রংপুরের তারাগজ্ঞ থানা পুলিশ তাদের সোর্স দিয়ে ১০ দিন আগের ঘটনা দেখিয়ে গাছ চুরির মিথ্যা মামলা করিয়ে সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের বাড়ির দরজা ও তালা ভেঙ্গে বাড়িতে থাকা স্বজনদের হমকি দিয়ে গাছের গুড়ি জোর করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে। এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি , পুজা উদযাপন পরিষদ , রিপোটার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার মুল হোতা তারাগজ্ঞ থানার এস আই কনক রজ্ঞন বর্ম্মন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ্চ তারিখে সংবাদের প্রথম পাতায় তারাগজ্ঞ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের্^ অনুমোদনহীন ইট ভাতা শীর্ষক খবর ছবিসহ প্রকাশিত হয়। ওই অবৈধ ইট ভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল। ওই খবর প্রকাশিত হবার পর তোলপাড় শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইট ভাটাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনার পর সংবাদ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি ও দেখে নেবার কথা বলে আসছিলেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। একই ভাবে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল সংবাদের প্রথম পাতায় উপজেলা নির্বাচন সাবেক বিএনপি নেতার গনসংযোগে আওয়ামী লীগ এমপি , নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ শীর্ষক আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়। দুটি খবরেই সংবাদের জেলা বার্তা পরিবেশক লিয়াকত আলী বাদল ও তারাগজ্ঞ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের যুগ্ন নামে প্রকাশিত হয়। দুটি খবরের ব্যাপারে রংপুর ২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ক্ষুব্ধ হন। তারা তারাগজ্ঞ প্রতিনিধিকে শায়েস্তা করার জন্য তারাগজ্ঞ থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলামকে ম্যানেজ করে পুলিশের সোর্স দিয়ে ঘটনার তারিখ ২৪ এপ্রিল দেখিয়ে ১০ দিন পর গত শনিবার ৪ এপ্রিল সংবাদের তারাগজ্ঞ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম, তার ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা ও বৃদ্ধা মা , তার স্ত্রী ও ভাইকে আসামী করে একটি গাছ চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের করান ওসি। যার মামলা নম্বর ৫ তারিখ ৪.০৫.২৪ইং। ধারা দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/ ৩৭৯/৫০৬/৩৪ দন্ড বিধি।
শনিবার গভীর রাতে তারাগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত জহুরুল হক মামলা রেকর্ড করান। সেই সাথে ওসি (তদন্তে)’র নির্দ্দেশে রোববার সকালে এস আই কনক রজ্ঞন বর্মনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন পুলিশ সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের তারাগজ্ঞ উপজেলার ইকরচালি বানিয়া পাড়া গ্রামে অবস্থিত বাড়ির দরজা ভেঙ্গে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের তালা ভেঙ্গে সীমানা প্রচীর দেয়া বাড়ির ভেতরে কাঠাল গাছের গুড়ি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় খবর পেয়ে এলাকাবাসি ও গনমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানালেও ওই পুলিশের এস আই গালাগালি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আশরাফুল জানান, ঘটনার সময় আমার দুই ছোট ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলোনা। আমি পেশাগত কারনে বাইরে ছিলাম। আর আমার মা বাবা ও ভাইরা আধা কিলোমিটর দুরে তাদের বাড়িতে ছিলো।
সাংবাদিক আশরাফুল জানান, দুটি খবর প্রকাশিত হবার পর তারাগজ্ঞ থানার ওসি ছিদ্দিকুল ইসলাম কয়েক দফা তাকে বলেছিলো খবরগুলো না করারই ভালো ছিলো। এখন আমার উপর চাপ রয়েছে বলে প্রছন্ন হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে বাড়িতে হামলাকারী তারাগজ্ঞ থানার এস আই কনক রজ্ঞন বর্মনের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন বাসায় আমরা গিয়েছিলাম, তবে তালা বা গেট ভাঙ্গা হয় নাই। গাছের গুড়ি আদালতের নির্দ্দেশ ছাড়া আনার কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেননি। এটা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
অপরদিকে তারাগজ্ঞ থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ওসি (তদন্ত) জহুরুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
সার্বিক বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বিস্তারিত বিষয় জানালে তিনি পুরো বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
এদিকে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও পুলিশের তান্ডবের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারাগজ্ঞ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় , সাধারন সম্পাদক পাপন দত্ত। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ খবর করায় সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয়া আদালতের সার্চ্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া প্রবেশ করা আ্ইনের সুস্পষ্ষ্ট লংঘন।
এ ব্যাপারে তারাগজ্ঞ রিপোটার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশটা মগের মুল্লুক নাকি। সাংবাদিক আশরাফুলের নামে মিথ্যা মামলা, তার বাড়িতে পুলিশের হানা, পুরো বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান তিনি।
রোববার, ০৫ মে ২০২৪
রংপুরের তারাগজ্ঞ থানা পুলিশ তাদের সোর্স দিয়ে ১০ দিন আগের ঘটনা দেখিয়ে গাছ চুরির মিথ্যা মামলা করিয়ে সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের বাড়ির দরজা ও তালা ভেঙ্গে বাড়িতে থাকা স্বজনদের হমকি দিয়ে গাছের গুড়ি জোর করে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার সকালে। এ ঘটনা জানাজানি হলে উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি , পুজা উদযাপন পরিষদ , রিপোটার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এ ঘটনার মুল হোতা তারাগজ্ঞ থানার এস আই কনক রজ্ঞন বর্ম্মন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩ মার্চ্চ তারিখে সংবাদের প্রথম পাতায় তারাগজ্ঞ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের্^ অনুমোদনহীন ইট ভাতা শীর্ষক খবর ছবিসহ প্রকাশিত হয়। ওই অবৈধ ইট ভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হারুনর রশীদ বাবুল। ওই খবর প্রকাশিত হবার পর তোলপাড় শুরু হয়। এক পর্যায়ে ইট ভাটাটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন আওয়ামী লীগ নেতা। এ ঘটনার পর সংবাদ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামকে নানান ভাবে হুমকি ধামকি ও দেখে নেবার কথা বলে আসছিলেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। একই ভাবে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল সংবাদের প্রথম পাতায় উপজেলা নির্বাচন সাবেক বিএনপি নেতার গনসংযোগে আওয়ামী লীগ এমপি , নেতা কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ শীর্ষক আরো একটি খবর প্রকাশিত হয়। দুটি খবরেই সংবাদের জেলা বার্তা পরিবেশক লিয়াকত আলী বাদল ও তারাগজ্ঞ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলামের যুগ্ন নামে প্রকাশিত হয়। দুটি খবরের ব্যাপারে রংপুর ২ আসনের এমপি ডিউক চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল ক্ষুব্ধ হন। তারা তারাগজ্ঞ প্রতিনিধিকে শায়েস্তা করার জন্য তারাগজ্ঞ থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলামকে ম্যানেজ করে পুলিশের সোর্স দিয়ে ঘটনার তারিখ ২৪ এপ্রিল দেখিয়ে ১০ দিন পর গত শনিবার ৪ এপ্রিল সংবাদের তারাগজ্ঞ প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম, তার ৯০ বছরের বৃদ্ধ বাবা ও বৃদ্ধা মা , তার স্ত্রী ও ভাইকে আসামী করে একটি গাছ চুরির মিথ্যা মামলা দায়ের করান ওসি। যার মামলা নম্বর ৫ তারিখ ৪.০৫.২৪ইং। ধারা দন্ড বিধি আইনের ১৪৩/৪৪৭/ ৩৭৯/৫০৬/৩৪ দন্ড বিধি।
শনিবার গভীর রাতে তারাগজ্ঞ থানার ওসি তদন্ত জহুরুল হক মামলা রেকর্ড করান। সেই সাথে ওসি (তদন্তে)’র নির্দ্দেশে রোববার সকালে এস আই কনক রজ্ঞন বর্মনের নেতৃত্বে ৮/১০ জন পুলিশ সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামের তারাগজ্ঞ উপজেলার ইকরচালি বানিয়া পাড়া গ্রামে অবস্থিত বাড়ির দরজা ভেঙ্গে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরের তালা ভেঙ্গে সীমানা প্রচীর দেয়া বাড়ির ভেতরে কাঠাল গাছের গুড়ি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় খবর পেয়ে এলাকাবাসি ও গনমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানালেও ওই পুলিশের এস আই গালাগালি ও হুমকি ধামকি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আশরাফুল জানান, ঘটনার সময় আমার দুই ছোট ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলোনা। আমি পেশাগত কারনে বাইরে ছিলাম। আর আমার মা বাবা ও ভাইরা আধা কিলোমিটর দুরে তাদের বাড়িতে ছিলো।
সাংবাদিক আশরাফুল জানান, দুটি খবর প্রকাশিত হবার পর তারাগজ্ঞ থানার ওসি ছিদ্দিকুল ইসলাম কয়েক দফা তাকে বলেছিলো খবরগুলো না করারই ভালো ছিলো। এখন আমার উপর চাপ রয়েছে বলে প্রছন্ন হুমকি দেন।
এ ব্যাপারে বাড়িতে হামলাকারী তারাগজ্ঞ থানার এস আই কনক রজ্ঞন বর্মনের সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বীকার করেন বাসায় আমরা গিয়েছিলাম, তবে তালা বা গেট ভাঙ্গা হয় নাই। গাছের গুড়ি আদালতের নির্দ্দেশ ছাড়া আনার কোন সদুত্তোর তিনি দিতে পারেননি। এটা ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি।
অপরদিকে তারাগজ্ঞ থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলাম ছুটিতে থাকায় ওসি (তদন্ত) জহুরুল হকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
সার্বিক বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ বিস্তারিত বিষয় জানালে তিনি পুরো বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
এদিকে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও পুলিশের তান্ডবের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তারাগজ্ঞ উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি হাড়িয়ালকুঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুমারেশ রায় , সাধারন সম্পাদক পাপন দত্ত। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ খবর করায় সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয়া আদালতের সার্চ্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া প্রবেশ করা আ্ইনের সুস্পষ্ষ্ট লংঘন।
এ ব্যাপারে তারাগজ্ঞ রিপোটার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশটা মগের মুল্লুক নাকি। সাংবাদিক আশরাফুলের নামে মিথ্যা মামলা, তার বাড়িতে পুলিশের হানা, পুরো বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান তিনি।