ভিড়ের সুযোগে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরি, ক্ষোভে ভুক্তভোগীরা
লালমনিরহাট শহরে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় পুলিশ ২৩ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ২২ জন নারী এবং ১ জন পুরুষ। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট সদর থানা।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আটটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশের ধারণা, আরও জিডি হতে পারে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন মিজানুর রহমান আজহারী। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা মাহফিলে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিল। আয়োজকরা নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক জায়গায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাহফিল শোনার ব্যবস্থা করেন। নারীদের জন্য লালমনিরহাট স্টেডিয়াম, কালেক্টরেট মাঠ এবং রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
এই বিশাল সমাগমে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে একাধিক চক্র চুরি ও অপকর্মে লিপ্ত হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। বিশেষ করে নারীদের স্টেডিয়ামে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা বেশি ঘটেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাহফিল চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোন হারান সদর উপজেলার গবাই গ্রামের মো. রহিম বাদশা এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মফিজুল হক। তারা থানায় জিডি করেছেন।
মুঠোফোন খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রহিম বাদশা বলেন, “আমরা মাহফিলে ইসলামী জ্ঞান নিতে এসেছিলাম। কিন্তু চুরির মতো অপ্রীতিকর ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি।”
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরনবী জানান, “মুঠোফোন এবং স্বর্ণালংকার হারানোর ঘটনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের তৎপরতা ছিল, কিন্তু ভিড়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।” তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি সংঘটিত হওয়ার পদ্ধতি ও জড়িত চক্র সম্পর্কে জানা হবে।
মাহফিলের আয়োজক সংগঠন ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “এ ধরনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একাধিক চক্র ভিড়ের সুযোগ নেয়। অধিকাংশ চোরাই চক্রের সদস্যরা লালমনিরহাটের বাইরের জেলা থেকে এসেছে। আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”
ভিড়ের সুযোগে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরি, ক্ষোভে ভুক্তভোগীরা
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
লালমনিরহাট শহরে মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ মাহফিল চলাকালে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় পুলিশ ২৩ জন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে। আটককৃতদের মধ্যে ২২ জন নারী এবং ১ জন পুরুষ। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে লালমনিরহাট সদর থানা।
শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চুরির ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আটটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশের ধারণা, আরও জিডি হতে পারে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের প্রধান বক্তা ছিলেন মিজানুর রহমান আজহারী। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা মাহফিলে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ছিল। আয়োজকরা নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক জায়গায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাহফিল শোনার ব্যবস্থা করেন। নারীদের জন্য লালমনিরহাট স্টেডিয়াম, কালেক্টরেট মাঠ এবং রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে আলাদা জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
এই বিশাল সমাগমে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে একাধিক চক্র চুরি ও অপকর্মে লিপ্ত হয় বলে ধারণা করছে পুলিশ। বিশেষ করে নারীদের স্টেডিয়ামে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা বেশি ঘটেছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাহফিল চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুঠোফোন হারান সদর উপজেলার গবাই গ্রামের মো. রহিম বাদশা এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মফিজুল হক। তারা থানায় জিডি করেছেন।
মুঠোফোন খোয়া যাওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রহিম বাদশা বলেন, “আমরা মাহফিলে ইসলামী জ্ঞান নিতে এসেছিলাম। কিন্তু চুরির মতো অপ্রীতিকর ঘটনায় খুব কষ্ট পেয়েছি।”
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরনবী জানান, “মুঠোফোন এবং স্বর্ণালংকার হারানোর ঘটনা নিয়ে আমরা কাজ করছি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের তৎপরতা ছিল, কিন্তু ভিড়ের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।” তিনি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি সংঘটিত হওয়ার পদ্ধতি ও জড়িত চক্র সম্পর্কে জানা হবে।
মাহফিলের আয়োজক সংগঠন ইসলামিক সোসাইটির চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “এ ধরনের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে একাধিক চক্র ভিড়ের সুযোগ নেয়। অধিকাংশ চোরাই চক্রের সদস্যরা লালমনিরহাটের বাইরের জেলা থেকে এসেছে। আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।”