ভৈরবের এক যুবকের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের একটি পার্কে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবক উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের হাজী জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. হান্নান মিয়া (৪৫)। শুক্রবার সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইশারা ডাইরেক্টর এলাকার একটি পার্কে ওইখানকার সময় রাত ১২টায় আত্মহত্যা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী মান্নান মিয়া।
স্থানীয়রা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে ১ বছর আগে ভাইদের সহযোগিতা ও ধারদেনা করে সৌদি আরবে যায় হান্নান। পরিবারে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিলেও পরিবারে আরো ৪ সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়ে। ছেলেও বড়ও হয়ে গেছে তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী মন্নান মিয়া বলেন, আমি এবং ভাইয়ের পরিবারের চেষ্টায় ১ বছর আগে ভাইকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদিতে এসে প্রথম দিকে কাজে মনোযোগী থাকলেও বেশ কয়েকদিন যাবত মানুষিক অসুস্থতায় ভোগছিলেন তিনি। আমার সাথে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন। ভাই চিরস্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু কাগজ পত্রের সমস্যা ও পরিবারের চাপে তাকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল।
আমি ভাইকে কিছু টাকা খরচের জন্য দিয়ে ১ সপ্তাহ আগে দেশে আসি। শুক্রবার সকালে শুনতে পায় ভাই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভাইয়ের বড় ছেলেকেও সহযোগিতা করছি সৌদি নিয়ে যাওয়ার জন্য। মরদেহ আনতে হবে দেশে। কেমন করে কী করবো বুঝতে পারছি না। পরিবারের কি হবে। তাঁর রেখে যাওয়া সন্তানরা এখন এতিম হয়ে গেছে। এরা কিভাবে চলবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, এ প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মহত্যার বিষয়টি জেনেছি। আমি প্রশাসনিক ভাবে খবর নিচ্ছি। নিহতের পরিবার যেন মরদেহ দেশে আনতে পারে প্রয়োজনে সেই ব্যবস্থা করবো। সরকারি ভাবে সৌদী আরবে গিয়ে থাকলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শ্রম কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখবে। ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতারও সুযোগ রয়েছে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ভৈরবের এক যুবকের মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের একটি পার্কে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। নিহত যুবক উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের হাজী জয়নাল মিয়ার ছেলে মো. হান্নান মিয়া (৪৫)। শুক্রবার সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইশারা ডাইরেক্টর এলাকার একটি পার্কে ওইখানকার সময় রাত ১২টায় আত্মহত্যা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী মান্নান মিয়া।
স্থানীয়রা ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের স্বচ্ছতা ফেরাতে ১ বছর আগে ভাইদের সহযোগিতা ও ধারদেনা করে সৌদি আরবে যায় হান্নান। পরিবারে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়েকে বিয়ে দিলেও পরিবারে আরো ৪ সন্তানদের নিয়ে জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়ে। ছেলেও বড়ও হয়ে গেছে তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন।
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসী মন্নান মিয়া বলেন, আমি এবং ভাইয়ের পরিবারের চেষ্টায় ১ বছর আগে ভাইকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সৌদিতে এসে প্রথম দিকে কাজে মনোযোগী থাকলেও বেশ কয়েকদিন যাবত মানুষিক অসুস্থতায় ভোগছিলেন তিনি। আমার সাথে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করতেন। ভাই চিরস্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু কাগজ পত্রের সমস্যা ও পরিবারের চাপে তাকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল।
আমি ভাইকে কিছু টাকা খরচের জন্য দিয়ে ১ সপ্তাহ আগে দেশে আসি। শুক্রবার সকালে শুনতে পায় ভাই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভাইয়ের বড় ছেলেকেও সহযোগিতা করছি সৌদি নিয়ে যাওয়ার জন্য। মরদেহ আনতে হবে দেশে। কেমন করে কী করবো বুঝতে পারছি না। পরিবারের কি হবে। তাঁর রেখে যাওয়া সন্তানরা এখন এতিম হয়ে গেছে। এরা কিভাবে চলবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন জানান, এ প্রতিনিধির মাধ্যমে আত্মহত্যার বিষয়টি জেনেছি। আমি প্রশাসনিক ভাবে খবর নিচ্ছি। নিহতের পরিবার যেন মরদেহ দেশে আনতে পারে প্রয়োজনে সেই ব্যবস্থা করবো। সরকারি ভাবে সৌদী আরবে গিয়ে থাকলে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শ্রম কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখবে। ভবিষ্যতে আর্থিক সহযোগিতারও সুযোগ রয়েছে।