পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা ২৫ হাজার ভাতা পান, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন তারা।
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার বাড়িয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থবিভাগ। সেখানে বলা হয়েছে, এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের বিদ্যমান মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো। ভাতার এই হার গত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত রোববার প্রথমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকরা। দুপুরের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা। তবে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছিলেন তারা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের সঙ্গে ওয়াদা বরখেলাপ করা নতুন কিছু না। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না।’ নবম গ্রেড সমপরিমাণ ভাতা দেয়ার অঙ্গীকার করে ৩০ হাজারের প্রজ্ঞাপন ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা বলা হয় বিবৃতিতে।
সেখানে বলা হয়, ‘এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস। আপনারা প্রস্তুত থাকেন আমাদের আরও কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য।’ ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন মঙ্গলবার বলেন, প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে ভাতা বাড়ানোর জন্য তারা আগামীকাল পর্যন্ত সময় দেন। তা না হলে রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।
‘দাবি আদায়ে আমরা রাস্তায় নামলে পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। এটা যথাযথ মূল্যায়ন না, তাই আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করলাম। আগামীকাল ১০টার মধ্যে যদি দাবি পূরণ করা না হয় তাহলে আমরা রোববার ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। সেখানে সারাবাংলাদেশের ট্রেইনি ডাক্তাররা অংশ নেবেন। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করব।’ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় কর্মবিরতি, অবস্থান, কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। আন্দোলনের পর গত বছরের জুলাইয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ওই ভাতাও যৌক্তিক নয় বলে জানিয়ে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরু করেন।
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা ৫ হাজার বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা ২৫ হাজার ভাতা পান, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন তারা।
বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) এর এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের পারিতোষিক ভাতার হার বাড়িয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থবিভাগ। সেখানে বলা হয়েছে, এফসিপিএস প্রথম পর্ব পাস করা অবৈতনিক প্রশিক্ষণার্থীদের বিদ্যমান মাসিক পারিতোষিক ভাতার হার ২৫ হাজার টাকা থেকে ২০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলো। ভাতার এই হার গত মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হবে।
সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন। দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি তারা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেন। ভাতা বাড়ানোর দাবিতে গত রোববার প্রথমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেন চিকিৎসকরা। দুপুরের পর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকেলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে রাস্তা ছাড়েন চিকিৎসকরা। তবে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করছিলেন তারা। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রজ্ঞাপনের অনুলিপি পাওয়ার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছেন চিকিৎসকরা।
আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের সঙ্গে ওয়াদা বরখেলাপ করা নতুন কিছু না। কিন্তু এই নতুন বাংলাদেশে আর কোনো বৈষম্য মেনে নেয়া হবে না।’ নবম গ্রেড সমপরিমাণ ভাতা দেয়ার অঙ্গীকার করে ৩০ হাজারের প্রজ্ঞাপন ‘প্রত্যাখ্যান’ করার কথা বলা হয় বিবৃতিতে।
সেখানে বলা হয়, ‘এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস। আপনারা প্রস্তুত থাকেন আমাদের আরও কঠোরভাবে মোকাবিলা করার জন্য।’ ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিসের সভাপতি ডা. জাবির হোসেন মঙ্গলবার বলেন, প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে ভাতা বাড়ানোর জন্য তারা আগামীকাল পর্যন্ত সময় দেন। তা না হলে রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি দেয়া হবে।
‘দাবি আদায়ে আমরা রাস্তায় নামলে পাঁচ হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। এটা যথাযথ মূল্যায়ন না, তাই আমরা এটা প্রত্যাখ্যান করলাম। আগামীকাল ১০টার মধ্যে যদি দাবি পূরণ করা না হয় তাহলে আমরা রোববার ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। সেখানে সারাবাংলাদেশের ট্রেইনি ডাক্তাররা অংশ নেবেন। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করব।’ ভাতা বাড়ানোর দাবিতে ২০২২ সাল থেকে দাবি জানিয়ে আসছে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা। দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় কর্মবিরতি, অবস্থান, কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। আন্দোলনের পর গত বছরের জুলাইয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট চিকিৎসকদের মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। ওই ভাতাও যৌক্তিক নয় বলে জানিয়ে আসছিলেন আন্দোলনকারীরা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবারও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে চিকিৎসকরা আন্দোলন শুরু করেন।