কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ১২ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতকাল ৩ মার্চ বিকেলে নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের তার নির্বাচনি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
কায়সার তার ঘোষিত ইশতেহারে নগরীর নানা সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ যানজট, জলাবব্ধতা আবাসন, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও নগর কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, সুশিক্ষা, পর্যটন, বিনোদন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, তথ্য-প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং, মাদকসহ সামাজিক ব্যধি ও নৈতিক শক্তির পুনরুদ্ধার। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাগব করতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি না করেই নগর উন্নয়নের নানা কর্মসূচি তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি নগর উন্নয়নে আরও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কুমিল্লাকে একটি আধুনিক সিটি করার অঙ্গীকার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইশতেহারে কায়সার বলেন, আর প্লাষ্টিকের ফুল নয়, তাজা ফুলে সাজবে কুমিল্লা নগরী। বিগত সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন তো দূরে থাক, স্বল্প কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা মাপিক কোনো কাজ হয়নি। পরিকল্পনা থাকলেও সীমানা বাড়েনি। শুধু ভাঙচুর হয়েছে। এই একই কাজ বার বার করার নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে। অতীতে উন্নয়নের নামে কাজ বেচাকেনা এবং কমিশন বাণিজ্যই যেন সিটি করপোরেশনের অন্যতম কাজ ছিল। ফলে টেকসই উন্নয়ন হয়নি।
দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যে আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্যই আমার এই ইশতেহার। বিগত আমলে নাগরিকগণ সঠিক সেবা পায়নি। আমি পরিবর্তনের ধারায় নিরাপদ ও সম্প্রীতির কুমিল্লা গড়তে চাই। নগরীতে নাগরিকদের প্রধান দুর্ভোগের কারণ- যানজট, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে তিনি এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ইশতেহারে।
শ্রমজীবী মানুষের জন্য মানসম্মত ও স্বল্প ভাড়ায় আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরীর চার দিকে শহর-উপশহর গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া নগরীর ৫টি স্থানে বিনোদন পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সন্ত্রাস ও কিশোর অপরাধ দমনে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার বলেন, নতুন নতুন ভবন তৈরি হলেও নাগরিকদের ভোগান্তি নিরসনে তাদের উপর হোল্ডিং ট্যাক্স ও করের বোঝা বাড়ানো হবে না। শিক্ষার উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থী কায়সার বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশন থেকে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়াও সিটির অবহেলিত দক্ষিণ এলাকায় দুটি শিক্ষা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে বলেও জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা এস.এ বারী সেলিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুট্টি, শহিদ উল্লাহ রতন, মাহবুবুর রহমান দুলাল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা এসএম রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ইলিয়াস খান রাজু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রনি, জেলা জাসাস নেতা সিরাজুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
প্রার্থীদের প্রচারণা-উঠান বৈঠক :
ডা. তাহসিন বাহার সূচনা রোববার নগরীর ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর, ঠাকুরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে তিনি নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর পশ্চিম পাড়া দারুল আমান খানকা শরীফ মাঠে ও ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় পৃথক উঠান বৈঠক করেন।
মনিরুল হক সাক্কু ও তার স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি নগরীর সালমানপুর, গন্ধমতি, দৌলতপুর, বল্লভপুর, জয়পুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে বাস প্রতিকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার কর্মীরা তার কর্মী মিজানুর রহমান ও কবিরের হোসেনের উপর উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে তাদের। তার অভিযোগ পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার আগে ও পরে নগরীর দৈয়ারা, জাঙ্গালিয়া, নূরপুর, কাঁটাবিল, হযরতপাড়া, হাউজিং এস্টেটসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।
নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম : হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর চৌয়ারা, জজকোর্ট এলাকা, কান্দিরপাড়, নিউ মার্কেট, ধনাইতরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন। তানিম বলেন, নগরীর ধনাইতরী এলাকায় প্রচারণাকালে আমার নেতাকর্মীদের উপর বাস প্রতিকের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সোমবার, ০৪ মার্চ ২০২৪
