বগুড়া : ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত রোববার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত -সংবাদ
স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু একপ্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে বিভিন্ন স্টলে! শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে রোববার দিনব্যাপী এমনই এক পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করে বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম উপাদান পিঠা। এটি শুধু একটি খাদ্যই নয়, অনেকের জন্য স্মৃতির ভা-ারও। পিঠাপুলি বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরিচয় বহন করে। উৎসব-পার্বণে পিঠা একটি অনিবার্য উপাদান হিসেবে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। বিচিত্র সব পিঠা তৈরি হতো গ্রাম বাংলায় এবং এখনো হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়া ও নাগরিক ব্যস্ততায় পিঠার সে পুরনো দিন যেন আর নেই। তাই পিঠা শিল্পকে তুলে আনার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
মেলায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরিচালনায় ১৪টি স্টলে প্রায় ৪০ প্রকারের ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক পিঠার প্রদর্শন করা হয়। তারমধ্যে তেল, নারকেল কুশলি, বুটের হালুয়া, চিকেন কাবাব, চিকেন রোল, সব্জি রোল, পাকুড়া, পুডিং, পাটিসাপটা, জামাই, ঝাল পুলি, নারিকেল, ঝাল, ঝাল পাটি সাপটা, ডিম সুন্দরী, চকলেট বেনটো, দুধ কদমা, নিমকি কুশলি, নকশি, গোলাপ, ডিম সুন্দরী, নুন গড়া, রস কদমা, গোলাপ, গাজর নাড়ু, জল পিঁয়াজি, মোম, দুধ, মিষ্টি কুমড়া, মাছ, নকশি, ভেল পুড়ি নামের হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে স্টলগুলোতে। পিঠা উৎসবে আসা অভিভাবকরা জানান, পিঠা উৎসবে এসে বাহারি স্বাদের দেশি পিঠা দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেশীয় পিঠার স্বাদকে বাঁচিয়ে রাখতে এ রকম উদ্যোগের প্রয়োজন আছে।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্থার সভাপতি মিস অর্পনা প্রামানিক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা করলে শিশুরা লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হবে। তাছাড়া বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই পিঠা মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর এ প্রতিষ্ঠানে এধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখতে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, উৎসবের প্রাণবন্ত পরিবেশ ঐতিহ্যের সুবাস পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গ্রামের দাদী-নানীদের পিঠা তৈরির স্মৃতি মনে পড়ে, পাশাপাশি মায়েরা তার সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করে কখন সন্তানরা ছুটি পাবে, নানা রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়াবে। শহুরে পরিবেশে গ্রামের ঐতিহ্য ফিরে দিয়েছে পিঠা উৎসবের এ আয়োজন। উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ পিঠা উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের মিঃ সৌরভ বিশ্বাস, রেজিনা মারান্ডী, রুমা প্রামানিক, বগুড়া ওয়াইএমসিএ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ভিভিয়ান রিওন মারান্ডী, উপাধ্যক্ষ আইএনএম মাহবুবুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মাইকেল আশের বেসরা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পারভীন আকতারসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আনন্দের ছোঁয়াকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়।
বগুড়া : ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে গত রোববার দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত -সংবাদ
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
স্নিগ্ধ শীতের সকালে, পড়ন্ত দুপুরে কিংবা আবছায়া গোধূলির ফুরফুর মেজাজে পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে! শুধু একপ্রকার নয়, হরেক রকমের পিঠার আয়োজন যদি হয়ে থাকে বিভিন্ন স্টলে! শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের নিয়ে রোববার দিনব্যাপী এমনই এক পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করে বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম উপাদান পিঠা। এটি শুধু একটি খাদ্যই নয়, অনেকের জন্য স্মৃতির ভা-ারও। পিঠাপুলি বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরিচয় বহন করে। উৎসব-পার্বণে পিঠা একটি অনিবার্য উপাদান হিসেবে আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। বিচিত্র সব পিঠা তৈরি হতো গ্রাম বাংলায় এবং এখনো হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে জীবনযাত্রা বদলে যাওয়া ও নাগরিক ব্যস্ততায় পিঠার সে পুরনো দিন যেন আর নেই। তাই পিঠা শিল্পকে তুলে আনার লক্ষ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
মেলায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পরিচালনায় ১৪টি স্টলে প্রায় ৪০ প্রকারের ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক পিঠার প্রদর্শন করা হয়। তারমধ্যে তেল, নারকেল কুশলি, বুটের হালুয়া, চিকেন কাবাব, চিকেন রোল, সব্জি রোল, পাকুড়া, পুডিং, পাটিসাপটা, জামাই, ঝাল পুলি, নারিকেল, ঝাল, ঝাল পাটি সাপটা, ডিম সুন্দরী, চকলেট বেনটো, দুধ কদমা, নিমকি কুশলি, নকশি, গোলাপ, ডিম সুন্দরী, নুন গড়া, রস কদমা, গোলাপ, গাজর নাড়ু, জল পিঁয়াজি, মোম, দুধ, মিষ্টি কুমড়া, মাছ, নকশি, ভেল পুড়ি নামের হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে স্টলগুলোতে। পিঠা উৎসবে আসা অভিভাবকরা জানান, পিঠা উৎসবে এসে বাহারি স্বাদের দেশি পিঠা দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেশীয় পিঠার স্বাদকে বাঁচিয়ে রাখতে এ রকম উদ্যোগের প্রয়োজন আছে।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্থার সভাপতি মিস অর্পনা প্রামানিক। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা করলে শিশুরা লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হবে। তাছাড়া বর্তমান যুগের ছেলেমেয়েদের আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পিঠা-পুলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই পিঠা মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রতি বছর এ প্রতিষ্ঠানে এধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখতে তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী বলেন, উৎসবের প্রাণবন্ত পরিবেশ ঐতিহ্যের সুবাস পিঠা উৎসবে শিক্ষার্থী ও অতিথিদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
গ্রামের দাদী-নানীদের পিঠা তৈরির স্মৃতি মনে পড়ে, পাশাপাশি মায়েরা তার সন্তানদের জন্য অপেক্ষা করে কখন সন্তানরা ছুটি পাবে, নানা রকমের পিঠা তৈরি করে খাওয়াবে। শহুরে পরিবেশে গ্রামের ঐতিহ্য ফিরে দিয়েছে পিঠা উৎসবের এ আয়োজন। উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ পিঠা উৎসবের স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্সের মিঃ সৌরভ বিশ্বাস, রেজিনা মারান্ডী, রুমা প্রামানিক, বগুড়া ওয়াইএমসিএ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ভিভিয়ান রিওন মারান্ডী, উপাধ্যক্ষ আইএনএম মাহবুবুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মাইকেল আশের বেসরা, সহকারী প্রধান শিক্ষক পারভীন আকতারসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আনন্দের ছোঁয়াকে আরো একধাপ এগিয়ে নেয়।