নোয়াখালীর মাইজদী শহরের সিটি হাসপাতালের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে রাজনৈতিক বার্তা ভেসে ওঠার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা এই হামলায় জড়িত বলে জানা গেছে।
সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে গভীর রাতে হাসপাতালের সাইনবোর্ডের স্ক্রিনে “আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” লেখা ভেসে ওঠে। বিষয়টি নজরে আসার পর সাইনবোর্ডের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। তবে কারা এই বার্তা আপলোড করেছে, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানে না।
মঙ্গলবার রাতে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা এসে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে তারা সাইনবোর্ডটি আবার চালু করতে বাধ্য হন, এবং তখন একই বার্তা পুনরায় প্রদর্শিত হয়। এরপরই হাসপাতালের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রবেশপথের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলার পাশাপাশি ব্যবস্থাপকের কক্ষ, এক্স-রে কক্ষের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষ, ওষুধের দোকান, আসবাবপত্র এবং বাহিরে থাকা অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ক্যাশ কাউন্টার এবং ওষুধের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও ওষুধ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান জানান, সাইনবোর্ডে রাজনৈতিক বার্তার প্রতিবাদ জানাতে কিছু কর্মী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে অতি উৎসাহী দু-একজন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে দলের অন্য সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে এনেছেন।
সুধারাম থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাসদস্যরা মো. বাবলু (৩৫) নামে একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।” তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
হাসপাতাল কর্মচারীরা জানান, হামলার সময় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। হামলার কারণে চিকিৎসাসেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর মাইজদী শহরের সিটি হাসপাতালের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে রাজনৈতিক বার্তা ভেসে ওঠার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা এই হামলায় জড়িত বলে জানা গেছে।
সিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানান, কয়েক দিন আগে গভীর রাতে হাসপাতালের সাইনবোর্ডের স্ক্রিনে “আওয়ামী লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে; জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু” লেখা ভেসে ওঠে। বিষয়টি নজরে আসার পর সাইনবোর্ডের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। তবে কারা এই বার্তা আপলোড করেছে, তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানে না।
মঙ্গলবার রাতে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীরা এসে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, এর সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবে তারা সাইনবোর্ডটি আবার চালু করতে বাধ্য হন, এবং তখন একই বার্তা পুনরায় প্রদর্শিত হয়। এরপরই হাসপাতালের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হামলাকারীরা প্রবেশপথের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলার পাশাপাশি ব্যবস্থাপকের কক্ষ, এক্স-রে কক্ষের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষ, ওষুধের দোকান, আসবাবপত্র এবং বাহিরে থাকা অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া ক্যাশ কাউন্টার এবং ওষুধের দোকান থেকে নগদ অর্থ ও ওষুধ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান জানান, সাইনবোর্ডে রাজনৈতিক বার্তার প্রতিবাদ জানাতে কিছু কর্মী হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তবে অতি উৎসাহী দু-একজন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। পরবর্তীতে দলের অন্য সদস্যরা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে এনেছেন।
সুধারাম থানার তদন্ত কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাসদস্যরা মো. বাবলু (৩৫) নামে একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।” তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
হাসপাতাল কর্মচারীরা জানান, হামলার সময় রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যান। হামলার কারণে চিকিৎসাসেবা কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল।
সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। তবে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।