সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ, অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমের প্রভাব পড়েছে প্রাণিকূলের ওপরও। অসহনীয় তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। বৈশাখ মাস থেকেই সারাদেশে চলছে তাপদাহ।
আর এই তাপপ্রবাহে একটু প্রশান্তির আশায় পানি খোঁজে বেড়াচ্ছেন তৃষ্ণার্ত বানরগুলো। স্বাভাবিক চলাফেরা বাদ দিয়ে একটু প্রশান্তি পেতে ঘন ঘন গা ভেজাচ্ছে পানিতে, আশ্রয় নিয়েছে ছায়ায়। রোদের খরতাপে পাখিদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।
উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বানরগুলো দলবেঁধে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে গাছের ছায়ায় হাঁটাহাঁটি করছে অলসভাবে। বানর একটু পর পরই নিজেদের ভিজিয়ে নিচ্ছে চৌবাচ্চার পানিতে। গাছের ছায়ায় বসে আছে নীরবে। কোনো চঞ্চলতা নেই তাদের মাঝে।
দাবদাহে অতিষ্ঠ, তৃষ্ণার্ত বানরগুলো পানির জন্য হাঁসফাঁস করছে। বানরকে পানির চৌবাচ্চায় বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। বানর লোমশ প্রাণী। অন্যপ্রাণীর থেকে বানরের শরীরের লোমগুলো বড়।
হরিণ, বাঘ, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীদের তুলনায় এদের শরীরের লোম তুলনামূলক বড়। লোম বড় হওয়ার কারণে এদের গরমও বেশি অনুভূত হয়। আর গরম বেশি লাগার কারণে এরা নিজেদেরকে শীতল রাখার জন্য পানিতে শরীর ভেজায়। গাঁ ভিজিয়ে পানির সাহায্যে গরমের উত্তাপ নিবারণের চেষ্টা চালায়।
দিনের বেশিরভাগ সময় পানিতে থেকে এভাবে নিজেদের শরীরটাকে ঠাণ্ডা রাখে। খেলাধুলা থেকে শুরু করে অপরের সঙ্গে খুনসুটি পর্যন্ত এ সবকিছুই তারা পানিতেই করে থাকে। অতিরিক্ত গরমের কারণে বানর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের চাপও অনেক কম।
ঘাটাইল উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থী সুমন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গরমে কিছুই ভালো লাগছে না, ছোট মেয়েটাকে নিয়ে সন্তোষপুর বনাঞ্চলের বানর দেখতে এসেছিলাম। ঠিকমতো দেখতে পারলাম না। বানরগুলো তীব্র তাপদাহে প্রাণচাঞ্চল্যহীনভাবে শুয়ে-বসে আছে।
সন্তোষপুর বিট অফিসার সাঈদুল হক বলেন, তীব্র তাপদাহে বানরের তৃষ্ণা নীবারণ ও শরীর ভেজানোর জন্য চৌবাচ্চা করে দিয়েছি। এখনো বানরগুলো সুস্থ আছে, আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ, অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমের প্রভাব পড়েছে প্রাণিকূলের ওপরও। অসহনীয় তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ। বৈশাখ মাস থেকেই সারাদেশে চলছে তাপদাহ।
আর এই তাপপ্রবাহে একটু প্রশান্তির আশায় পানি খোঁজে বেড়াচ্ছেন তৃষ্ণার্ত বানরগুলো। স্বাভাবিক চলাফেরা বাদ দিয়ে একটু প্রশান্তি পেতে ঘন ঘন গা ভেজাচ্ছে পানিতে, আশ্রয় নিয়েছে ছায়ায়। রোদের খরতাপে পাখিদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।
উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, বানরগুলো দলবেঁধে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেকে গাছের ছায়ায় হাঁটাহাঁটি করছে অলসভাবে। বানর একটু পর পরই নিজেদের ভিজিয়ে নিচ্ছে চৌবাচ্চার পানিতে। গাছের ছায়ায় বসে আছে নীরবে। কোনো চঞ্চলতা নেই তাদের মাঝে।
দাবদাহে অতিষ্ঠ, তৃষ্ণার্ত বানরগুলো পানির জন্য হাঁসফাঁস করছে। বানরকে পানির চৌবাচ্চায় বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। বানর লোমশ প্রাণী। অন্যপ্রাণীর থেকে বানরের শরীরের লোমগুলো বড়।
হরিণ, বাঘ, বনবিড়াল প্রভৃতি প্রাণীদের তুলনায় এদের শরীরের লোম তুলনামূলক বড়। লোম বড় হওয়ার কারণে এদের গরমও বেশি অনুভূত হয়। আর গরম বেশি লাগার কারণে এরা নিজেদেরকে শীতল রাখার জন্য পানিতে শরীর ভেজায়। গাঁ ভিজিয়ে পানির সাহায্যে গরমের উত্তাপ নিবারণের চেষ্টা চালায়।
দিনের বেশিরভাগ সময় পানিতে থেকে এভাবে নিজেদের শরীরটাকে ঠাণ্ডা রাখে। খেলাধুলা থেকে শুরু করে অপরের সঙ্গে খুনসুটি পর্যন্ত এ সবকিছুই তারা পানিতেই করে থাকে। অতিরিক্ত গরমের কারণে বানর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের চাপও অনেক কম।
ঘাটাইল উপজেলা থেকে আসা দর্শনার্থী সুমন বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গরমে কিছুই ভালো লাগছে না, ছোট মেয়েটাকে নিয়ে সন্তোষপুর বনাঞ্চলের বানর দেখতে এসেছিলাম। ঠিকমতো দেখতে পারলাম না। বানরগুলো তীব্র তাপদাহে প্রাণচাঞ্চল্যহীনভাবে শুয়ে-বসে আছে।
সন্তোষপুর বিট অফিসার সাঈদুল হক বলেন, তীব্র তাপদাহে বানরের তৃষ্ণা নীবারণ ও শরীর ভেজানোর জন্য চৌবাচ্চা করে দিয়েছি। এখনো বানরগুলো সুস্থ আছে, আমরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি।