরপর রাত ১টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার গতি রোধ করে কয়েকজন তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তার লাশের পাশে মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল।”
তিনি বলেন, “গত সংসদ নির্বাচন থেকে তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার পর থেকে হাসান আলী পলাতক রয়েছেন।
“জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি (৩৫), একই এলাকার ফরহাদ হোসেন (৩০) ও সোহাগকে (২৬) আটক করা হয়েছে।”
নিহত জিয়াউরের বড়ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, “সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করে। আর হাসান আলী নৌকার পক্ষে ছিল। ভোটের মধ্যে থেকেই তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
“ভোটের পরের দিনই জিয়াউরকে হত্যার জন্য আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারা আমাদের খড়ের পালা পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া তাকে অব্যাহত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছিল।”
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার প্রস্তুতি ও তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের বিলশহর গ্রামের বাড়ির অদূরে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত জিয়াউর রহমান (৪২) ওই গ্রামের মোহর মণ্ডলের ছেলে। তিনি তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তানোর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। তার সঙ্গে ফুল দেওয়ার অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান অংশ নেন।
এরপর রাত ১টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার গতি রোধ করে কয়েকজন তাকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তার লাশের পাশে মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল।”
তিনি বলেন, “গত সংসদ নির্বাচন থেকে তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলীর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার পর থেকে হাসান আলী পলাতক রয়েছেন।
“জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসান আলীর স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমি (৩৫), একই এলাকার ফরহাদ হোসেন (৩০) ও সোহাগকে (২৬) আটক করা হয়েছে।”
নিহত জিয়াউরের বড়ভাই রবিউল ইসলাম বলেন, “সংসদ নির্বাচনে আমার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের পক্ষে কাজ করে। আর হাসান আলী নৌকার পক্ষে ছিল। ভোটের মধ্যে থেকেই তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
“ভোটের পরের দিনই জিয়াউরকে হত্যার জন্য আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। তারা আমাদের খড়ের পালা পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া তাকে অব্যাহত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছিল।”
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
মামলার প্রস্তুতি ও তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।