শরীয়তপুরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ দিন পার হলেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। আর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলার সচেতন মহল ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের রোগীর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হামলার শিকার হয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুজনকে গুরুতর আহত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে নিউজ টুয়েন্টি ফোর টেলিভিশনের প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, দেশ টিভির সাইফুল ইসলাম আকাশ ও বাংলা টিভির নয়ন দাসের উপরেও হামলা চালায় তারা। পরে সুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সুজন বাদী হয়ে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান শেখ(৪৫), শামিম শেখ(৪০), ইব্রাহিম মোল্লাসহ(৪০) ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতাদের দাবীতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বুধবার নড়িয়া উপজেলার সামনে মানববন্ধন করে জেলার সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও কর্মরত সাংবাদিকরা। হামলার ৫ দিন পার হলেও অভিযুক্তরা এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ, পুলিশ কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এখন পর্যন্ত কোন হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়নি। এতে অনেকটাই আশঙ্কায় রয়েছে হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মীরা।
ভুক্তভোগী সমকালের সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন সংবাদকে বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা কৌশলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে ও বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তবে দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি আমার পরিবার নিয়ে আশংকায় রয়েছি। অপরাধীরা গ্রেফতার না হলে তারা যে কোন মুহূর্তে আমার ক্ষতি করতে পারে। পুলিশের কাছে একটাই দাবি, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহবায়ক ইমরান আল নাজির সংবাদকে বলেন, দিনের আলোতে হাতুড়ি দিয়ে যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে এটি একটি মব ক্রিয়েটের চেষ্টা। হয়তো হামলায় ওই সাংবাদিক মারাও যেতে পারতেন। আমরা এ ধরনের মবকে সমর্থন করি না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের প্রতি নিন্দা। আমরা চাই আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক মজিবুর রহমান সংআাদকে বলেন, শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের উপর ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমরা উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে হামলার প্রকৃত কারণ ও ঘটনার বিবরণ জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে।
জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হেলাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আসামীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শরীয়তপুরে চার সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ দিন পার হলেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে। আর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলার সচেতন মহল ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের রোগীর সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে হামলার শিকার হয় দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি সোহাগ খান সুজন। হামলাকারীরা হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সুজনকে গুরুতর আহত করে। এসময় তাকে বাঁচাতে এলে নিউজ টুয়েন্টি ফোর টেলিভিশনের প্রতিনিধি বিধান মজুমদার অনি, দেশ টিভির সাইফুল ইসলাম আকাশ ও বাংলা টিভির নয়ন দাসের উপরেও হামলা চালায় তারা। পরে সুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী সাংবাদিক সুজন বাদী হয়ে স্থানীয় ক্লিনিক ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান শেখ(৪৫), শামিম শেখ(৪০), ইব্রাহিম মোল্লাসহ(৪০) ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে পালং মডেল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতাদের দাবীতে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও বুধবার নড়িয়া উপজেলার সামনে মানববন্ধন করে জেলার সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ও কর্মরত সাংবাদিকরা। হামলার ৫ দিন পার হলেও অভিযুক্তরা এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ, পুলিশ কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এখন পর্যন্ত কোন হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়নি। এতে অনেকটাই আশঙ্কায় রয়েছে হামলার শিকার গণমাধ্যমকর্মীরা।
ভুক্তভোগী সমকালের সাংবাদিক সোহাগ খান সুজন সংবাদকে বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা কৌশলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে ও বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তবে দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমি আমার পরিবার নিয়ে আশংকায় রয়েছি। অপরাধীরা গ্রেফতার না হলে তারা যে কোন মুহূর্তে আমার ক্ষতি করতে পারে। পুলিশের কাছে একটাই দাবি, দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহবায়ক ইমরান আল নাজির সংবাদকে বলেন, দিনের আলোতে হাতুড়ি দিয়ে যেভাবে সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে এটি একটি মব ক্রিয়েটের চেষ্টা। হয়তো হামলায় ওই সাংবাদিক মারাও যেতে পারতেন। আমরা এ ধরনের মবকে সমর্থন করি না। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের প্রতি নিন্দা। আমরা চাই আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সম্পাদক মজিবুর রহমান সংআাদকে বলেন, শরীয়তপুরের সাংবাদিকদের উপর ঘটে যাওয়া ঘটনায় আমরা উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করছি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে হামলার প্রকৃত কারণ ও ঘটনার বিবরণ জানতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিবে।
জানতে চাইলে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হেলাল উদ্দিন সংবাদকে বলেন, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আসামীদের ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।