ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান দমনে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হামলার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)সহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুল নামে এক তরুণ।
বাদী তহমুল ইসলাম (২৭) কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা এবং বিএনপির কর্মী বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় তিনি আহত হন এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। ২ নম্বর আসামি শেখ রেহানা এবং ৩ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবদুল হামিদকে। মামলায় তাঁর নাম আবদুল হামিদ (৮০) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন এবং ঠিকানা মিঠামইনের কামালপুর। মোট ২০ জনকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান দমনে হামলার পরিকল্পনা করেন বলে এজহারে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের আন্দোলন দমন করার নির্দেশদাতা এবং ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিদের হামলা বাস্তবায়নকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলন দমনে অর্থ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৪ আগস্ট কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে এবং গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। গুলিতে বাদীসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বাদী দাবি করেন, অভিযুক্তরা ঐক্যবদ্ধ ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকে দমন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন এবং গণহত্যার পরিকল্পনা করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় ৫০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় দায়ের করা মামলার সংখ্যা ১১টি। এসব মামলায় প্রায় চার হাজারেরও বেশি ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১০ হাজারেরও বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তবে এটি প্রথম ঘটনা যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন এবং পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান দমনে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
কিশোরগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনে গুলি ও হামলার অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়), মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল)সহ ১২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন তহমুল ইসলাম ওরফে মাজহারুল নামে এক তরুণ।
বাদী তহমুল ইসলাম (২৭) কিশোরগঞ্জ সদরের উত্তর লতিবাবাদ এলাকার বাসিন্দা এবং বিএনপির কর্মী বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় তিনি আহত হন এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখন কিছুটা সুস্থ হয়ে মামলা করেছেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। ২ নম্বর আসামি শেখ রেহানা এবং ৩ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে আবদুল হামিদকে। মামলায় তাঁর নাম আবদুল হামিদ (৮০) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, পিতার নাম মো. তায়েব উদ্দিন এবং ঠিকানা মিঠামইনের কামালপুর। মোট ২০ জনকে পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা দেশে ও বিদেশে অবস্থান করে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান দমনে হামলার পরিকল্পনা করেন বলে এজহারে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া মামলায় ২১ থেকে ৪০ নম্বর আসামিদের আন্দোলন দমন করার নির্দেশদাতা এবং ৪১ থেকে ১২৪ নম্বর আসামিদের হামলা বাস্তবায়নকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই আন্দোলন দমনে অর্থ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছরের ৪ আগস্ট কিশোরগঞ্জ শহরের স্টেশন রোড এলাকায় ছাত্র–জনতার মিছিলে হামলা চালানো হয়। এতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়ে এবং গ্রেনেড, ককটেল ও বোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। গুলিতে বাদীসহ আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হন।
বাদী দাবি করেন, অভিযুক্তরা ঐক্যবদ্ধ ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকে দমন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন এবং গণহত্যার পরিকল্পনা করেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন ঘটনায় প্রায় ৫০টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় দায়ের করা মামলার সংখ্যা ১১টি। এসব মামলায় প্রায় চার হাজারেরও বেশি ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১০ হাজারেরও বেশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তবে এটি প্রথম ঘটনা যেখানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার মাধ্যমে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “মামলাটি তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন এবং পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে।