নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। দল বেঁধে মাছ ধরার উৎসব। ছবিটি নড়াইল-বেনাপোল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকার একটি খাল থেকে তোলা -সংবাদ
নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। সাধারণত শীতকালে খাল ও বিলে পানি কমে গেলে এই পলো বাওয়া উৎসবে মেতে ওঠেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রায় প্রতিনিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন খাল-বিলে পলো দিয়ে মাছ ধরেন। রোববার দুপুরে পলো বাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে নড়াইল-বেনাপোল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকার একটি খালে। খালে প্রচ- কচুরিপানার মধ্যে পলো দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় গ্রামবাসীকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও মাছ পাননি অনেকেই। আবার অনেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিটে পলোর মধ্যে মাছ আটকিয়ে ফেলেন। বড় আকারের শোল মাছ ধরে উৎসবে মেতে ওঠেন। টাকি, খয়রা, পুটিসহ বিভিন্ন দেশি মাছ ধরা পড়ছে।
বয়োবৃদ্ধ সলেমান, হারেজসহ অনেকে জানান, এই পলো বাওয়া উৎসবে মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম। কে কতগুলো মাছ পেলো, সেটা বড় কথা নয়। মূলত শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক, মধ্যবয়স্কসহ বুড়ো সবাই একসঙ্গে আনন্দ করতে পারেন। গ্রামীণ ঐহিত্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখাটাই বড় কথা। শীতকালে পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে নড়াইলের বিভিন্ন খাল, বিল ও ডোবায় মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম বলে জানান সবাই। পলো বাওয়া উৎসবের সময় বিভিন্ন পেশার মানুষকে ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায়। ছবি তোলেন কেউ কেউ। এই আনন্দও কম কিসের বলে মন্তব্য করেন পলো উৎসবে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
তারা বলেন, আগের চেয়ে খাল-বিলে দেশি মাছ কম পাওয়া যায়। আমাদের আশা মাছ না পেলেও দেমি ঐহিত্য বাঁচিয়ে রাখা। সবাই একসঙ্গে মৎস্য ধরা। তাহলে পলো বাওয়ার আনন্দ আরও বেড়ে যাবে। বেশি বেশি মাছ ধরতে
নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। দল বেঁধে মাছ ধরার উৎসব। ছবিটি নড়াইল-বেনাপোল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকার একটি খাল থেকে তোলা -সংবাদ
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নড়াইলে ঐতিহ্যবাহী পলো উৎসবে মেতেছেন গ্রামবাসী। সাধারণত শীতকালে খাল ও বিলে পানি কমে গেলে এই পলো বাওয়া উৎসবে মেতে ওঠেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রায় প্রতিনিদিনই গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন খাল-বিলে পলো দিয়ে মাছ ধরেন। রোববার দুপুরে পলো বাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে নড়াইল-বেনাপোল-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকার একটি খালে। খালে প্রচ- কচুরিপানার মধ্যে পলো দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় গ্রামবাসীকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও মাছ পাননি অনেকেই। আবার অনেকে পাঁচ থেকে দশ মিনিটে পলোর মধ্যে মাছ আটকিয়ে ফেলেন। বড় আকারের শোল মাছ ধরে উৎসবে মেতে ওঠেন। টাকি, খয়রা, পুটিসহ বিভিন্ন দেশি মাছ ধরা পড়ছে।
বয়োবৃদ্ধ সলেমান, হারেজসহ অনেকে জানান, এই পলো বাওয়া উৎসবে মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম। কে কতগুলো মাছ পেলো, সেটা বড় কথা নয়। মূলত শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবক, মধ্যবয়স্কসহ বুড়ো সবাই একসঙ্গে আনন্দ করতে পারেন। গ্রামীণ ঐহিত্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখাটাই বড় কথা। শীতকালে পৌষ ও মাঘ মাস জুড়ে নড়াইলের বিভিন্ন খাল, বিল ও ডোবায় মাছ ধরার আনন্দ অন্যরকম বলে জানান সবাই। পলো বাওয়া উৎসবের সময় বিভিন্ন পেশার মানুষকে ফেসবুকে লাইভ করতে দেখা যায়। ছবি তোলেন কেউ কেউ। এই আনন্দও কম কিসের বলে মন্তব্য করেন পলো উৎসবে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
তারা বলেন, আগের চেয়ে খাল-বিলে দেশি মাছ কম পাওয়া যায়। আমাদের আশা মাছ না পেলেও দেমি ঐহিত্য বাঁচিয়ে রাখা। সবাই একসঙ্গে মৎস্য ধরা। তাহলে পলো বাওয়ার আনন্দ আরও বেড়ে যাবে। বেশি বেশি মাছ ধরতে