মামলার সংখ্যা ১১টি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে
বগুড়ার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আলহাজ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যৌথ অভিযানে শহরের সূত্রাপুর এলাকার একটি ভবনের সপ্তম তলার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আলহাজ শেখের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যার অভিযোগ। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
২০২০ সালে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারের হত্যার ঘটনায় আলহাজ শেখ প্রধান আসামি ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এছাড়া ২০২০ সালের ৫ জুন শাকপালা মোড়ে প্রকাশ্যে আবু হানিফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়ও তিনি প্রধান আসামি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যার অভিযোগে আলহাজ শেখের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। মামলার বাদী হানিফের বাবা আরমান আলী অভিযোগ করেন, পুলিশের চার্জশিট থেকে আলহাজ শেখের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এ নিয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করার সাহস পাননি।
পুলিশ জানিয়েছে, আলহাজ শেখ দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তার কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরনো মামলাগুলোর সুরাহা হবে বলে আশা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই গ্রেপ্তার নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বিষয়টিকে বগুড়ার রাজনীতিতে নতুন মোড় বলে অভিহিত করেছেন।
মামলার সংখ্যা ১১টি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে
বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫
বগুড়ার পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আলহাজ শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সদর থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যৌথ অভিযানে শহরের সূত্রাপুর এলাকার একটি ভবনের সপ্তম তলার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আলহাজ শেখের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যার অভিযোগ। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
২০২০ সালে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ ওরফে মিস্টারের হত্যার ঘটনায় আলহাজ শেখ প্রধান আসামি ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এছাড়া ২০২০ সালের ৫ জুন শাকপালা মোড়ে প্রকাশ্যে আবু হানিফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায়ও তিনি প্রধান আসামি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে চারজনকে হত্যার অভিযোগে আলহাজ শেখের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। মামলার বাদী হানিফের বাবা আরমান আলী অভিযোগ করেন, পুলিশের চার্জশিট থেকে আলহাজ শেখের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এ নিয়ে আদালতে নারাজি আবেদন করার সাহস পাননি।
পুলিশ জানিয়েছে, আলহাজ শেখ দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তাঁর গ্রেপ্তার কার্যক্রমের মাধ্যমে পুরনো মামলাগুলোর সুরাহা হবে বলে আশা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এই গ্রেপ্তার নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বিষয়টিকে বগুড়ার রাজনীতিতে নতুন মোড় বলে অভিহিত করেছেন।