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ১২ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতকাল ৩ মার্চ বিকেলে নগরীর ধর্মসাগর পাড়ের তার নির্বাচনি প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
কায়সার তার ঘোষিত ইশতেহারে নগরীর নানা সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ যানজট, জলাবব্ধতা আবাসন, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও নগর কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, সুশিক্ষা, পর্যটন, বিনোদন, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, তথ্য-প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং, মাদকসহ সামাজিক ব্যধি ও নৈতিক শক্তির পুনরুদ্ধার। নগরবাসীর দুর্ভোগ লাগব করতে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি না করেই নগর উন্নয়নের নানা কর্মসূচি তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি নগর উন্নয়নে আরও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কুমিল্লাকে একটি আধুনিক সিটি করার অঙ্গীকার করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ইশতেহারে কায়সার বলেন, আর প্লাষ্টিকের ফুল নয়, তাজা ফুলে সাজবে কুমিল্লা নগরী। বিগত সময়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন তো দূরে থাক, স্বল্প কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা মাপিক কোনো কাজ হয়নি। পরিকল্পনা থাকলেও সীমানা বাড়েনি। শুধু ভাঙচুর হয়েছে। এই একই কাজ বার বার করার নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করা হয়েছে। অতীতে উন্নয়নের নামে কাজ বেচাকেনা এবং কমিশন বাণিজ্যই যেন সিটি করপোরেশনের অন্যতম কাজ ছিল। ফলে টেকসই উন্নয়ন হয়নি।
দুর্নীতি এখন প্রকাশ্যে আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্যই আমার এই ইশতেহার। বিগত আমলে নাগরিকগণ সঠিক সেবা পায়নি। আমি পরিবর্তনের ধারায় নিরাপদ ও সম্প্রীতির কুমিল্লা গড়তে চাই। নগরীতে নাগরিকদের প্রধান দুর্ভোগের কারণ- যানজট, জলাবদ্ধতা দূরীকরণে তিনি এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ইশতেহারে।
শ্রমজীবী মানুষের জন্য মানসম্মত ও স্বল্প ভাড়ায় আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নগরীর চার দিকে শহর-উপশহর গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া নগরীর ৫টি স্থানে বিনোদন পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে সন্ত্রাস ও কিশোর অপরাধ দমনে উদ্যোগ নেবেন বলেও জানান।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কায়সার বলেন, নতুন নতুন ভবন তৈরি হলেও নাগরিকদের ভোগান্তি নিরসনে তাদের উপর হোল্ডিং ট্যাক্স ও করের বোঝা বাড়ানো হবে না। শিক্ষার উন্নয়ন প্রসঙ্গে মেয়র প্রার্থী কায়সার বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশন থেকে সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়াও সিটির অবহেলিত দক্ষিণ এলাকায় দুটি শিক্ষা কমপ্লেক্স গড়ে তোলা হবে বলেও জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা এস.এ বারী সেলিম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান ছুট্টি, শহিদ উল্লাহ রতন, মাহবুবুর রহমান দুলাল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা এসএম রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ইলিয়াস খান রাজু, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রনি, জেলা জাসাস নেতা সিরাজুল ইসলাম মিলন প্রমুখ।
প্রার্থীদের প্রচারণা-উঠান বৈঠক :
ডা. তাহসিন বাহার সূচনা রোববার নগরীর ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর, ঠাকুরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। পরে তিনি নগরীর ৭নং ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর পশ্চিম পাড়া দারুল আমান খানকা শরীফ মাঠে ও ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় পৃথক উঠান বৈঠক করেন।
মনিরুল হক সাক্কু ও তার স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি নগরীর সালমানপুর, গন্ধমতি, দৌলতপুর, বল্লভপুর, জয়পুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীতে বাস প্রতিকের প্রার্থী তাহসিন বাহার সূচনার কর্মীরা তার কর্মী মিজানুর রহমান ও কবিরের হোসেনের উপর উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করেছে তাদের। তার অভিযোগ পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার আগে ও পরে নগরীর দৈয়ারা, জাঙ্গালিয়া, নূরপুর, কাঁটাবিল, হযরতপাড়া, হাউজিং এস্টেটসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।
নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম : হাতি প্রতীকের প্রার্থী নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর চৌয়ারা, জজকোর্ট এলাকা, কান্দিরপাড়, নিউ মার্কেট, ধনাইতরীসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন। তানিম বলেন, নগরীর ধনাইতরী এলাকায় প্রচারণাকালে আমার নেতাকর্মীদের উপর বাস প্রতিকের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন।