রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ৫৩টি পানের বরজ পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পওয়া যায়নি। তবে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ৮০ জন পান চাষী ও তাদের পরিবার পরিজন। পান চাষীদের প্রায় ১০০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার দুপুরে বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামে মাঠে হঠাৎ করেই পান বরজে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ১শ’ বিঘা পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার দুপুরে বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের মাঠে হঠাৎ করেই ইসাহাকের পান বরজে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান বলেন, রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের চারটি ইউনিট ঘণ্টাখানেক চেষ্টায় পান বরজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে শতাধিক কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। তদন্তের পর সেটি জানা যাবে।
গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, কতজন কৃষক ও কত বিঘা জমির মান বরজ পুড়ে গেছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার পান পুড়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা করতে বলেছি। শনিবার তালিকাটা হাতে পাব।
তিনি বলেন, তালিকা পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যামে তা জেলা প্রশাসককে কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে এই চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
পান বরজ চাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আগুন লাগে ইসাহাকের বরজে। এরপরে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। এই আগুনে অনেক চাষির এক বিঘা থেকে দেড় বিঘা করে পানের বরজ পুড়ে ছায় হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আগুনে এমনভাবে পুড়েছে তাতে পানের বরজের কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে।
আসাদুল বলেন, বছরের এই সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া দরে। এই সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।
পানচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, তার এক বিঘার বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই বরজ তৈরি করতে আবার শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপনের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ৫৩টি পানের বরজ পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পওয়া যায়নি। তবে নিঃস্ব হয়েছে প্রায় ৮০ জন পান চাষী ও তাদের পরিবার পরিজন। পান চাষীদের প্রায় ১০০ বিঘা জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার দুপুরে বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামে মাঠে হঠাৎ করেই পান বরজে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ১শ’ বিঘা পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার দুপুরে বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের পোড়াকয়া গ্রামের মাঠে হঠাৎ করেই ইসাহাকের পান বরজে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের পান বরজে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান বলেন, রাজশাহী, বাগমারা, মোহনপুর ও আত্রাইয়ের চারটি ইউনিট ঘণ্টাখানেক চেষ্টায় পান বরজের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে শতাধিক কৃষকের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা জানা যায়নি। তদন্তের পর সেটি জানা যাবে।
গনিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান রঞ্জু বলেন, কতজন কৃষক ও কত বিঘা জমির মান বরজ পুড়ে গেছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না। মাত্র পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে চাষিদের কোটি টাকার পান পুড়ে গেছে। আমরা চাষিদের তালিকা করতে বলেছি। শনিবার তালিকাটা হাতে পাব।
তিনি বলেন, তালিকা পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যামে তা জেলা প্রশাসককে কাছে পাঠানো হবে। সরকারিভাবে কিছু টাকা পেলে এই চাষিদের উপকার হবে। এ ঘটনায় অনেক চাষি একবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
পান বরজ চাষি আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আগুন লাগে ইসাহাকের বরজে। এরপরে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পানের বরজে। এই আগুনে অনেক চাষির এক বিঘা থেকে দেড় বিঘা করে পানের বরজ পুড়ে ছায় হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আগুনে এমনভাবে পুড়েছে তাতে পানের বরজের কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। সব বরজ নতুন করে তৈরি করতে হবে। আমার আড়াই বিঘা জমির পান বরজ পুড়ে গেছে।
আসাদুল বলেন, বছরের এই সময়ে পানের দাম সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন বাজারে নতুন পান বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পোয়া। আর পুরোনো পান বিক্রি হচ্ছে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পোয়া দরে। এই সময় পানের বরজ পুড়ে যাওয়া মানে চোখের সামনে টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।
পানচাষি রেজাউল ইসলাম বলেন, তার এক বিঘার বেশি জমির পানের বরজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই বরজ তৈরি করতে আবার শীত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন জমিতে পান বপনের সময় না। তাই আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া পানের বরজ পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ক্ষতির পরিমাণের তালিকা করতে কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।