শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার(১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহত সৈকত সরদার(১৯) উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।
গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন সারেং নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তার গতিরোধ করে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, "সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজগতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।
রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার(১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহত সৈকত সরদার(১৯) উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।
গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন সারেং নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে বর্তমান চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তার গতিরোধ করে। পরে তাকে গণধোলাই দিয়ে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, "সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজগতা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।
গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।