দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং কর্মসুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)। এটি সরকারের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন এলাকার গ্রাম সমিতির লিডাররা এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অথচ তারা জানেনই না যে, তাদের নামে ঋণ রয়েছে।
এভাবে প্রতিটি সমিতিতে চলছে অর্থ হরিলুট। এসব দেখারও যেন কেউ নেই। উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সমিতি থেকে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৫টি গ্রাম সমিতি নিয়ে বাঘবেড় ইউনিয়নে কাজ শুরু করে এসডিএফ। শুরুতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সমিতির দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের নামে। পশ্চিম নয়নকান্দি গ্রাম সমিতির অসংখ্য সদস্যর নামে ঋন উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
বাঘবেড় গ্রাম সমিতির এক ভিক্ষুকের নামেও ঋণ উত্তোলন করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বিধবা ভিক্ষুক জুটনির মায়ের নামেও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। পশ্চিম নয়নকান্দি গ্রাম সমিতির সদস্য ফাতেমা খাতুনের নামে ২৫ হাজার, সুফিয়া খাতুনের নামে ৩০ হাজার, মালেকা খাতুনের নামে ৩০ হাজার, অঞ্জনা খাতুনের নামে ৩০ হাজার, শাহনাজের নামে ৩০ হাজার, আকলিমার নামে ৩০ হাজার, রহিমার নামে ১০ হাজার এবং আমেনার নামে ৩০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। সদস্যরা জানেন না কিভাবে টাকা উত্তোলন করা হলো।
গ্রামের সহজ সরল মানুষের স্বাক্ষর জাল করে জনতা ব্যাংক মুন্সিরহাট শাখা থেকে এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি সমিতি থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ফলে আলোর মুখ দেখছে না সরকারের এই প্রকল্পটি, সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের দরিদ্র মানুষ।
এ বিষয়ে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) পশ্চিম গ্রাম সমিতির সভাপতি ফরিদা খাতুন বলেন, ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
দরিদ্র জনগোষ্ঠি এবং কর্মসুবিধাভোগী মানুষের আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ)। এটি সরকারের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সোসাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা দুর্নীতি করার অভিযোগ উঠেছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বিভিন্ন এলাকার গ্রাম সমিতির লিডাররা এই টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সদস্যদের নামে লাখ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। অথচ তারা জানেনই না যে, তাদের নামে ঋণ রয়েছে।
এভাবে প্রতিটি সমিতিতে চলছে অর্থ হরিলুট। এসব দেখারও যেন কেউ নেই। উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সমিতি থেকে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৫টি গ্রাম সমিতি নিয়ে বাঘবেড় ইউনিয়নে কাজ শুরু করে এসডিএফ। শুরুতে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সমিতির দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তিদের নামে। পশ্চিম নয়নকান্দি গ্রাম সমিতির অসংখ্য সদস্যর নামে ঋন উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
বাঘবেড় গ্রাম সমিতির এক ভিক্ষুকের নামেও ঋণ উত্তোলন করে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বিধবা ভিক্ষুক জুটনির মায়ের নামেও টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। পশ্চিম নয়নকান্দি গ্রাম সমিতির সদস্য ফাতেমা খাতুনের নামে ২৫ হাজার, সুফিয়া খাতুনের নামে ৩০ হাজার, মালেকা খাতুনের নামে ৩০ হাজার, অঞ্জনা খাতুনের নামে ৩০ হাজার, শাহনাজের নামে ৩০ হাজার, আকলিমার নামে ৩০ হাজার, রহিমার নামে ১০ হাজার এবং আমেনার নামে ৩০ হাজার টাকা ঋন উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। সদস্যরা জানেন না কিভাবে টাকা উত্তোলন করা হলো।
গ্রামের সহজ সরল মানুষের স্বাক্ষর জাল করে জনতা ব্যাংক মুন্সিরহাট শাখা থেকে এই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি সমিতি থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। ফলে আলোর মুখ দেখছে না সরকারের এই প্রকল্পটি, সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন গ্রামের দরিদ্র মানুষ।
এ বিষয়ে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) পশ্চিম গ্রাম সমিতির সভাপতি ফরিদা খাতুন বলেন, ভুক্তভোগী সদস্যদের টাকা পরিশোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।