গাজীপুরের টঙ্গীতে আগুনে ১০-১২টি গুদাম পুড়ে গেছে। গুদামগুলোতে মজুত করা চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাইকারি বিক্রি করা হতো। খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে অবস্থিত কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদাম গুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হঠাৎ গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুন গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজ, চাল, আলুসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন জানান, আগুন মুহূর্তে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় ৫ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছে লেবারদের কাছে জানতে পারেন পাশের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বাসা থেকে এসে দেখেন দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে।
আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
গাজীপুরের টঙ্গীতে আগুনে ১০-১২টি গুদাম পুড়ে গেছে। গুদামগুলোতে মজুত করা চাল, পেঁয়াজ, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাইকারি বিক্রি করা হতো। খবর পেয়ে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর সোনাভান মার্কেটের পাশে অবস্থিত কয়েকটি গুদামে আগুন লাগে। গুদাম গুলোতে পেঁয়াজ, আলু, চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল মজুদ করা ছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হঠাৎ গুদামে আগুন দেখতে পেয়ে প্রথমে নিজেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। আগুন গুদামে মজুদ করা পেঁয়াজ, চাল, আলুসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
রূপসী বাংলা চালের আড়তের মালিক মো. ফারুক হোসেন জানান, আগুন মুহূর্তে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আড়তে প্রায় ৫ হাজার বস্তা চাল ছিল। মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ কথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মেসার্স সবুজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক সবুজ মাতব্বর বলেন, আড়ত বন্ধ করে বাসায় পৌঁছে লেবারদের কাছে জানতে পারেন পাশের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বাসা থেকে এসে দেখেন দোকানের সামনে অংশ ও ভেতরে মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু মুহাম্মদ সাজেদুল কবির জোয়ারদার জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথম টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে।
আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পরে উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের আরো দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানাতে পারেননি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।