কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে জুতার মালা পরানোর পর মুক্তিযোদ্ধাকে টানাহেঁচড়া করা প্রধান দুই অভিযুক্ত (বহিষ্কৃত জামায়াত সমর্থক) এখনো অধরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের আবদুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), মৃত এছাক ভুইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভুইয়া (৫৮), স্থানীয় মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং চাঁদপুর সদরের মইশাদী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আক্তার উজ জামান বলেন, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান দুই অভিযুক্ত আত্মগোপনে চলে যান। যার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ভিডিও দেখে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ঘটনার পর আমরা তাৎক্ষণিক ভিডিও ফুটেজ দেখে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পারি, তিনি নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আজকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মামলা করলে আটকদের ওই মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
কুমিল্লায় বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তবে জুতার মালা পরানোর পর মুক্তিযোদ্ধাকে টানাহেঁচড়া করা প্রধান দুই অভিযুক্ত (বহিষ্কৃত জামায়াত সমর্থক) এখনো অধরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আক্তার উজ জামান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত রোববার রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারা দেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের আবদুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই এলাকার মৃত সুলতান আহমেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), মৃত এছাক ভুইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভুইয়া (৫৮), স্থানীয় মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) এবং চাঁদপুর সদরের মইশাদী গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আক্তার উজ জামান বলেন, ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রধান দুই অভিযুক্ত আত্মগোপনে চলে যান। যার কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ভিডিও দেখে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ঘটনার পর আমরা তাৎক্ষণিক ভিডিও ফুটেজ দেখে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি বাড়িতে না থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে জানতে পারি, তিনি নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুর সঙ্গে যোগাযোগ করে অপ্রীতিকর ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানু।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আজকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মামলা করলে আটকদের ওই মামলা গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
কুমিল্লায় বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা: জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