নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের উলুপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদের পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নাজির আহমেদ ও তার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে তারই আপন ভাতিজা মো. আবুল হাসেম। মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়িসহ সকল সম্পত্তি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে সে এমন কর্মকান্ড করছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ ও সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ এর অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলুপাড়া মৌলভী আবদুল মজিদের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদরা চার ভাই তাদের সম্পত্তি বণ্টননামা করে ভোগ দখল করে আসছেন।
নাজির আহমেদের ভাই আলী আহমেদের মৃত্যুর পর তার ছেলে আবুল হাসেম জোরপূর্বক নাজির আহমেদ ও তার অন্য দুই ভাইয়ের সম্পত্তি জবরদখল, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া, বাগানের গাছপালা কেটে নেওয়া ও পুকুরের মাছসহ বাগানের ফল-ফলাদি জোরপূর্বক ভোগদখল করছে। নাজির আহমেদ ও তার পরিবার ঢাকায় থাকায় তাদের সম্পত্তির অনেকাংশ জোরপূর্বক জবরদখল করে ভোগ করার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে নাজির আহমেদ ২০২৩ সালের ২৫ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেন। সহকারী সচিব বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুুলিশের মহাপরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করেন। পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. ফজলুল হক বিষয়টি তদন্ত করে আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপরও অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে নাজির আহমেদ ও তার পরিবারকে বারবার হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে নাজির আহমেদ অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সর্বশেষ তিনি ১২ জানুয়ারি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় জিডি করেন, জিডি নং-৬০৪। জিডি তদন্তের জন্য সোনাইমুড়ী থানার এসআই মো. আশ্রাফুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে শনিবার এসআই আশ্রাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোর্টের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ আবুল হাসেমকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে এক মামলায় তার ছয় মাসের কারাদ- ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সে একজন ভূমিদস্যু ও জবরদখলকারী। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে মানুষ আতঙ্কে থাকে।
ব্যাপারে আবুল হাসেমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের উলুপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদের পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নাজির আহমেদ ও তার ছেলেকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে তারই আপন ভাতিজা মো. আবুল হাসেম। মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়িসহ সকল সম্পত্তি জবর দখল করার উদ্দেশ্যে সে এমন কর্মকান্ড করছে বলে থানায় অভিযোগ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ ও সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ এর অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলুপাড়া মৌলভী আবদুল মজিদের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদরা চার ভাই তাদের সম্পত্তি বণ্টননামা করে ভোগ দখল করে আসছেন।
নাজির আহমেদের ভাই আলী আহমেদের মৃত্যুর পর তার ছেলে আবুল হাসেম জোরপূর্বক নাজির আহমেদ ও তার অন্য দুই ভাইয়ের সম্পত্তি জবরদখল, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া, বাগানের গাছপালা কেটে নেওয়া ও পুকুরের মাছসহ বাগানের ফল-ফলাদি জোরপূর্বক ভোগদখল করছে। নাজির আহমেদ ও তার পরিবার ঢাকায় থাকায় তাদের সম্পত্তির অনেকাংশ জোরপূর্বক জবরদখল করে ভোগ করার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে নাজির আহমেদ ২০২৩ সালের ২৫ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেন। সহকারী সচিব বিষয়টির ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুুলিশের মহাপরিদর্শকের নিকট প্রেরণ করেন। পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা সংস্থাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. ফজলুল হক বিষয়টি তদন্ত করে আবেদনের সত্যতা নিশ্চিত হয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপরও অদ্যাবধি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় সে বেপরোয়া হয়ে নাজির আহমেদ ও তার পরিবারকে বারবার হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে নাজির আহমেদ অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সর্বশেষ তিনি ১২ জানুয়ারি আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় জিডি করেন, জিডি নং-৬০৪। জিডি তদন্তের জন্য সোনাইমুড়ী থানার এসআই মো. আশ্রাফুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে শনিবার এসআই আশ্রাফুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কোর্টের অনুমতি নিয়ে তদন্ত করতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির আহমেদ আবুল হাসেমকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক জিডিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালে এক মামলায় তার ছয় মাসের কারাদ- ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সে একজন ভূমিদস্যু ও জবরদখলকারী। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে মানুষ আতঙ্কে থাকে।
ব্যাপারে আবুল হাসেমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান।