শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর বরিশাল কেন্দ্রীয় টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে বন্ধ থাকা বাস চলা শুরু করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ)দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
থ্রি-হুইলার আলফা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান দুলাল বলেন, থ্রি-হুইলারে যাত্রী পরিবহন করায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে। তাই তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা, তার ভাই মুন্না মোল্লাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা ও তাই ভাই মুন্না মোল্লার নেতৃত্বে ৫০টি থ্রি হুইলার ভাঙচুর হয়েছে।
তাদের হামলায় আহত হয়ে ২৮ জন থ্রি হুইলার শ্রমিক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর থেকে আসা অভ্যন্তরীণ রুটের একটি বাস নথুল্লাবাদ টার্মিনালে প্রবেশ সময়ের হর্ন দেয়। এতে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ানের অনুসারী নুরুল ইসলাম বাবাইর ক্ষুব্ধ হয়ে চালক সোহাগ ও হেলপার সৌরভকে মারধর করেন।
এ নিয়ে বাস শ্রমিকদের একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়, বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এবং টার্মিনালের কাউন্টারের সামনে ভাঙচুর করে। পরে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকরা পাশের থ্রি-হুইলার স্ট্যান্ডে হামলা করে অন্তত ৫০টি থ্রি-হুইলার, একটি খাবার হোটেলসহ দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। এ সময় থ্রি-হুইলার চালকদেরও মারধর করা হয়।
থ্রি-হুইলার শ্রমিকরা পাল্টা বাস ভাঙচুর শুরু করে। তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শ্রমিকদের একটি পক্ষ শনিবার দুপুরের পর থেকে টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখে।
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান ও বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবিরের অনুসারী শতাধিক যুবক ধারালো অস্ত্র, জিআই পাইপ ও লাঠি নিয়ে বাস টার্মিনালে প্রবেশ করেন।
তারা টার্মিনালে অবস্থান নেওয়া পক্ষকে ধাওয়া দিলে পক্ষটি পালিয়ে যায়। কয়েকজন বাস শ্রমিককেও তারা মারধর করেন।
পরে বাস টার্মিনাল অসীম দেওয়ান ও কাজী কবির অনুসারীরা দখলে নেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে বাস টার্মিনালে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি অসীম দেওয়ান ও কাজী কবিরের অনুসারীরা অবস্থান করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, “বাস চলাচল শুরু হয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।”
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, “বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
বাস টার্মিনালে প্রতিপক্ষকে সশস্ত্র অবস্থায় ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে পরিদর্শক লোকমান বলেন, “বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাকসুদ আলম বলেন,“বাস টার্মিনালের পরিস্থিতি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল করছে।
“থ্রি-হুইলার মালিক সমিতি একটি অভিযোগ দিয়েছে। মামলা হিসেবে রুজু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
রোববার, ০৫ মে ২০২৪
শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর বরিশাল কেন্দ্রীয় টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে বন্ধ থাকা বাস চলা শুরু করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (৫ মার্চ)দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
থ্রি-হুইলার আলফা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান দুলাল বলেন, থ্রি-হুইলারে যাত্রী পরিবহন করায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে। তাই তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন লিটন মোল্লা, তার ভাই মুন্না মোল্লাসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা ও তাই ভাই মুন্না মোল্লার নেতৃত্বে ৫০টি থ্রি হুইলার ভাঙচুর হয়েছে।
তাদের হামলায় আহত হয়ে ২৮ জন থ্রি হুইলার শ্রমিক বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মাদারীপুর থেকে আসা অভ্যন্তরীণ রুটের একটি বাস নথুল্লাবাদ টার্মিনালে প্রবেশ সময়ের হর্ন দেয়। এতে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ানের অনুসারী নুরুল ইসলাম বাবাইর ক্ষুব্ধ হয়ে চালক সোহাগ ও হেলপার সৌরভকে মারধর করেন।
এ নিয়ে বাস শ্রমিকদের একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়, বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এবং টার্মিনালের কাউন্টারের সামনে ভাঙচুর করে। পরে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকরা পাশের থ্রি-হুইলার স্ট্যান্ডে হামলা করে অন্তত ৫০টি থ্রি-হুইলার, একটি খাবার হোটেলসহ দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। এ সময় থ্রি-হুইলার চালকদেরও মারধর করা হয়।
থ্রি-হুইলার শ্রমিকরা পাল্টা বাস ভাঙচুর শুরু করে। তখন পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শ্রমিকদের একটি পক্ষ শনিবার দুপুরের পর থেকে টার্মিনাল এলাকায় অবস্থান নিয়ে বাস চলাচল বন্ধ রাখে।
রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি অসীম দেওয়ান ও বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবিরের অনুসারী শতাধিক যুবক ধারালো অস্ত্র, জিআই পাইপ ও লাঠি নিয়ে বাস টার্মিনালে প্রবেশ করেন।
তারা টার্মিনালে অবস্থান নেওয়া পক্ষকে ধাওয়া দিলে পক্ষটি পালিয়ে যায়। কয়েকজন বাস শ্রমিককেও তারা মারধর করেন।
পরে বাস টার্মিনাল অসীম দেওয়ান ও কাজী কবির অনুসারীরা দখলে নেন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে বাস টার্মিনালে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি অসীম দেওয়ান ও কাজী কবিরের অনুসারীরা অবস্থান করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বরিশাল জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী কবির বলেন, “বাস চলাচল শুরু হয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।”
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন বলেন, “বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। টার্মিনাল এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
বাস টার্মিনালে প্রতিপক্ষকে সশস্ত্র অবস্থায় ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানা নেই দাবি করে পরিদর্শক লোকমান বলেন, “বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাকসুদ আলম বলেন,“বাস টার্মিনালের পরিস্থিতি ক্রিস্টাল ক্লিয়ার। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস চলাচল করছে।
“থ্রি-হুইলার মালিক সমিতি একটি অভিযোগ দিয়েছে। মামলা হিসেবে রুজু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”