ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। আজ রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জেলা শাখার ডাকে এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- সম্প্রতি রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ওষুধ রাখার অভিযোগে নওগাঁ শহরের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে নওগাঁ ওষুধ প্রশাসন। মামলার পর রাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর প্রতিবাদে এ ধর্মঘট চলছে। এ অবস্থায় ওষুধ ও কসমেটিকস আইন সংশোধন করে দ্রুত হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তা না হলে অবিলম্বে আরও বড় আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিকস প্রোডাক্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিপণন করেন। ব্যবসায়ীরা কোনো অপরাধ না করলেও আমাদের দুই সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন মামলা করে। রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে তীব্র আন্দোলনে নামা হবে।
ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা মানব সেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবি জানানা তারা।’
নওগাঁ শহরের চকবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা হীরা বেগম বলেন, এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করা হয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চার পদের ওষুধ লেখা হয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়ে দেখি সব দোকান। আধা ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ওষুধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ওষুধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’
রোববার, ০৫ মে ২০২৪
ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় দোকান বন্ধ রেখে সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। আজ রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি জেলা শাখার ডাকে এ ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- সম্প্রতি রেজিস্ট্রেশন নেই এমন ওষুধ রাখার অভিযোগে নওগাঁ শহরের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে নওগাঁ ওষুধ প্রশাসন। মামলার পর রাশেদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর প্রতিবাদে এ ধর্মঘট চলছে। এ অবস্থায় ওষুধ ও কসমেটিকস আইন সংশোধন করে দ্রুত হয়রানিমূলক মামলা ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তা না হলে অবিলম্বে আরও বড় আন্দোলন শুরু করার হুমকি দেন ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন, চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি কসমেটিকস প্রোডাক্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ওষুধ ব্যবসায়ীরা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ বিপণন করেন। ব্যবসায়ীরা কোনো অপরাধ না করলেও আমাদের দুই সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন মামলা করে। রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ওষুধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানিমূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে তীব্র আন্দোলনে নামা হবে।
ওষুধ ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘আমরা মানব সেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবি জানানা তারা।’
নওগাঁ শহরের চকবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা হীরা বেগম বলেন, এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করা হয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চার পদের ওষুধ লেখা হয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ওষুধ কিনতে গিয়ে দেখি সব দোকান। আধা ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ওষুধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ওষুধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ওষুধের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।’