গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় গতকাল তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের পর আজ আরও তিনটি কারখানা বনাধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে কোনাবাড়ী এলাকায় ৯টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা এল।
আজ রোববার সকালে এম এম নীটওয়্যার, মুকুল নীটওয়্যার, মামুন নীটওয়্যার নামের তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে উল্লেখ করেন, গতকাল রবিবার দুপুর ২ টা ৩০ হতে কারখানার শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে এবং পরবর্তীতে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে মেইন গেটে এসে আক্রমণ করে এবং কারখানায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে। তাদের আনিত দাবি সমূহের মধ্যে বেশ কিছু দাবি কারখানার কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে তাদের কাজে যোগদান করার জন্য বারবার অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা তাদের দাবি উত্থাপন করে কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে এছাড়াও কারখানার অভ্যন্তরে উশৃংখল ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন মারামারি ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এই কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। এমতাবস্থায় কারখানার কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে আজ সোমবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে কারখানার সকল কার্যক্রম অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলো কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে নোটিশ দেন।
নীট ওয়্যার কারখানার শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আঙ্গর কোন দাবি নাই, কোম্পানি যা দিছে আমরা খুশি। কোম্পানিও চলতে হবে, আঙ্গরও চলতে হবে। এহন যে ক্যাডা এমন করতেছে বলতে পারি না। সকালে অফিসে গেছি, যাইয়া গেডে দেহি তালা।’
এ বিষয়ে এম এম নীট ওয়্যার কারখানার এজিএম এডমিন মনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কারখানা কোন শ্রমিকের বেতন বকেয়া নেই। আমরা প্রতি মাসের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে থাকি। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বেশিরভাগই মানা হয়েছে তারপরেও গতকাল থেকে তারা আবার তাদের দাবি-দাওয়া বৃদ্ধি করায় আমরা কারখানা চালাতে পারছি না। এমতাবস্থায় কারখানার পরিবেশ এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছি।
অন্যদিকে কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় ইসলাম গ্রুপ, রেজাউল এপারেলস, এবিএম ফ্যাশন, লাইফ টেক্স, এস্ট্রো নীটওয়্যারসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ভিতরে তাদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনাবড়ী বিসিক এলাকার বেশ কিছু কারখানা আজকের জন্য ছুটি ঘোষনা করেন।
কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো নজরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় সকাল থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য ৭/৮ টি কারখানা ছুটি ঘোষনা করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব সংবাদকে জানান, শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি আছে সেই দাবি গুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে এই মুহূর্তে বিসিকের ভিতরে ছোটখাটো কয়েকটি কারখানায় কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এম এম নীট ওয়্যার কারখানা শ্রমিকদের দাবির মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে কোন কারখানায় বিক্ষোভ নেই বলেও জানান তিনি।
সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় গতকাল তুসুকা গ্রুপের ছয়টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের পর আজ আরও তিনটি কারখানা বনাধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে কোনাবাড়ী এলাকায় ৯টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা এল।
আজ রোববার সকালে এম এম নীটওয়্যার, মুকুল নীটওয়্যার, মামুন নীটওয়্যার নামের তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ নোটিশে উল্লেখ করেন, গতকাল রবিবার দুপুর ২ টা ৩০ হতে কারখানার শ্রমিকরা অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনিভাবে কাজ বন্ধ রাখে এবং পরবর্তীতে তারা কারখানা থেকে বের হয়ে মেইন গেটে এসে আক্রমণ করে এবং কারখানায় অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে। তাদের আনিত দাবি সমূহের মধ্যে বেশ কিছু দাবি কারখানার কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়ে তাদের কাজে যোগদান করার জন্য বারবার অনুরোধ করে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা তাদের দাবি উত্থাপন করে কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে এছাড়াও কারখানার অভ্যন্তরে উশৃংখল ভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন মারামারি ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। শ্রমিকদের এই কার্যকলাপ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ মোতাবেক অবৈধ ধর্মঘটের শামিল। এমতাবস্থায় কারখানার কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কারখানার সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষার স্বার্থে আজ সোমবার সকাল ৮ ঘটিকা হইতে কারখানার সকল কার্যক্রম অনিদৃষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলো কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে কারখানা খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে বলে নোটিশ দেন।
নীট ওয়্যার কারখানার শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘আঙ্গর কোন দাবি নাই, কোম্পানি যা দিছে আমরা খুশি। কোম্পানিও চলতে হবে, আঙ্গরও চলতে হবে। এহন যে ক্যাডা এমন করতেছে বলতে পারি না। সকালে অফিসে গেছি, যাইয়া গেডে দেহি তালা।’
এ বিষয়ে এম এম নীট ওয়্যার কারখানার এজিএম এডমিন মনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের কারখানা কোন শ্রমিকের বেতন বকেয়া নেই। আমরা প্রতি মাসের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে থাকি। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বেশিরভাগই মানা হয়েছে তারপরেও গতকাল থেকে তারা আবার তাদের দাবি-দাওয়া বৃদ্ধি করায় আমরা কারখানা চালাতে পারছি না। এমতাবস্থায় কারখানার পরিবেশ এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমাদের কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছি।
অন্যদিকে কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় ইসলাম গ্রুপ, রেজাউল এপারেলস, এবিএম ফ্যাশন, লাইফ টেক্স, এস্ট্রো নীটওয়্যারসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কারখানার ভিতরে তাদের দাবি আদায়ে কর্মবিরতি পালন করে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনাবড়ী বিসিক এলাকার বেশ কিছু কারখানা আজকের জন্য ছুটি ঘোষনা করেন।
কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো নজরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, কোনাবাড়ী বিসিক এলাকায় সকাল থেকে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি পালন করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য ৭/৮ টি কারখানা ছুটি ঘোষনা করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ কোনাবাড়ী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু তালেব সংবাদকে জানান, শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি আছে সেই দাবি গুলো নিয়ে আমরা কথা বলছি শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে এই মুহূর্তে বিসিকের ভিতরে ছোটখাটো কয়েকটি কারখানায় কাজ বন্ধ রেখে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এম এম নীট ওয়্যার কারখানা শ্রমিকদের দাবির মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে কোন কারখানায় বিক্ষোভ নেই বলেও জানান তিনি।